মার পাঁকের ঘরের থালা বাটি নাড়ার এখনো শব্দ পাই , ভাবছি ওই তো মা বুঝি দু হাত নেড়ে নেড়ে
পিয়াজ মসল্লা গুলো বাটছে, মাঝে মাঝে বাজার কিংবা কোন আড্ডা খানা থেকে ঘরে এসে মা বলে ডাক দিয়ে ফেলি, মা--- কই আমনে তখনই থমকে যাই তখনি বুকের মধ্যে একটা ক্ষত সৃষ্টি হয় ,
মা বুঝি নেই প্রথম কয়টা দিন বিশ্বাস হচ্ছিল না
মা নেই কথাটা ----- তবু ঘরে এসে মা মা আমার চার্জার টা কই মোবাইল চার্জ নেই একটু চার্জ দেব, -----ওই চা কই রাখছোছ না আরে একটু খুঁজলে কি হয় তখনই মা খুঁজে বের করে আনল, ----- মাঝে মাঝে কোথায় যাওয়ার সময়,
মা মা কলেজ যামু আমার কালো শার্টটা কই, ওই মা চাবিটা কই ,মা জুতা জোড়া কই, মা গোসল করব তোয়ালে আনতে ভুলে গেছি,
তাড়াতাড়ি নিয়া আহেন, মা মা বাজারে যামু টাকা আছে কয়টা টাকা দেন না, মা কাল পরীক্ষা আছে সাতটায় জাগিয়ে দিও ওই কিরে ঘুম থেকে উঠবিনা আজ তোর পরীক্ষার সময় যায় ।
মা ওই ছেলেটা আমাকে এমন বলছে বিশ্বাস কর মা আমি কোন দোষ করিনি।
পিঠা বানিয়ে বানিয়ে টেবিলে হাজির করত মা জানে পরীক্ষা দিন কিছু খাইনা। পিঠা আমার খুব শখ তা অবশ্য খাই।
ওই কিরে সকালে কিছু খাস নাই এখানো খাবিনা দুপুরের টা খেয়ে
ওই জলদি করে রাতে ফিরিছ ঘরের রান্না তরকারি নষ্ট হয়ে যায়। এ গুলো গরম করতে কষ্ট হয়
আর বাপু একলা বাড়িত কেমন কেমন ভয় লাগে তুই দ্রুত বাসায় ফিরিছ আমি একলা ঘরে এখন থাকতে পারিনা।
এসব কেউ বলছে না যত ডাকছি ফিরছে না মা মা মা---- জানি সে বুঝি আর ফিরে আসবে না।
জীবনের কত জন্ঞাল ঝামেলা ছিল পরিপূর্ণ
কোন দিন সস্তি বোধ করে বলা হয় নাই মা তোকে অনেক ভালবাসি মা গলাটি জরিয়ে ধরে বলা হয়নি,
মা তোকে ভালবাসি ,মার সেই জায় নামাজ টি ঠিক সেখান টায় পড়ে আছে। ঠিক তার গোছানো কাপড় গুলো শুধু মা টি নেই।
একটু দাঁড়িয়ে যাই নিরবতা চোখ জল ঝরলো। মা নাই এই কথাটা শুনলে কেমন জানি মাথাটা নুইয়ে নুইয়ে ঝিমিয়ে পরে আকাশ ভরা একটা চিৎকার না করেই থেমে যাই আমি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫