এইতো সেদিন, পথকবি সাহেব রাস্তা ধরে হাটছিলেন, কবিদের মনে হয় সব কিছু দেখে নিজেকে উদাসী ভাব করতে হয়। কবি হাটছিলেন কড়া রোদের মাঝে। হঠাৎ হন্তদন্ত হয়ে একটি মেয়ে কবিকে পেছন ফিরে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন।
ধরা যাক মেয়েটির নাম লাবন্য, কেননা লাবন্যের প্রভাবে কবির শরীর পুরটা শিহরিত হয়ে গেছে। নিতান্ত বেখেয়ালি হয়ে কবি তার পিছু নিলেন। সাময়িকের মাঝে কবি মেয়েটার ঘারের দিক গোলাপি কিছু লক্ষ্য করলের এবং যেটা দেখে আশপাশের কিছু মানুষ বিদ্রুপের পাশাপাশি একগাদা সস্তা মজা নেবার চেষ্টা করছে।
ব্যাপারটা কবি বুঝতে পেরে ডাকতে লাগলেন এই যে লাবন্য-
প্রথম ডাকে কারও কোন ভাবান্তর হলোনা। কবি আবারো জোরে ডাকতে লাগলেন
তথাকথিত লাবন্য ফিরে তাকালো।
কবি তার মুখে মিষ্টি একটি হাসি টানিয়ে বললেন-
আপু আপনার পিঠের উপর দিয়ে সুন্দর গোলাপি ব্রা এর বেল্ট বেরিয়ে আছে যেটা দেখে সবাই বেশ মজা নিতেছে।
বলার কয়েক সেকেন্ডের মাঝে মেয়েটি আড়চোখে দেখে ঠিক করে নিয়েই প্রতি উত্তরে-
আপনারা ছেলেরা এত খারাপ কেন, চোখ কে স্থির রেখে চলাফেরা করতে পারেন না। সাথে আরও কিছু কঠিন কথা বলল।
কবি শুধু হা করে গিলতে লাগল, আশপাশ কেমন নিথর হয়ে আছে, সবাই ভাবছে কবি কোন অন্যায় করে ফেলেছে।
কবির লাবন্য দ্রুত স্থান ত্যাগ করলো। গাধার মতো দাড়িয়ে কবি দুইটা লাইন গুনগুন করলো ..
"বক্ষ উদর পৃষ্ঠ করে বেড়িয়াছে গোপন টুকরা
দেখিয়াছে সবাই নিয়েছে মজা আমিত বাধা দিয়ে খেয়েছি ধরা"