নিখুত পশু কুরবানী দিতে হবে । এটা হাদিস কোরানের নির্দেশনা ।
কিন্তু, গরুর বলদ, আর ছাগলের মধ্যে খাসীর জাত । যেগুলোর ছোটবেলাতে টেস্টিস কেটে পুরুষত্ব নষ্ট করানো হয় , সেইগুলো কি করে কুরবানী হবে ? এটাই আমার প্রশ্ন । কারও জানা থাকলে জবাব দিবেন । এযাবৎ নিখুত পশু কিনতে কেউ পাঁঠা কিনে নেননি, সবাই খাসি ছাগলই বেঁছে নেন । গরুর ক্ষেত্রের এড়ে গরু কুরবানী দেয়া হয়, তা ঠিক আছে । কিন্তু বলদ গরুও কুরবানী দেয়া হয় , সেটা কি করে জায়েজ , যখন বলা হয়েছে নিখুত কুরবানী দিতে হবে ? নিখুত বলতে বলা হয়েছে অঙ্গহানী কোন পশু কুরবানী জায়েজ হবেনা । তাহলে টেস্টিস কাটা কোন পুরুষত্বহীন খাসী বা বলদ গরু কি কুরবানী শরীয়তে ইসলাম মোতাবেক জায়েজ হবে ?? কারণ, খাসি বকরী আর বলদ গরুকে টেস্টিস কেটে দুটি অপরাধ করা হল, এক তাকে পুরুষত্বহীন করা ও দুই অঙ্গহানী করা । কোন জীবের এই দুটো করানোই হারাম । কারণ, পুরুষত্বহীন করা হল তাকে বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা প্রদান থেকে বিরত রাখা, যা ইসলামের দিক দিয়ে হারাম । খোঁজা বানানো জায়েজ নয় । অপরদিকে অংগহানীও হারাম । তাহলে এমন জীব কি করে কুরবানীর জন্য উপযুক্ত ?
যদি না হয় তবে এযাবৎ কেন কোন আলেম এমন কথা ঘোষণা দিলেননা যে খাসি ছাগল ও বলদ গরু কুরবানী নাজায়েজ ?? এত ইসলামী চিন্তাবীদের মাথায় কেন এসব চিন্তা আসেনি ?
অবশ্য আমার খালু সেদিন আমার এমন প্রশ্নের জবাবে বললেন, তিনি নাকি এক হাদিস বিশারদের মুখে এই বক্তব্য দিতে শুনেছেন যে খাসি কুরবানী বা বলদ গরু কুরবানী করা জায়েজ হবেনা ।
আমার বক্তব্য ঐ হাদিস বিশারদ যদি ঠিক বলে থাকেন তবে বাঁকি দেশের আলেমরা কেন এই বিষয়ে কোন ঘোষণা দেননা ? প্রতি বছর ত লাখ লাখ ব্যক্তির কুরবানী কবুল হয় না ।
রসুল (সা) এর সময়ে পুরুষ ছাগল কুরবানি দেয়া হত তবে তার টেস্টিস কেটে খাসি বানানোর রেওয়াজ ছিলনা ।
এ বিষয়ে আপনাদের মতামত কি , না জানা থাকলে নিকটস্থ বড় আলেমদের মুখে জেনে নিবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৫