somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি দুই দশক পেছনে গিয়ে তোমার ভালোবাসা পেতে চাই

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অথবা ভালোবাসতে চাই।


ভালো কেনো বাসতেই হবে? তোমার আমার এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেবে না। আমি সেদিন নয়ন কে জিজ্ঞেস করেছিলাম ,দেয়নি। তুমি চাইলে হৃদয় কে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো। কিন্তু হৃদয় থেকে নয়ন যে বুদ্ধিমান সেটাতো আমরা জানিই। তারপরেও তুমি চাইলে জিজ্ঞেস করতে পারো, কিন্তু আমি জানি সে দেবে না। কারন এর উত্তর তার বা তাদের কারো কাছে নেই। নেই তোমার আমার কাছেও। কিন্তু ভালো আমাদের বাসতেই হবে।

আচ্ছা, তোমাকে আমি কেমন করে পেতে চাই? উহু, সেটা আজ বলবোনা। কিন্তু তোমাকে আমি কেমন দেখতে চাই সেটা বলি। আমি কি পেতে চাই সেটা বলি।

আমি দুই দশক পেছনে গিয়ে তোমার ভালোবাসা পেতে চাই। আমি একবিংশ শতাব্দী থেকে পালাতে চাই।

আমি চাই তুমি শাড়ি পড়বে। হ্যাঁ, টিশার্টে তোমাকে বেশ ভালো মানায়। অথবা বুকে খাঁজকাটা টপস পড়লে তোমাকে যে বেশ সেক্সী দেখায় সেটা আমি এলাকার চোখ দেখেই বেশ বুঝতে পারি। কিন্তু তুমি শাড়ি পড়বে।

তুমি শাড়ি পড়বে ঠিক তেমনিভাবে, যেমনিভাবে মেয়েরা উনিশশত নব্বই সালে পড়তো। শাড়িটাকে টপসের মতো করে পড়োনা দয়া করে - ওতে শাড়ির অপমান হবে। আমি চাইনা তুমি জামদানি বা সিলক পড়ো; অথবা তোমার গায়ে চাপুক জর্জেট এর শাড়ি। হ্যাঁ বাবা, সিলভার কালারের জর্জেটের শাড়িটা যে তোমার খুব পছন্দের আমি জানি। কিন্তু তুমি সেটা পড়বেনা, তুমি পড়বে খুব সাধারন সুতি শাড়ি; পুরোনো শাড়ি।

আমি চাই তুমি আমাকে দেখলে চোখ নামিয়ে নেবে; ভয়ে নয় লজ্জায়। ভালোবাসা মানেই তো সম্মান; চোখ নামিয়ে আলাদা করে সম্মান দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু চোখ নামাবে তুমি আমায় দেখে লজ্জা পেয়েছো তাই। লজ্জা পাবেনা কেনো! ভালোবাসার মানুষ আমি; আমি ধরলে তোমার শরীরে শিহরন খেলবে, কথা বললে তোমার কান গরম হবে, আর চুমু খেলে - নাহ থাক, অন্য আরেকদিন বলবো।

আমি চাই আমাকে দেখে তুমি অন্যদিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করো - কেমন আছো। আমি চাইনা আমাকে দেখে তুমি চটাশ করে চুমু খেয়ে বলে উঠো - ওয়াজ্জাপ ডুড! অথবা বলো - হাই হানি। আমি এসব কিছুই চাইনা। শুধু আমাকে জিজ্ঞেস করো যে আমি কেমন আছি।

আমি চাই তুমি ঘাস ছিড়ো। এমনি এমনি নয়; আমাদের দেখা হবে কোন পার্কে। কথা হবে কম; নিরবতাকে আমরা উপভোগ করবো তারিয়ে তারিয়ে। আর এই সময়টাতে তুমি যেনো একটি কি দুটি ঘাস ছিড়ো। ঘাসের ডগা যেনো তোমার ইদুর-দাঁতে আস্তে আস্তে কাটতে থাকে। আমি নাহয় দুটাকার বাদাম ও কিনবো। আমার যেনো মনে হয় - যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রান আছে, বাকীটা সময় যেনো মরন আমার, হৃদয় জুড়ে নামে অথৈ আধার।

আমি চাইনা তুমি ক্যাপ্টেইন্স ওয়ার্ল্ডে বা বুমারস এ হাজার দুয়েক টাকার খাবার সামনে নিয়ে তোমার বান্ধুবীদের গল্প করো। আমি চাইনা তুমি এতো বেশী কথা বলো যেনো একদিন তোমার কিছুই বলার না থাকে। কথা জমিয়ে রাখো, নাহয় একদিন সব কথা ফুরিয়ে গেলে আমরাও একে অপরের কাছে ফুরিয়ে যাবো। আর হ্যাঁ, ওখানে কীসব হাবিব-ফুয়াদ-রুমি অথবা লেডী গাগার গান বাজায়; আমার একদম সহ্য হয়না।

আমি চাই তুমি গান জানো। না, হিন্দী সিনেমার কোন মারদাঙ্গা গান নয়, ইংলিশ কোন রক এন রোল ব্যান্ডের গান ও নয়। আমি চাই, আমরা যখন খোলা ছাদে বসে চাঁদ দেখবো, তখন তুমি খুব মিস্টি করে গেয়ে উঠো - চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙ্গেছে, উছলে পড়ে আলো, ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধসুধা ঢালো...

আমাকে তোমার কোলে মাথা রাখতে দিও।

আমি চাই তুমি আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসো। আমি চাই আমাকে ছাড়া যেনো তুমি কিছুই না বুঝো, কিছুই না চেনো, কিছুই না দেখো। আর আমিতো তোমার ভালোবাসায় অন্ধ/বোবা/কালা/লুলা হয়েই আছি কতকাল যাবত।





//লেখাটা সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই ;)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫০
৫৮টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×