somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জোর করে বিয়ে দেয়া । আইন পোস্ট

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের অন্যতম খারাপ প্র্যাকটিস হলো সন্তানদের অমতে বিয়ে দেয়া । এই ঘটনা মেয়েদের বেলায় বেশি ঘটতে দেখা যায় । কিন্তু ইসলামী শরীয়ত বলে ভিন্ন কথা । নারীর ক্ষেত্রে বিয়ের জন্য তার অলির(অভিবাবক) পরামর্শ দেয়ার বিধান আছে কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক কোন নারীর অমতে তাকে তার অভিবাবকরা চাইলেই ইচ্ছেমতো বিয়ে দিতে পারেন না । এরকম করলে এক নাম্বারে তো অভিবাবক পাপী হবেনই দ্বিতীয়ত ওই মেয়ে চাইলেই সে বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, সেক্ষত্রে "স্বামীর" সম্মতিও লাগবে না ।


এ বিষয়ে প্রমাণ হিসেবে বুখারী শরীফের ৬৪৫৫ নাম্বার হাদীসটি পড়ে দেখা যেতে পারে

"পূর্বে বিয়ে হয়েছে এমন নারীর সাথে পরামর্শ করা ছাড়া তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। আর একজন কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি আছে কিনা জিজ্ঞাস না করে তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কুমারী মেয়েকে কিভাবে জিজ্ঞাসা করা হবে (কারণ, সেতো লজ্জায় হ্যা বা না কিছুই বলবেনা)।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ “কুমারী মেয়ের নীরব থাকাই হলো সম্মতি।”
সহীহ আল-বুখারী ৬৪৫৫।





আর এটি কেবল অভিবাবকই না সকল জোর জবরদস্তি বিয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । ইসলামি আইন অনুযায়ী মেয়ের অনুমতি ছাড়া কোন "বিয়ে" বিয়ে হিসেবেই কাউন্ট হবে না, অস্ত্র বা হুমকির মুখে ওই বাংলা সিনেমায় যা দেখি আরকি আমরা জোর করে কাবিনে স্বাক্ষর করিয়ে নিলে বা একশো বার কবুল বলালেও বিয়ে হবে না । বাবার ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা ভিন্নমত আছে বিভিন্ন মাযহাবে । যেমন, হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বাবার পরামর্শ দেয়ার রাইট আছে তবে জোর করে বিয়ে দিলে সেটা সঠিক হবে না যদিও বাকি তিন মাযহাব অনুযায়ী বাবার বিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে । তবে ইমাম আবু হানিফার কথার পক্ষে জোরালো এভিডেন্স আছে এবং বাংলাদেশ এর আইনও এটিকে সমর্থন করে । এর ভিন্নতাও দেশভেদে পাওয়া যাবে যেমন মালয়েশিয়া বাবা কর্তৃক মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়ার একটা চল আছে যদিও এটা এখন অনেক কমে গেছে তবে বাংলাদেশের আইন এ ব্যাপারে কনে বা মেয়ের মতামতের বিষয়টিই গুরুত্ব দিয়েছে ।


যা বলছিলাম , দেশের আইনও একই কথা বলে । জোর করে বিয়ে দিলে বা মেয়ের অমতে বিয়ে দিলে সেটা বিয়ে হিসেবেই গণ্য হবে না, মেয়ে চাইলেই এসব বাতিল হয়ে যাবে । এছাড়া ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও এসব গণ্য হবে ।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এগুলো হলো মুসলিম আইন । তার মানে এসব শুধু মুসলিম (বিশেষত বাংলাদেশের) ধর্মাবলম্বীদের উপরেই প্রযোজ্য । অন্য ধর্মের জন্য আছে তাদের আলাদা আইন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০০
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×