somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মায়ের ভালবাসা
"মাঝে মাঝে শীতকেও অনুভব করতে হয়, না হলে শীতের পরের উষ্ণতা যে কতটা আরামদায়ক সেটা বোঝা যায় না।।" "দৃশ্যের বাইরেও এমন কিছু অদৃশ্য শক্তি থাকে যার জন্য একজন মানুষও অপরিচিত থেকে অতি আপন হতে পারে, হতে পারে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।।"

বিদায়ের সুর বেজেছে (সি.এস.ই - ১৪)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এইতো সেদিন
সকালের মায়াবী সূর্যকিরণ ছিল রক্তাক্ত
শিশিরের অজস্র দানা সেদিন করছিল চিকচিক
আমাদের পদচারনায় ধন্য হয়েছিল দূর্বাঘাস
সকল মায়ার ত্যাগে আপন হয়েছিলাম যবিপ্রবি-র
পাঠ চুকিয়ে সমস্ত আমরা, ছড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে ।

সবকিছু যেমন ছিল তেমনই রবে
শুধু পরিবেশিত হবে না উনু-কাকুর জোড়া নৃত্য
ইমু আর করবে না মিনতি একটা ক্লিক এর জন্য ।
বুড়ো পেটওয়ালা ভাই নোবেল থেকে এখন পাবে শুধু ট্রফি
এসপিএন আর ফুটো ফুটো করে করবে না বাজিমাতি ।
সাদুর নামহীন সংঘটন রয়ে যাবে আজীবন অজ্ঞাত পরিচয়
ফিরু আর করবে না ইয়ে-ই-আ ইয়েস স্যার ।
মোটারা আর করবে না, নতুন বাতাসে বায়ু দূষণ
শ্রাবন্তির ঝাঁঝালো চিৎকার কাউকে করবে না আকর্ষণ ।
“রিতু-রা”একসাথে থাকলেও অট্টহাসিতে জমাবে না আসর
স্যার হবে না ষাঁড়-পুতুল রবে না মূর্তিমান ।
আড্ডায় কেটে যাবে না নির্ঘুম সমস্থ রাত্রি
বিন্তু থেকে যাবে ভাইয়ের ভালবাসায় রহস্যময়ীই ।
কেউ করবে না গুটিবাজি
কেউ দিবে না ভুট করে, বুট দিয়ে মেরে লাথি ।
হাবু খেলবে নতুন বুদ্ধিতে
কাকু-র প্রতি পাণ্ডুর দুর্বলতা রয়ে যাবে অগোচরে ।
কর্মব্যস্ত হয়ে যাবে সবাই একেক-একেক প্রান্তে থেকে ।

আর বসব না একসাথে ক্লাসে
কেউ মত্ত হবে না, কাগজ ছোড়ার বিনোদনে ।
হবে না বিরক্ত পড়ানোয় মনোযোগী শ্রদ্ধেয় শিক্ষক
কাউ-কেই দিতে হবে না নিজেদের অজান্তে সহস্র অধিক্ষেপ ।
টেবিলগুলোতে থাকবে শুধু বিদায়কালীন আমেজ
বীতরাপে আর কেউ বলবে না, শেষ হয়েও হল না শেষ ।

উগান্ডাদের কন্ঠে আর ভেসে আসবে না সমস্বরে – জালালী কবুতর
মঞ্চে দাড়িয়ে আর কেউ তুলবে না বজ্র কন্ঠে আওয়াজ ।
লাইভে যাবে না কেউ চায়ের কাপে মুখ লাগিয়ে ।
সময় যাবে না আর অলিতে-গলিতে দাড়িয়ে নমুনা সদৃশে
শকুনীয় চোখে নিলা, মায়া, ঝাপি আর অমিদের সন্ধানে ।
কতটা খুঁজেছি, হয়েছি আনন্দিত জানে নি তাদের কেউ
দৃশ্যের আড়ালে চলে যাব সবাই, দেখব না তো কাউকেই আমরা কেউ ।

রক্তাক্ত হৃদয়ও মন্দির আমার
থমকে থমকে কেপে উঠছে হাত কিছু লিখতে, এই ভেবে যে
আর বসা হবে না সিএসই চত্বরে ।
অঝরে ঝরছে চোখ এই ভেবে
ঢুকবোনা হৈচৈ-এ আর কোনদিন ক্লাসে ।
হু-হু করে কেঁদে উঠছে বেদনাহত অন্তর
পরিচিত কিছুমুখ আমরণ থেকে যাবে অদৃষ্ট ।
আমি আজ অচেতন, বিষণ্ণ এই ভেবে
বিভাগে ঘুরবো, থাকবে না বন্ধু কেউ
বাসে উঠব, থাকবে না কোন হুল্লোড় ।
থাকবে সবকিছুই শুধু থাকবে না অধিকার ।

বন্ধুত্ব সেতো এক একতার নাম
বুঝেছিলাম সেদিন অকথ্য নির্যাতনের পর ।
একে একে পার করেছি কতগুলো মাস, বছর, দিন
এখনও রয়ে গেছি আমরা আগের মতই অমলিন ।
নহে পরিচর্যা তবুও চাই বন্ধুত্ব চিরকাল
ডানা-বিহীন ভালবাসায় তোরা থাকবি অনন্তকাল ।

বন্ধু তোমাদের বলছি
আমাদের ভুবনে রেখ না কোন হিসাব, বিভেদ, বিরহ
অশ্রু মুছে দিয়ে, দুঃখ ভুলে থেকো বিশ্বস্ত ।
বন্ধুত্ব তো মাপকাঠি সম্পত্তি পরিমাপে
বন্ধু কখনও হয়না ক্ষুব্দ বন্ধুর আচারনে ।
আমরা ছিলাম আমাদের এটা রেখ স্মরণ
সবার হৃদয়ের মণিকোঠায় রেখো সবার আসন ।

দেখা যাবেনা পানির উপরে ভেসে থাকা
ঘাসপাতার শীতল বাতাসে দুলিয়ে দুলিয়ে নৃত্য ।
গন্ধরাজ সুগন্ধ বিলিয়ে যাবে
ছনে ভরা আমবাগান হবে আকাশমূখী
শুধু থাকব না আমরা ।
থাকবে দণ্ডায়মান তুমি উচ্চশিরে অনন্তকাল
নবীন আমি, আজ প্রবীণ আমাকে তো ছাড়তেই হবে স্থান ।
ভালো থেকো প্রানের ক্যাম্পাস
ভালো থেকো সিএসই বিভাগ, ভালো থেকো যবিপ্রবি ।।


--------------Dedicate to--------------
CSE-14 Batch
Day of Class Suspension
Dept. of Computer Science and Engineering
Jessore University of Science and Technology.
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১০
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×