* ১ লক্ষ হাদিস যার আরবিতে মুখস্ত, যিনি বুখারী শরীফ আরবীতে ব্যাখ্যা করতে জানেন , তাকে সাইখুল হাদিন বলা হয় । বাংলাদেশে শত শত সাইখুল হাদিন আছে , কিন্তু তাদের মধ্যে সাঈদী সাইখুল হাদিস নয় ।
* কোমপক্ষ্যে ২০ হাজার হাদিস যার মুখস্ত , যিনি ফতুয়া দেবার যোগ্যতা রাখেন , যিনি দায়রা পাশ , তাকে মুফতি বলা হয় !!
বাংলাদেশে হাজার হাজার মুফতি হুজুর আছেন , কিন্তু সাঈদী কোন মুফতি নোন !!
* বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মাদ্রাসা হুজুর আছেন যারা মাদ্রাসার সন্মানজনক পদে ধর্মীয় শিক্ষক বা মাদ্রাসা প্রিনসিপাল হয়ে সন্মানিত হয়ে আছেন , সাঈদী কোন মাদ্রাসার শিক্ষকও নোন !!
* বাংলাদেশে অনেক বড় আলেম আছেন যারা আরব , মিশর , ইরাকে , বাহরাইনে পড়াশুনা করেছেন , ডক্টোরেড ডিগ্রী নিয়েছেন । সাইখ উপাধী পেয়েছেন । .. তাদের মধ্যেও কেউ নোন দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী !!
.. তাহলে সাঈদী কে ?? আসুন দেখি >>
উনি আসলে একজন বক্তা । জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বা কর্মীরা তাকে ইন্টারন্যাশনাল বক্তা বলে চালায় ! ইন্টারন্যাশনাল বক্তা আমি তাকে মানতে নারাজ । কারণ , যিনি বিদেশে গিয়ে বিদেশিদের জন্য বক্তব্য দেন তিনি ইন্টারন্যাশনাল বক্তা , আপনারা সাঈদীর এমন কোন ওয়াজ পাবেননা যেটাতে উনি বাংলা ছাড়া বক্তব্য দিয়েছেন । উনি মালেশিয়াতে গিয়ে বাঙালিদের সামনে বাংলাতে ওয়াজ করতেন , উনি দুবাই গিয়ে বাংলায় বক্তব্য দিতেন , উনি পৃথিবীর যে কোন দেশে গিয়ে বাঙালিদের সামনে বাংলাতে বক্তব্য দিতেন । তার শ্রোতাদের মধ্যে সকলেই বাঙালী থাকত , কোন বিদেশি কেউ থাকত না । তবে তিনি ইন্টারন্যাশনাল বক্ত হোন কি করে ??
উনি যদি আরবে গিয়ে আরাবিয়াদের সামনে আরবিতে, মালয়েশিয়াতে গিয়ে সেদের জনগণের জন্য সেদের ভাষা বা ইংরেজিতে বক্তব্য দিয়ে বিদেশিদের জনপ্রিয়তা অর্জন করতেন তবেই বলা যেত তিনি ইন্টারন্যাশনাল বক্তা । এমনকি তিনি পাকিস্তানে গিয়েও কখনও উর্দুতে বক্তব্য দিয়েছেন এমন কোন রেকর্ড নেই !!!
* উনার পদবির সাথে সাথে নামেও ভেজাল । নামটার পাশে সাঈদী শব্দটি কোন আসল শব্দ নয় । উনার এটি বংশ পরিচয়ও নয় । উনার বংশ হল শিকদার । দেলোয়ার হোসাইন শিকদার , তার পিতার নাম মওলানা ইউসূফ আলী শিকদার । উনি নামের সাথে বংশটি সাঈদী লাগিয়েছেন তা শিকদারের পরিবর্তিত রূপ !! .. মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশে কেন , সমস্ত ভারত বর্ষে কোন প্রদেশে সাঈদী বংশ নেই । এটি আরাবিয়ান বংশ । তবু গুটিকয়েক পরিবার আছে আরবে যারা সাঈদী বংশ !!
অথচ, বংশ পরিবর্তন করা আল্লাহর রসূল হারাম করেছেন !! রসূল (সা বলেন , তোমরা কেউ নিজের বংশ পরিবর্তন করিওনা , এটা হারাম , কেননা এটা তোমাদের পিতার পরিচয় । যারা বংশ পরিবর্তন করে তারা আমার দলের কেউ নয় !!
তার সার্টিফিকেটেও নামের শেষে শিকদার ছিল ২০০২ সাল পর্যন্ত । আলেম ও দাখিল পরিক্ষার সার্টিফিকেটে । কিন্তু তিনি মাদ্রাসা বোর্ডে দরখাস্ত করে সেই সার্টিফিকেটে নাম পরিবর্তন করে নেন , আর তার পত্রিকাতেও দিতে হয়েছিল নিয়ম অনুসারে ।
.... এই স্বল্প শিক্ষিত হুজুর (মাত্র ফাজিল পাশ) , তার কথার জাদুতে ও সুরেলা আওয়াজে মানুষের মন কেড়েছেন । আজ তাকেই ধর্মের দেবতা কেউ কেউ ভাবছেন । আসলে তাকে এত বড় কিছু ভাবার কারণ নেই । তার চেয়ে অনেক বড় বড় আলেম আছে যারা কথার ব্যবসা করে খায়না ।