শীতের গা ঢেকে পোশাকে গরম করি দেহ
খবর নিয়ে দেখি একটু
পাশের লোকেরা কি
আছে তাদের পরিধান ।
পুরাতন যা পরিধেয় বিলিয়ে দেই তথা
শীত রক্ষায় সিদ্ধ হস্তে করে বস্ত্র দান।
ছালা গেথেঁ গায় জড়িয়ে এক রাত্রি কাটে
তারাও আমাদের সমাজ সন্তান,
কেহ কি পারে না একবার এগাতে গুচ্ছ
থাকার বৃত্তে হৃদয়বান ।
শীতের সূর্য রাখে গরম দিবস তব
তাপ সঞ্চালনে করে সহতা বাড়ায়,
তার অনুপস্থিতিতে কে দেবে? গায় গরম কাথা
পাশ টায় কভু এসে তো যেন কে? দাঁড়ায়।
ধন সমৃদ্ধ ব্যক্তি উঁচু পিছু মাথা সাড়া লয়ে,
সহনীয় মনোভাব তত তীক্ষ্ম শুভ লগনে দৃষ্টি নজর
মৃদু শীতার্ত বস্ত্র শ্রেয় শ্রেনীর রক্ত চলার সঞ্চলন।
স্ববল কম্বলের পুঁজি কাঁড়ি ভরা বাসা বাড়ি,
শীতের পুরানো ফেলা নতুবা নতুন কেনার খেয়াল,
গরিব অসহায় না কেনার অর্থ যোগার নেই সাধ্য
ঢেকে গেছে উচ্চ শীতের দেয়াল।
মুখে আটকে রাখে ধরে শীতের লগে কড়া পান্ঞা
লড়াই মারে খুঁট দেহ তনু দেহ কায়া,
ভাঙা বেড়া পাশ দিয়ে শির শির হিমেল বেয়ে
আসছে কন কন ঠান্ডা বায়ু ছে কুন কুন আওয়াজ।
চাহিবার এমন বাক মেলেনা কভু ছোট্ট হেয়ের লাজে
ভোরের সূর্যের গরমে সাড়ি বেধে বসে রোদ্দুর খুজে ।
শীতের সূর্য অপেক্ষায়
---------------
কন কন ঠান্ডে সূর্যের দেখা নেই
গা ডাকা দেওয়ায় শরীরে কিছু নেই ,
ঘেনিয়ে আসছে রাত্রি বেলা নিশি।
রাতের দৃশ্য ধরা দিল খনিক ক্ষনে
জন ভীর ঘন কমে গেছে চারদিক?
ফেরে গেছে যার যার গৃহে ,
অন্য দেহের গোলমালে পুষে তাপমাত্রা
নেওয়ার মত নেই সাড়া।
কাঠ কুটো আগুনের জ্বালিয়ে তাপ দিয়ে
গা গরম করি সারারাত।
পোহায় না গভীর সু দীঘল দীর্ঘ রাত।
শীতের সূর্য অপেক্ষায় ।
সূর্য জানেনা আমাদের শীতের কাপড় অভাব।
আগুনের দীর্ঘক্ষণ তীব্র রূক্ষ মেজাজ,
হাত পা গুলো হয়ে কালো আমাদের
ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে পড়া চোখে নামে ঘুম।
থামিয়ে নেয় নিদ্রা শীতের মৃদু কন কন ঠান্ডে।
শীতের সূর্য অপেক্ষায় ।
হাত পা গুলো এগিয়ে দেই আগুনের শিল্কে
শীতর হিম বায়ু কাল ধেয়ে আসে রাত শিশিরে,
গাছের পাতার টুপ টুপ ঝরে বরফ জল ফোটা।
আগুন বুঝি হেরে যাচ্ছে ঠান্ডায় অগ্নি নিভু নিভু।
শীতের সূর্য অপেক্ষায় ।
রাত টি পাড় করি খালি দেহে।
সূর্য তুমি হে ভাই ।শুধু তোমার অপেক্ষায়
একটি একটি শীতের রাত যায় ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯