বাংলাদেশ আগামী দিনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে যাচ্ছে কোনটি ???
চুরি , ডাকাতি , দুর্নীতি ????
না.......
এসবের কোনটাই না.....
আগামীদিনের সবচেয়েবড় সমস্যা হবে রোহিঙ্গারা। আর হবে টবে তো পরে অলরেডি শুরু হয়েগেছে এদের উৎপাত।
১০ লাখ মানুষ , আগের আছে আরো পাঁচ লাখ এই মোট পনের লাখ কেবল সরকারি হিসেব । আর প্রকৃত সংখ্যাটা যে কতবড় সেটা তো হিসেবের বাইরে।
এই বিপুল পরিমাণ রোহিঙ্গা আমাদের মতো ক্ষুদ্র আয়তনের দেশের জন্য মারাত্মক সমস্যা। বাংলাদেশ এর জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০০০ জন/প্রতি বর্গ কিলোমিটারে !!! এমনিতেই এত মানুষের চাপ সামলানো কঠিন এরপরে এত ননপ্রোডাক্টিভ , অশিক্ষিত , কুসংস্কারাছন্ন লোকের চাপ বাংলাদেশের উপরে পড়লে সেটা আমাদের জন্য মারাত্মক ব্যাপার ।
আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সেনাবাহিনীর অফিসারদের থেকে জেনেছি এরা প্রচন্ড উগ্রবাদী। এরা এখন ওই এলাকার স্থানীয় বাংলাদেশি এমনকি আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীকেও মানছে না । এরা বলছে আমরা খাচ্ছি বিদেশিদের সাহায্য তাই বাংলাদেশিদের কথা আমাদের মানার প্রয়োজন নেই ! কক্সবাজারে অপরাধের ৮০% করছে রোহিঙ্গারা । ইয়াবা মাদক , পতিতাবৃত্তি সব কিছুতে জড়িয়ে পড়ছে এরা।
কেউ চাইলে কক্সবাজার যেয়ে এদের উগ্রতার মাত্রা দেখে আসতে পারেন ।
এরথেকেও বড় সমস্যা এরা জন্ম নিয়ন্ত্রণে অনাগ্রহী । একেক পরিবারে ৮/১০ জন করে সন্তান !!! এদের ফার্টিলিটি যেরূপ দেখা যাচ্ছে তাতে অচিরেই এদের সংখ্যা দ্বিগুন তিনগুণ হয়ে যাবে।
এত বিপুল সংখ্যক অশিক্ষিত লোক আমাদের জন্য বিরাট বোঝা। আর কক্সবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় এদের উপস্থিতি পর্যটন ও পরিবেশের জন্য হুমকি ।
জার্মানি ও ইউরোপ অনেক শরণার্থী নিয়েছিল কিন্তু তাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব ও জিডিপি আমাদের চাইতে অনেক ভালো অবস্থায় কাজেই তাদের সাথে আমাদের তুলনা করে লাভ নেই ।
এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাজেট হলো সৌদি আরবের , তুর্কির আর পাকিস্তানের কাছে যে পরিমাণ লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান আছে তাতে মায়ানমারের মতো দেশ দশ মিনিটে ধুলিস্মাৎ করে দেয়া যায় , মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সাবমেরিন যদি মায়ানমারের কোস্টাল এরিয়ায় আক্রমণ করতো তবে এরকম মায়ানমার না খেয়ে মরে যেতো । কিন্তু এসব দেশ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। দুই চারটা কার্গো বিমানে ত্রাণ পাঠিয়ে আর কি লাভ !
সব দায়দায়িত্ব আমার এই ছোট্ট দেশটার উপর !!!
আর শালার কার কাছে কি চাইছি ! সৌদি আরব নিজেই তো সন্ত্রাসী দেশ । ইয়েমেনের হাজার হাজার লোকের হত্যাকারী । আরবকে অস্থির করে রাখার মূল নায়ক । সে আর কি দরদ দেখাবে ছয় হাজার মাইল দূরের দেশের জন্য !
আর আমাদের প্রাণপ্রিয় বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের ভূমিকা নাইবা বললাম । ভারতের সেনাবাহিনী ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরে যে রকম পেলেট গান ব্যবহার ও সিভিলিয়ান কিলিং করে পরিস্থিতি কন্ট্রোল করছে তাতে বিশ্বের অনেক দেশ আর মুসলিম দেশগুলো তো বটেই প্রতিবাদ জানালেও বাংলাদেশ কিন্তু চুপ ছিল । এমনকি ভারতের উরি মিলিটারি ক্যাম্পে হামলার প্রতিবাদে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশ পাকিস্তানে আয়োজিত সার্ক সম্মেলনও বর্জন করেছিল !
প্রতিদান ???
আমাদের ক্রাইসিস মোমেন্টে ভারতের পিএম মোদি ও বিজেপি মায়ানমার যেয়ে তাদের সাপোর্ট দিয়ে এসেছেন ! রোহিঙ্গা নিয়ে একটি কথাও বলেননি !
আরে ভাই বিমানে যতই ত্রাণ পাঠাক না কেন ওসব তো আর স্থায়ী সমাধান হলো না আসল কাজেই তো সাপোর্ট নেই।
এত গেলো একটি ব্যাপার । সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের ত্রিপুরায় আবার দেড়কোটি লোককে "বাংলাদেশি" হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । হয়তো সামনে তাদেরও পাঠানো হবে বাংলাদেশে !!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৬