somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানুষ ঘেমে যায় কেন ? | বিজ্ঞানপোস্ট সিরিয়াল ২

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা ঘেমে যাই কেন ???

দৌড়াদৌড়ি বা যেকোনো পরিশ্রমের সময় , রোদে থাকলে , আতঙ্কিত হলে(যেমন ভাইভা দিতে গেলে বা কাউকে প্রপোজ করতে গেলে ) , অথবা ঝাল খেলে , অসুস্থ হলে সাধারণত আমরা ঘেমে যাই !

মানুষের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামের অংশটি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তো যখন আমরা পরিশ্রমের কাজ করি তখন আমাদের অতিরিক্ত শক্তির দরকার হয় । এই শক্তি উৎপাদন করে কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া , মাইটোকন্ড্রিয়া রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এটিপি(এডিনোসিন ট্রাই ফসফেট) তথা শক্তি তৈরি করে এসময় তাপ নির্গত হয়। তো এই শক্তি উৎপাদনের সময়(রাসায়নিক বিক্রিয়া) দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে । তাপমাত্রা বেড়ে গেলে দেহ থেকে হাইপথ্যালামাস এ সিগন্যাল যায় তখন হাইপথ্যালামাস দেহের ত্বকের কোষগুলোকে ঘাম উৎপাদন করার নির্দেশনা পাঠায় । ত্বকের কোষে ঘাম উৎপাদিত হয়ে সেটির দেহের বাইরে আসে ও দেহের তাপ শুষে নিয়ে বাষ্পীভূত হতে থাকে । এটি না হলে মানুষ থার্মাল স্ট্রোকে মারা যেত ।

একইভাবে তীব্র রোদে থাকলে দেহ গরম হয়ে যায় ও হাইপথ্যালামাস সেই গরম দেহকে ঠান্ডা করতে ঘাম উৎপাদন করার সিগন্যাল ত্বকের কোষে পাঠায় ।

আতঙ্কিত হলে দেহে এড্রেনালিন হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায় যেটি দেহে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে দেহের মাংসপেশি গুলোকে একটিভ করে । এসময়ও হাইপথ্যালামাস এ সেইম সিগন্যাল যায় ও ঘাম তৈরি হয় ।

জ্বর বা অসুস্থ হলেও দেহের তাপ বেড়ে যায় তখন ঘামের মাধ্যমে সেটি কন্ট্রোল করে হাইপথ্যালামাস ।


মানবদেব যে কতবড় আর কতসূক্ষ্ম একটি মেশিনারি সেটি আমরা ভেবেও দেখি না !
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×