somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিন্দু ব্রাহ্মণ জয়াললিতাকে কেন কবর দেওয়া হল?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তামিলনাডুর সদ্য প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর শেষকৃত্য যখন হচ্ছে মঙ্গলবার, তখনই অনেকের মনে প্রশ্নটা উঁকি দিয়েছিল যে তাঁকে কেন সমাহিত করা হচ্ছে? জয়াললিতা একজন হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কেন দাহ করা হল না?
সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, কয়েকটি সংবাদপত্রও নানা মত লিখতে থাকে।
চেন্নাইয়ের এক খাবারের হোটেল চালান কে রামচন্দ্রন। তিনি যে জয়াললিতার সমর্থক তা নয়। তবুও জয়াললিতার মরদেহ দাহ সংস্কার না করে কেন কবর দেওয়া হল - এটা নিয়ে তিনিও আশ্চর্য হয়ে গেছেন।
তিনি বিবিসি-কে বলছিলেন, "উনার মৃত্যুর খবর শুনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম, আর তার থেকেও বেশী অবাক হয়েছিলাম যখন জানতে পারলাম যে উনাকে হিন্দু পরম্পরা অনুযায়ী দাহ না করে কবর দেওয়া হচ্ছে।"
তামিলনাডু ব্রাহ্মণ সংঘ সেখানকার উচ্চবর্ণের হিন্দুদের একটি সংগঠন। তার প্রধান এন নারায়ণন বলছিলেন, "ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে হিন্দুদের বিশ্বাস আর ব্রাহ্মণদের পরম্পরা - এই দুটোকেই পুরোপুরি বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে দ্রাবিড় রাজনীতি। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের এই সিদ্ধান্তে শুধু তামিল ব্রাহ্মণরা নয়, অন্যান্য হিন্দুদেরও মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে।"
এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে জয়াললিতা নিজে তাঁর শেষকৃত্যের ব্যাপারে কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন কি না।
জয়াললিতা তামিলনাডুর তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে। এর আগে জয়াললিতার রাজনৈতিক গুরু এম. জি. রামচন্দ্রনকে আর তারও আগে দ্রাবিড় রাজনীতির জন্মদাতা আন্না দুরাইকেও কবর দেওয়া হয়েছিল বঙ্গোপসাগরের তীরে চেন্নাইয়ের মারিনা তটে।
তবে এম. জি. রামচন্দ্রন তামিল ব্রাহ্মণ ছিলেন না। তিনি মালয়লী মেনন সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন আর ব্যক্তিগত বিশ্বাসে জাতপাত মানতেন না।
আর আন্না দুরাই তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষ ছিলেন না। তাই ওই দুজনকে কবর দেওয়া হলেও কোনও বিতর্ক তৈরি হয় নি।
মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তামিল ভাষা ও সাহিত্যের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. বি. আরাসুও মনে করেন, জয়ললিতাকে যে দাহ না করে কবর দেয়া হলো, তার পেছনে দ্রাবিড় রাজনীতিই মূল কারণ।
ড. আরাসুর কথায়, "দ্রাবিড় আন্দোলনের সঙ্গে জয়াললিতাকে জড়িত রাখতেই হবে। আর দ্রাবিড় আন্দোলন হিন্দু ধর্মের ব্রাহ্মণ্যবাদী যে কোনও রীতি রেওয়াজ বা পরম্পরায় বিশ্বাস করে না। এই দুটোর অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে।"
হিন্দুত্ববাদ আর ব্রাহ্মণ্যবাদের সঙ্গে দ্রাবিড় আন্দোলনের এতটাই বিরোধ যে অনেক নেতাই নিজের পদবী লেখার সময়ে সেই অংশগুলো ব্যবহার করেন না, যা দিয়ে তাঁর জাত বোঝা যায়।
তথ্যঃ বিবিসি, বাংলা।


সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×