somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোঃ খুরশীদ আলম
যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মানুষ ও পশুতে পার্থক্য : মানুষই সৃষ্টির সেরা

২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ ও পশুতে পার্থক্য : মানুষই সৃষ্টির সেরা
=============== মোঃ খুরশীদ আলম
জীবনে সবাই বড় হতে চায়..।
আমি ;
আপনি;
পাড়ার হাসান, হাবিব, রহিমন, করিমন সকলেই। ব্যাতিক্রম নয় আমার ১০ বছরের পিচ্চিটিও ।
তবে, আমরা কিন্তু অনেকেই জানিনা আমাদের এই চাওয়া কিভাবে পূরণ করা সম্ভব।
আমাদের বৃদ্ধি ঘটে।
দেহে;
মনে;
মন-মগজে। তড়তড় করে বেড়ে উঠে লাউয়ের ডগার মতো। আবার, আর্থিক অবস্থারও হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। হ্রাস-বৃদ্ধির এই নিয়মিত পরিক্রমা অনেকটা আমাবশ্যা-পূর্ণিমার মতো। কখনো আলোর বিচ্যুরন ঘটায় আবার কখনো বিচ্যুতি।
যাা হোক, বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য অন্যান্য প্রাণী হতে আমাদের পৃথক করেছে। অন্যসব ক্ষেত্রে তাদের সাথে আমাদের বৈচিত্রময় মিল লক্ষ্য করা যায়।
এই যেমন ...
সংসারি জীবন যাপন;
সন্তান জন্মদান;
সন্তান লালন পালন;
সন্তানদের আহার যোগাড়ে ব্যস্ত থাকা।
গৃহ নির্মাণ;
নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম।
আহারের সন্ধানে দিক হতে দিগন্তে ছুটে বেড়ানো।
অনেক প্রাণীর আমাদের মতো সমাজ ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়েছে আইন-কানুন, বিচার ব্যবস্থাও ।
আমরা মানুষ, আমাদের অনেক অর্জন, অনেক জ্ঞান। জ্ঞান গরিমায় আমরা অন্যান্য প্রাণী হতে স্বতন্ত্রতার পরিচয় দিয়েছি। কিন্তু ; কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের চেয়ে প্রাণীরা অনেক এগিয়ে।
এই যেমন....
শক্তির দিক থেকে ১টি হাতি কয়েক শত মানুষের চেয়ে বেশী শক্তিশালী;
আবার একটা মশা, তারও কি শক্তি কম। একবার হুল ফুটালে সারাটা দিন চুলকানির কাজেই ব্যস্ত থাকতে হয়।
মানুষের চেয়ে একটি মাছির ঘ্রাণ শক্তি অনেক বেশী।
অন্ধকারে আমরা দেখি না,
কিন্তু একটি বিড়াল, শিয়াল বা কুকুর ? নিশাচর পাখি যেমন পেঁচা এর ব্যতিক্রম নয়।
সন্তান লালন পালন করতে বকরি, গরু, মুরগি তাদের মুরুব্বিদের দ্বারস্থ হতে হয় না, যেমনটি হতে হয় আমাকে- আপনাকে।
ডিম হতে ফুটার পরে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে তা কে শিখিয়েছে কবুতরকে?
আমার মাকে কিন্তু তার মা, তার মাকে তার মা শিখিয়েছে।
বাবুই কিংবা মৌমাছির মতো কারিগর মানুষের মাঝে আজো জন্ম হয়নি।
তবুও প্রাণীকূলের মধ্যে মানুষ সৃষ্টির সেরা। কেননা, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর প্রাণী রূপে সৃষ্টি করেছেন।
জ্ঞান দিয়েছেন;
ভাল-মন্দ বিবেচনা করার শক্তি দিয়েছেন;
বোধ-বিবেক কাজে লাগিয়ে ন্যায়ের পক্ষে রায় দেয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন আবার জেনেবুঝে অন্যায়কেও সমর্থন করার স্বাধীনতা দিয়েছেন। এখানেই মনুষ্যত্ব আর পশুত্বের বৈপরীত্য।
কখনো, কখনো আমাদের কর্মকান্ডে পশুত্বের রূপ প্রকাশ পায়। ফলে, মানুষে আর পশুতে বৈপরীত্য থাকেনা।
সমাজ মানুষের জন্য। আইন-আদালত, নিয়ম-কানুন, সমাজ-সামাজিকতা মানুষের কল্যানের জন্য। মানুষ যখন নিয়মের গন্ডিতে স্বীয় স্বাধীনতা সমর্পন করেন তখনই সমাজ বাসযোগ্য হয়; মানুষের জন্য, প্রাণীকূলের জন্যও। ব্যাত্যয় ঘটে তখনই, যখন মানুষ নিজেদের স্বার্থে অন্যের ক্ষতি, অন্য প্রাণীর ক্ষতি করতেও দ্বিধাবোধ করে না। আর্থিক-অনার্থিক, পার্থিব স্বার্থ আদায়ই যখন জীবনের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় তখনই বিরাজ করে অস্থিরতা। মানুষের মনুষ্যত্ববোধের প্রয়াণ ঘটে, কখনো কখনো হিংস্র জানোয়ারের আচরণে মনুষ্যত্ববোধের প্রকাশ ঘটে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষকে ব্যঙ্গ করার জন্য।
আমরা সেগুলো অবলোকন করি আর বলি প্রকৃতির ব্যতিক্রমী আচরণ! আসলেকি তাই ?
অন্ধরা দেখেনা, যার অন্তর খোদায়ী নূরে আলোকিত, অন্তরের দৃষ্টি পবিত্র সেই বুঝে এর মহিমা।

পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণে আজ সর্বত্র মানবতার সূর্য অস্তমিত হয়েছে। সর্বত্র হাহাকার, সর্বত্রই নাই, নাই আর নাই। ধন-সম্পদে কোষাগার ভরপুর, শান্তির লেশমাত্র নাই, কিন্তু কেন ? কারণ আমরা চলেছি নিয়মের বিপরীত, কল্যানের বিপরীতে। ভোগ আর স্বার্থপরতা আমাদের দৃষ্টিসীমায় প্রাচীর দাঁড় করিয়েছে। সুতরাং, আমাদের দৃষ্টি প্রাচীর পর্যন্তই। কোন এক হুকুমে সেই প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে মহাকালের পথে যাত্রা শুরু এই সন্নিকটে;
বহনকারী এলো বলে;
ভাবার দুদণ্ড সময় হাতে আছে কি ?
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×