somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেই কোয়াল (কপাল), হেই মাথা, ঘুরি ঘুরি কোয়াল হাতা [যে কপাল সেই মাথা ঘুরে ঘুরে কপাল খুঁজো, লাভ নেই]

১১ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দাবী, দাওয়া, চাহিদা ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দ মাথার ভেতর জট পাকিয়ে ”না-অনুভবের” চাতালে আছড়ে ফেলে। তুচ্ছ, অতি মানবদেও কাছে যেসব জিনিস অতি তুচ্ছ সেই অনুভূতিগুলো পেয়ে বসে সারাক্ষণ। নিজের অজান্তে অভিযোগের ঝাঁপি খুলে পুরো পৃথিবীকে প্রতিপক্ষ ভেবে আক্রমণ শানাতে থাকি।

২০০৭ এর জানুয়ারির ১১ তারিখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার + আর্মির ক্ষমতা অধিগ্রহণ, তার আগের ৫বছর বিএনপি জামায়াত এর অশৈলী-অসুর দাপানো দেখতে দেখতে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়েছি কতবার!
অনেক স্বপ্ন নিয়ে ২০০৮ এর নির্বাচনে ভোট দিয়েছি, অন্তত ১০০ ভোট আয়ামী লীগের জন্যে চেয়ে এনেছি।
কি অসহনীয় বিদ্যুত বিভ্রাটে কেটেছে তারেক আমলে। আমাদের কষ্টকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তারেক-মামুন খাম্বা বানিয়েছে, কিনেছে। অন্তরের গভীর থেকে যতটুকু অভিশাপ দেয়া যায়, দিয়েছি। এখন আমরা আবার ৫১হাজার খুঁটি কিনেছি। একটা পাওয়ারপ্ল্যান্ট তৈরী করার উদ্যোগ নেই। কোন অফিস, আদালত, নতুন ভবন দিনের আলো ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলার আইনী বাধ্যবাধকতা নেই। চব্বিশ-পঁচিশ তলা এক এক অফিস, এক এক ফ্লোরে ২০০-৩০০ বাতি জ্বলে, দশ বিশটা এসি প্রতি ফ্লোরে। ভেন্টিলেশন নেই। সব বন্ধ। প্রজ্ঞাপন জারি করে হাফ হাতা শার্ট পরার বিধান, টাই না পরার স্যুট না পরার পরামর্শ। নারীরা কি করবে? নাঙ্গা থাকবে বিদ্যুত বাঁচাতে! যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। শেষ পর্যন্ত ভারত থেকেই বিদ্যুত আনা, তাহলে পরিত্রাণ দিতে এত দেরী কেন?

পাঁচ সাতটা পাম্প ঘুরলেও গাড়ির গ্যাস পাওয়া যায় না। প্রেসার নেই অথবা পাওয়ার কাট্ । আমরা বাসায় গ্যাসের চুলায় বাচ্চার কাঁথা শুকাচ্ছি কিংবা কারখানায় ঘ্যাসের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ চালু রাখতে আরেক এলাকার হেঁশেলই বন্ধ করে রাখাচ্ছি। বাসায় বাসায় সিলিন্ডার গ্যাস দেয়া যায় না? চালু করা যায় না প্রিপেইড মিটার?

প্রতিদিন ৩০, ৩০- ৬০ কিলো রাস্তা পাড়ি দিতে রাস্তায় ৬ ঘণ্টা। লেইন, স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল কতকিছু! গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেয়া বন্ধ করা যাবে না। প্রতি সপ্তাহে, না প্রতিদিন যেন ২০০ গাড়ি নামছে রাস্তায়। কি অসহনীয়, অসহ্য অবস্থা! সারবিশ্বে মন্দার কারণে যেখানে গাড়ির ব্যবসা পড়তির দিকে সেখানে আমার দেশে রমরমা। যেদিকে তাকানো যাবে কেবল মানুষ। প্রাইভেট অর্গানাইজেশনগুলো স্টাফ বাস দেয় না। কি দুর্ভোগ মানুষের, আহ! পরিবহন খাতের ব্যবস্থাপনা হাত বদল হয় ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে। আমরা জিম্মি। ৩৯ বছর স্বাধীনতার। ব্যবসায়ীদের (সড়ক পরিবহন) মন রাখতে রেলখাতের কোন উন্নতি করা হলো না। উড়াল সেতু, পাতাল রেল হবে কারণ এখানে টাকা খাওয়া যাবে। নরমাল ট্রেন দিলে আর কয়টাকা খাওয়া যাবে! নিজের মাথার চুল নিজের ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। কেন এসব ভাবি?

কোন ফল পঁচে না। কেমিক্যাল।

কোন নদীর পানি শোধনযোগ্য না । সেগুলোই আমরা খাই। ব্যবসায়ীদের ছাড় দিয়ে ফ্যাক্টরীগুলোতে ইটিপি করা আমরা বাধ্যতামূলক করি না।

পুরো ঢাকা অবরুদ্ধ জ্যামে। ক্যান্টনমেন্ট এর রাস্তা রেস্ট্রিকটেড, বারিধারার রাস্তা রেস্ট্রিকটেড। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বিদ্যুত যায় না। ওরা কি আমাদের চাইতে কর বেশি দেয়?
কবে হবে ক্ষমতা, প্রশাসনেরর বিকেন্দ্রীকরণ? কবে ঢাকামুখী স্রোত, মানুষের ঢল কমবে কাজের খোঁজে? কবে ক্রসফায়ার থামবে? কবে কৃষকলীগের নেতার ছেলে কাউকে ধর্ষণ করবে না? কবে বিএনপি জামায়াত এথনিক ক্লিনসিং এর মতো পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করবে না?বেনিয়ার হাতে আমাদের সব গেছে আমরা আর স্বপ্ন দেখি না। বন্ধুর ১৬বছরের সংসারে সব ডাকতি হতে দেখেছি, কিচ্ছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ্, বন্ধু গভীর বেদনা নিয়ে দেশ ছেড়েছে। নিজের গাড়িতে বসে, নিজের মোবাইলখানা তুলে দিয়েছি হিরোঞ্চি ছিনতাইকারীর হাতে বাধ্য হয়ে। তুলির নাচে আর রং ছোটে না। অর্থহীন স্বাধীনতার বুলি পৌঁছয় না ভেদ করে খুলি। রাতে ঘুমাতে চাই, দিনে কোন শয়তানের বাচ্চার বখাটেপনা না দেখে রাস্তায় চলতে চাই। মূর্খ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কলুষিত আমলা, কুলাঙ্গার ছাত্রলীগ যুবলীগ এদের মৃত্যু চাই। জামায়াতীদের মেরে তাদের গণকবর এর উপর হিসু করতে চাই। একটা আকাক্সক্ষাও কি পূর্ণ হবে যদি সুস্থভাবে বাঁচতে না পারি?

ভালোবাসাতে ও গ্রীষ্মের খান্ডবদাহন বৈরী আবহাওয়া আমদানী করে বসে থাকে। এবাসা ওবাসা সবই এক।

মানুষ, মানুষ আর মানুষ।

কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি - দে না ভাই তোদের শত কোটি প্রফিট থেকে এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট পাওয়ার প্ল্যান্ট করে। দে না কোটি মানুষকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে। শীতে ২টা সোয়োটার দিয়ে আর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দুর্যোগ শেষে টাকা দিয়ে দাঁত কেলায়ে ছবি দিবি পেপারে, টিভিতে। তোদের স্টাফদের স্টাফ বাস দে, দুপুরের খাবার দে। কোটি মানুষকে শুষে তোদের হাজার কোটি টাকা মুনাফা। কিছু পাবলিক বাস নামা। ট্রেনের ৫টা বগি কিনে দে। কিছুই দিবি না। কারণ এসবে নাম ফাটবে না। তোড়া ঘোড়ার ডিমের গলফ খেলার জন্য টাকা দিবি। গলফ খেলে জাতে উঠবি। উদভ্রান্তের মতো লাগে অব্যবস্থাপনা দেখতে দেখতে! কিভাবে পালানো যায় এসব ভাবনা থেকে?
মুক্তি খুঁজি অহরহ...
২৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×