বিধর্মীদের মাথায় ফটোশপে টুপি বসিয়ে দিয়ে বলে, সোবহান আল্লাহ্ এই ভাই ইসলাম গ্রহন করেছেন উনার জন্য হাজার লাইক চাই। একবার দেখলাম অং সাং সুচির মাথায় ঘোমটা পরিয়ে দিয়ে বলে সোবহান আল্লাহ্। আবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মাথায় টুপি পরিয়ে দিয়ে বলে আলহামদুলিল্লাহ্! টুপি মাথায় দিয়ে মুনাজাত ধরলে অথবা মুসলমানদের কোন অনুষ্ঠানে বিধর্মিরা দাওয়াতি মেহমান হিসেবে আসলে কি সবাই মুসলমান হয়ে যায়? আচ্ছা এসব অপপ্রচার করে ইসলামের কি’লাভ হচ্ছে? বরং ইসলাম নামক শান্তির ধর্মটার বদনাম হচ্ছে। বিধর্মীরা ডাবল মোসলমানদের এসব আবাল-পনা কর্মকান্ড দেখলে হাসে, তিরস্কার করে।
কিছুদিন আগে মায়ানমারের মুসলিম নিধন নিয়ে ছড়ানো কিছু ছবিতে এখনো ফেসবুকে লাইক-শেয়ার-কমেন্ট (অপপ্রচার) হচ্ছে। মায়ানমারের যে কিছুই হয়নি, তা নয়। তবে ওখানকার ছবি নাই বললেই চলে। ভুয়া ছবিতে সয়লাব ফেসবুক সহ ব্যাঙের ছাতার মত পত্রিকাগুলো। অপপ্রচারের কারনে বিশ্ব মিডিয়াও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেনি। সব কিছুতে'ই ভণ্ডামি, অতিরঞ্জিত করা এবং রাজনীতি করা উচিৎ নয়। বেহেস্তের শর্টকাট টিকেটের লোভে দীর্ঘদিন ধরেই অপপ্রচার চালিয়ে আসতেছে চক্রটি। তাদের অনেকেই জানেনা তাদের প্রচারিত তথ্য সত্য কি মিথ্যা? বাস্তবের সাথে মিল আছে কি বানোয়াট-ভিত্তিহীন? তাদের (অপপ্রচার'কারীদের) বিরুদ্ধে কথা বললে, আপনি পেয়ে যেতে পারেন নাস্থিক-চেতনা ব্যবসায়ী সহ আরো অনেক খেতাব।
ফেসবুক ব্যবহারকারীদেকে অনুরোধ করতেছি, ভিত্তিহীন পোষ্টে লাইক দেয়া এবং শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। সত্য হলে প্রচার করুন, আর মিথ্যা হলে বর্জন করুন, অপপ্রচার'কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। সত্য মিথ্যা জানতে নিজের বিবেকই যথেষ্ট (পি,এইচ,ডি এর দরকার হয় না)।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০