somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গাণিতিক জুক্স [দ্যা লিজেন্ড অব গন্তু মিয়া] - ১

৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এ গল্প গন্তু মিয়ার,দ্যা গ্রেট গ্রেট গন্তু মিয়া।ইনিই সেই বিশিষ্ট গণিতজ্ঞ, গণিতবিদ গন্তু মিয়া যিনি জন্মের পর ওয়া ওয়া বলিয়া কাঁদিবার পূর্বেই ১ হইতে অসীম পর্যন্ত গুনিয়াছিলেন। যিনি প্রথমবার 'মা' বলিবার পূর্বেই 'আলফা' বলিয়া চিৎকার করিয়াছিলেন। যিনি তার প্রথম এবং একমাত্র প্রেমিকাকে ফুল দেয়ার আগে 'polynomial ring' উপহার দিয়াছিলেন (যদিও পরবর্তিতে ধোলাই খাইয়া স্বর্নের ring ই দিয়াছিলেন)। যিনি তার স্ত্রী কতৃক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হইতে আণীত অবশিষ্ট খাবারের উপর 'চাইনিজ রিমেইন্ডার থিওরেম' প্রয়োগ করিয়া আবিস্কার করিয়াছিলেন তার স্ত্রীর গোপন পরকীয়ার খবর এবং অতঃপর স্ত্রীকে n-তালাক দিয়াছিলেন। এবং তিনি গাণিতিক আরোহ পদ্ধতির সাহায্যে উহা আদালতে প্রমান পর্যন্ত করিয়াছিলেন (যদিও বিচারক তাহাকে সাময়িকভাবে মানসিক চিকিৎসা গ্রহনের নির্দেশ দিয়াছিলেন)। আমরা এই সিরিজে প্রবাদপুরুষ গন্তু মিয়ার ঘটনাবহুল জীবনের কিছু কিছু ঘটনার উপর আলোকপাত করিব :)

১।
দেশের যাবতীয় গণিত শিক্ষা শেষ করিয়া গন্তু মিয়া তখন প্লেনে করিয়া বিলেত যাইতেছিলেন।ঢাকা হইতে লন্ডনের ভ্রমনকাল ১০ ঘন্টা। প্লেন উড্ডয়নের কিছুক্ষন পর পাইলটের ঘোষনা শোনা গেল 'যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে আমাদেরকে একটি ইঞ্জিন বন্ধ করিয়া দিতে হইয়াছে,তবে এতে বিচলিত হইবার কিছু নাই শুধুমাত্র আমাদের ভ্রমনকাল কিছুটা দীর্ঘায়িত হইয়া ১১ ঘন্টা হইবে'।ঘন্টাখানেক পর আবারো পাইলটের ঘোষনা 'যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে আমাদেরকে আরো একটি ইঞ্জিন বন্ধ করিয়া দিতে হইয়াছে,তবে এতে বিচলিত হইবার কিছু নাই শুধুমাত্র আমাদের ভ্রমনকাল কিছুটা দীর্ঘায়িত হইয়া ১৩ ঘন্টা হইবে'। কিছুক্ষন পর আবার ঘোষনা এল 'যান্ত্রিক গোলযোগের কারনে আমাদেরকে তৃতীয় ইঞ্জিনটি বন্ধ করিয়া দিতে হইয়াছে,তবে এতে বিচলিত হইবার কিছু নাই একটা ইঞ্জিন সচল লইয়াও আমরা ১৭ ঘন্টার মধ্যে গন্তব্যে অবতরন করিতে পারিব'।এমতাবস্থায় গন্তু মিয়া লক্ষ্য করিলেন তার পাশের সিটে বসা ভদ্রমহিলা ভয়ে থর থর কাপিতেছেন এবং রাম নাম জপিতেছেন।গন্তু মিয়া জ্ঞানী জ্ঞানী স্বরে আশ্বস্ত করিলেন 'আরে ভয় পাইবার কি আছে? এ তো সাধারন গণিত, শেষ ইঞ্জিনটিও যদি বন্ধ হয়ে যায় তবুও আমরা ২৫ ঘন্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌছাইয়া যাইব'।

২।
একদা গন্তু মিয়া কোন এক সমুদ্র সৈকতে বেড়াইতে যাইয়া অসংখ্য লোকজনকে উদোম গায়ে বালিতে বসিয়া রোদ পোহাইতে দেখিয়া বড়ই বিস্মিত হইলেন। তিনি এক ইংরজকে ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন-
why do you people sit on the beach for hours under the scorching sun?
- to get tan
what?? what sort of a fool needs to burn in the sun to get tan? just devide the sine by cosine

৩।
গন্তু মিয়া অর্থ সংকটে পড়িয়া এক bar এ চাকরি নিলেন।একদিন বারের দারোয়ান চিৎকার করিয়া জানাইল 'অগনিত গণিতবিদদের একটি দল এদিকেই আসিতেছে'।গন্তু মিয়া অগনিত(অসীম) গণিতবিদকে দরজা দিয়া প্রবেশ করিতে দেখিলেন,তারা একে একে গন্তু মিয়ার দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল।প্রথমজন ১ গ্লাস মদ অর্ডার করিল,২য় জন ১/২ গ্লাস,৩য় জন ১/৪ গ্লাস।৪র্থ জন অর্ডার করিতে আসিলে গন্তু মিয়া শুধাইল 'আরে আর বলিতে হইবে না আমি বুঝিয়া ফেলিয়াছি,তোমাদের সকলের মোট ২ গ্লাস হইলেই চলিবে'।

৪।
বারের চাকরিখানা হারাইবার পরে গন্তু মিয়া একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি নিলেন।একদিন তিনি শেফকে রান্নায় সাহায্য করিতেছিলেন।শেফ বলিলেন 'গন্তু একখানা পাত্র নাও অতঃপর তাহার মধ্যে ২/৩ অংশ পানি নাও,১/৩ অংশ আটা নাও, ১/৩ অংশ চিনি নাও......' গন্তু বাধ সাধিয়া বলিল 'কিন্তু ইহা কিরুপে সম্ভব?? পানি,আটা,চিনিতেই তো পাত্রের ৪/৩ অংশ পূর্ণ হইয়া যাইতেছে' শেফ রাগত স্বরে উত্তর দিলেন 'আরে বোকা! জায়গা না হইলে বড় পাত্র নাও'।

৫।
একদিন গন্তু মিয়া রাস্তা দিয়া যাইতেছিলেন এমতাবস্থায় দেখলেন দুইটি বালক তার দিকে দৌড়াইয়া আসিতেছে।প্রথম বালক বলিল 'আপনি নাকি অনেক জ্ঞানী?'দ্বীতিয় বালক 'অবশ্যই জ্ঞানী,বিশ্বাস না হইলে প্রশ্ন করিয়া দেখ্‌ '।১ম বালক 'বলেন তো 'general calculus' কে?' গন্তু মিয়া সদর্পে বলিতে লাগিলেন 'জেনারেল ক্যাল্কুলাস হইল গণিতের সেই শাখা যে.........'।১ম বালক 'ধুরো বোকা! 'জেনারেল ক্যাল্কুলাস' হলেন প্রাচীন রোমান সেনাপতি'


**সকল কৌতুক সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:০৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×