সড়ক পথে যাত্রীদের প্রতি
শিরোনাম দেখে বুঝতেই পারছেন আলোচনা কি নিয়ে হতে পারে।
হ্যা, আপনি একেবারে সঠিকটাই ভেবেছেন।
বলছিলাম সড়কে আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে।
এদেশে যে কয়েক শ্রেণীর মানুষ বাস করে তাদের মধ্যে আমার মনে হয় ড্রাইভার বা চালকরা সবচেয়ে বেশী ভিআইপি, আর সাধারণ যাত্রীগণ হলো ভিএনপি (ভেরী নরমাল পারসন) ।
সড়ক পথের দুর্ঘটনা আজ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে। এমন কোন দিন নাই মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মরছে না বা আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে না।
এটা একটা বড় সমস্যা আমাদের জন্য, মহামারি বললেও কম হবে।
এ সমস্যা বন্ধ হওয়া দরকার।
কি হতে পারে এর সমাধান ?
কি করলে দুর্ঘটনা একেবারে শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে ?
যাত্রীবাহী বাসসহ কোন পরিবহনে হর্ণ ব্যবহারের আমি কোন প্রয়োজন মনে করি না।
আমি একজন বাইক চালক। আমি নিজ অভিজ্ঞতা হতে দেখেছি, সড়ক-মহাসড়কে লোকাল সিটি বাসগুলোর চালক, মা্ইক্রো বাসের চালক, কারের চালক, ট্যাম্পু চালক, সিএনজি চালকরা বাইকের ঠিক পিছনে এসে একটানা হর্ণ দিতে থাকে, পথচারীর ঠিক পিছনে এসে হর্ণ দিতে থাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গাড়ি অপর গাড়িকে ওভারটেক করে সড়কে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে। বাস ভর্তি যাত্রীগণও কম যায় না। দ্রুত চালানোর জন্য চালককে বারবার তাগাদা দিতে থাকে। চালক ও হেলপারের অভদ্র ব্যবহারের শিকার হন কোন কোন যাত্রী কিন্তু অন্য যাত্রীগণ তাদের এহেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনা। ব্যস্ত সিটি বাসে যাত্রীদের পকেট কাটা দলের আক্রমণের শিকার হন কোন কোন যাত্রী, এরুপ প্রায়ই হয় কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অপর যাত্রীরা নিরব ভূমিকা পালন করে বা নিরব দর্শক হয়ে থাকে।
এই ধরণের কর্মকাণ্ডের অবসান হওয়া দরকার, এতে আমাদের (যাত্রীদের) ভূমিকাই মূল সমাধান হতে পার বলে আমি মনে করি।
► বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে তাৎক্ষণিক চালককে সুধরে দিতে হবে।
► সড়কের ডান বাম দেখে সড়ক পার হতে হবে।
► মনে রাখতে হবে, নিজের নিরাপত্তা নিজের সচেতনতার উপর নির্ভর করে।
সরকারী, বেসরকারী, মিডিয়াসহ সকল ক্ষেত্র হতে সড়ক দুর্ঘটনার কুফল সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা ও সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে।
ব্লগারদের সচেতনতামূলক পোষ্ট সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।
আরো একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমাদের সচেতনতাই পারে যে কোন সমস্যা হতে সমাধানের একমাত্র উপায়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯