somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন শব ব্যবচ্ছেদ করি!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি একটা গল্প বলি। আদারওয়াইজ নেবেন না কেউ Click This Link এটার কনট্রাসট বলে। একদম কার্বন কপি দিচ্ছি। কসম কোন মিথ্যা বলবো না।

বাবুর সাথে ফারহানার বিয়ে হয় ৩বছর আগে। ওদের এখন ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তো বিয়ের পরদিন মানে বৌভাতের দিন থেকেই মেয়েটাকে বাবুর পরিবারের সবাই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মারে। বাবুকে ফোন করে আবল তাবল কানভারী করা কথা বলে ফারহানার উপর শারিরীক ও মানসিক অত্যাচার করায়। প্রথম যখন বিয়ের পর বাবুর বাবা মা ঢাকায় আসে ছেলের সংসার দেখতে তখন ফারজানা সব খিছু শাশুড়ীর কথা মত করতে থাকে। যেদিন তারা আসে সেইদিনই তাদের আসার ঘন্টাখানেক আগেই বাবু কোন ঘরে কে থাকবে এই নিয়ে তর্ক বাঁধিয়ে ফারজানার গলা টিপে ধরে আর গায়ে চুলার উপর থাকা গরম পানি ঢেলে দেয়। ফারজানার গলাটা ফুলে যায়। তারা যখন ফারহানাদের বাসায় পৌছায় তখন ফারহানা তাদেরকে বলে যে পানি ফুটাতে দিয়েছিল তাই গায়ে পড়েছে ছলকে! আর গলায় ব্যাথা পেয়েছে।

যাক মাংস নিয়েই ঘটনাটা লিখছিলাম। গলায় ব্যাথা থাকায় ফারহানা কিছু খেতে পারছিল না। ফ্রীজে ভুঁড়ি ছিল। ফারহানা কাটতে বুঝত না বলে রেখে দিয়েছিল। বাবু মা' কে রান্না করতএ বলে সেদিন। ফারহানা শাশুড়িকে মশলা রেডী করে দেয়। তিনি রান্না করেন। ফারহানা শুধু দুধ আর জুস খাচ্ছিল গলা ব্যাথায়। ফারহানা খেতে পারল না, যদিও ভুড়ি ওর খুব পছন্দের! পরদিন কাজের বুয়াকে সমান্য ভুঁড়ি ভাজি দিল ফারহানা। বুয়াটাকে ভাল কিছু রান্না হলেই দেয় সে। তারপর নিজে ভার্সিটিতে গেল। বাসায় ফেরার পর ওর শাশুড়ি জিজ্ঞেস করলো কাল কে এত গুলো ভুঁড়ি রান্না হল কোথায় গেল। সে বললো বুয়াকে অল্প দিয়েছে। ওর শাশুড়ির তাও বিশ্বাস হল না। বিকেলে বুয়া আসলে তাকে জিজ্ঞেস করলো সত্যতা জাচাই করতে। রাতে খাবার টেবিলে বসে বাবুকে কি যেন বললো ফিসফিস করে, তারপরই বাবু খেয়ে উঠেই ফারহানা কে অকারনেই থাপ্পড় দিল অনেক গালিগালাজ করলো।

এ পর্যন্তই থাক আপাতত। ঘটনাটা চাঁদ সূর্যের অস্তিত্বের মত সত্য!!!



দুটি ঘটনায় সত্য, এবং বাস্তব জগতেও হরহামেশা ঘটছে এমন ঘটনা! কিন্তু এর ফলাফল টা আসুন একটু বিচার করি! যদিও আমার জ্ঞান গরিমা এত বেশি না! মিআমির ঘটনা টা Click This Link যারা কাছ থেক দেখেছেন তারা কি করবেন? অধিকাংশই মুখে না বললেও মনে মনে বিশ্বাস করতে শুরু করবেন এ যুগের মেয়েরা, কিংবা সব মেয়েরা শশুর শাশুড়ীর সাথে বনিবনা করতে পারেনা! আবার আমার দেয়া ঘটনাটা যারা দেখেছে যেমন ধরেন ফারহানার বোন। সে বলেছিল" আমি বাপ মা মরা এতিম ছেলে কে বিয়ে করব," এমনকি ফারহানা এখন নিজেই শ্বশুর শাশুড়ি নামক সম্পর্কগুলোকে ভয় পায়!

আবার এইসব ঘটনা দেখে অনেক ছেলের অবচেতন মনে ধারনা হয়ে যায় "আমার বউ কখনও আমার বাপ মাকে দেখতে পারবেনা"! আবার ছোটবেলা থেকেই পরিবারের ছেলেটিকে মা বা বোনরা বলে "হ্যা বউ আসলে তো আমাদের ভুলে যাবি!!" তাতে করে বিয়ের পর তার বউ তাকে তার পরিবারকে নিয়ে ভাল মনে কিছু বললেও সে তা নেতিবাচক অর্থ খুঁজবে।আবার নির্যাতিতা মেয়েটিও শশুর শ্বাশুড়ীর সন্তান তূল্য ভেবে করা শাসন কেও নির্যাতন বলে ভ্রমে পড়বে!! কিছু দূষ্ট বা নষ্ট মানসিকতার নারী বা পুরুষ কখনও কখনও উভয়েই ভুল করে, আর তারই শাস্তি পায় কিছু সহজ সরল নারী পুরুষ, কিংবা কখনও কখনও পুরা পরিবার বা সমাজ ব্যবস্থা


এই সমস্যা গুলোর আসলেই কি কোন ওয়ান ওয়ে সল্যুশন আছে?!! আসুন আলোচনা করি। মিআমি কে ধন্যবাদ ঘটনাটা শেয়ার করার জন্য। কেউ দয়া করে পোষ্ট টিকে ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত করার অপচেষ্টা না করলে খুশি হব এবং কৃতজ্ঞ থাকব!!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৯
৫১টি মন্তব্য ৪৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×