আমরা ঘেমে যাই কেন ???
দৌড়াদৌড়ি বা যেকোনো পরিশ্রমের সময় , রোদে থাকলে , আতঙ্কিত হলে(যেমন ভাইভা দিতে গেলে বা কাউকে প্রপোজ করতে গেলে ) , অথবা ঝাল খেলে , অসুস্থ হলে সাধারণত আমরা ঘেমে যাই !
মানুষের মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামের অংশটি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তো যখন আমরা পরিশ্রমের কাজ করি তখন আমাদের অতিরিক্ত শক্তির দরকার হয় । এই শক্তি উৎপাদন করে কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া , মাইটোকন্ড্রিয়া রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এটিপি(এডিনোসিন ট্রাই ফসফেট) তথা শক্তি তৈরি করে এসময় তাপ নির্গত হয়। তো এই শক্তি উৎপাদনের সময়(রাসায়নিক বিক্রিয়া) দেহের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে । তাপমাত্রা বেড়ে গেলে দেহ থেকে হাইপথ্যালামাস এ সিগন্যাল যায় তখন হাইপথ্যালামাস দেহের ত্বকের কোষগুলোকে ঘাম উৎপাদন করার নির্দেশনা পাঠায় । ত্বকের কোষে ঘাম উৎপাদিত হয়ে সেটির দেহের বাইরে আসে ও দেহের তাপ শুষে নিয়ে বাষ্পীভূত হতে থাকে । এটি না হলে মানুষ থার্মাল স্ট্রোকে মারা যেত ।
একইভাবে তীব্র রোদে থাকলে দেহ গরম হয়ে যায় ও হাইপথ্যালামাস সেই গরম দেহকে ঠান্ডা করতে ঘাম উৎপাদন করার সিগন্যাল ত্বকের কোষে পাঠায় ।
আতঙ্কিত হলে দেহে এড্রেনালিন হরমোন ক্ষরণ বেড়ে যায় যেটি দেহে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে দেহের মাংসপেশি গুলোকে একটিভ করে । এসময়ও হাইপথ্যালামাস এ সেইম সিগন্যাল যায় ও ঘাম তৈরি হয় ।
জ্বর বা অসুস্থ হলেও দেহের তাপ বেড়ে যায় তখন ঘামের মাধ্যমে সেটি কন্ট্রোল করে হাইপথ্যালামাস ।
মানবদেব যে কতবড় আর কতসূক্ষ্ম একটি মেশিনারি সেটি আমরা ভেবেও দেখি না !
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৩