ভোট গ্রহণ উপলক্ষে সর্বপ্রথম আনন্দে মেতেছিলাম ২০০১ সালে, যখন বয়স মাত্র দশ। বাসার কাছেই ভোট কেন্দ্র ছিলো। ভোট কিভাবে দেয় জানি না; শুধু জানি ভোট মানেই মিছিল, চিৎকার, আলোচনা।
ছোট ছোট লিফলেট সংগ্রহ করতাম। মিছিলের আওয়াজ শুনলেই দৌড়ে বাসার সামনে দাঁড়াতাম। একটা আক্ষেপও তখন কাজ করতো; ইশ! আমি যদি ভোট দিতে পারতাম।
২০০৮ নির্বাচনের পূর্বে আইডি কার্ড বানানোর সময় বয়স আটারো না হওয়াতে ভোটার হতে পারিনি। যদিও আমার বয়সী অনেকেই তখন বয়স বাড়িয়ে আইডি কার্ড বানিয়ে নিয়েছিলো।
সে-সময়ের আক্ষেপ অন্য সময়ের চাইতে বেশি ছিলো। আমার বয়সী ছেলেরা কাকে ভোট দিবে না দিবে নিয়ে বাজার গরম করছে আর আমার ভোটই নেই!
অবশেষে ২০১২ তে এসে আইডি কার্ডের ছবি তোলার জন্য ডাক পড়লো। নির্দিষ্ট দিনে ছবি তুলেও এলাম। আক্ষেপ এখনো কার্ড হাতে পাইনি। তবুও সমস্যা ছিলো না। ছবি তোলার সময় প্রাপ্ত রিসিট দিয়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দিয়েছিলাম।
কিন্তু প্রথম বার ভোট দিচ্ছি বলে, তখন চরম পুলকিত ছিলাম। ভালোমতো ব্যালট পেপারই দেখতে পারিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পর মনে পড়লো; আহা! ব্যালট পেপারে কি লেখা ছিলো, ভালোমতো দেখলেই পারতাম। ভাবলাম> যাক; সামনে জাতীয় নির্বাচনে সময় নিয়ে ভোট দেবো।
আক্ষেপ; এবার আমার ভোটাধিকার নেই। সিলেট ১ আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।
ভোটার হয়েছি কিন্তু ভোট দিতে পারবো না। বিষয়টি সত্যিই বেশ কষ্টদায়ক।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আমার ভোট দেয়ার অধিকার থাকবে না কেন!!! আমার এতোদিনের অপেক্ষা যখন প্রাপ্তিতে পৌছুলো, তখন সরকার আমার অধিকার ছিনিয়ে নিলো কেন!!! কে দেবে আমার উত্তর? কার কাছে ফেরত চাইবো আমার অধিকার?