দাদা দাদির ভিটা অথবা যেখানে দাদা দাদির কবর থাকে সেটাকেই আমরা নিজেদের দেশের বাড়ি বলে থাকি । কেউ শহরে থাকলে ঈদ করতে যান দাদাদাদির বাড়ি বা নিজের দেশের বাড়িতে । দাদা দাদির বাড়িতে অনেকের জন্মও হয়ে থাকে । দেশের বাড়িতে জন্ম দেয়ার সৌভাগ্য অনেকের হয় আর সেই দেশের বাড়িতেই তার নাড়ী পুঁতে রাখা থাকে । অর্থাৎ যেখানে নাড়ী পুঁতে রাখা আছে সেটার টানেই মানুষ বাড়ি ছোটে , তাই বলে নাড়ির টানে ছুটে চলছে দেশের বাড়ি ।
আসল কথাটা হল, তারেক রহমান জন্ম নিয়েছেন করাচি শহরে , তার দাদা দাদির বাসা ওখানে দাদা পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি শহরে চাকুরী করতেন, তার পিতা জিয়াউর রহমানও সেখানেই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন, করাচিতেই পড়াশুনা করেছেন আবার করাচি ক্যান্টর্ণমেন্টেই চাকুরীতে নিয়োগ নেন । তারেক রহমানের জন্ম করাচিতে পিতা ও দাদার অবস্থান সেখানে । তারেকের জন্মের সময় যে নাড়িটা কাটা হয়েছে তা ত করাচির মাটিতেই পুঁতে রাখা হয়েছে । .. নাড়ির টানে তার পাকিস্তান প্রীতি , হবেনা কেন , তার জন্ম সেখানে যে । তার দাদা দাদির কবর এখনও করাচি শহরেই আছে । তাহলে দেশের বাড়িটাও করাচীতে । জন্মসূত্রে , নাড়ির টান আবার দাদার ভিটা হল দেশের বাড়ি । সব মিলিয়ে এত ঘন প্রেম তার পাকিস্তানের প্রতি । আসলে উনি হলেন পাকবন্ধু , পাকি সন্তান ।
তারেক রহমানের জন্ম করাচিতে ১৯৬৪ সালে । জন্মসূত্রে পাকিস্তানী । পাকিবন্ধু হলে তিনিই হবেন কেননা, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় থেকে তিনি আইএসআই এর টাকা নিয়ে নির্বাচন করছেন , ক্ষমতায় থাকতে পাকিস্তানী গয়েন্দাদের নিয়ে এসে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আলাপ করিয়ে দিতেন । পাকিস্তান থেকে অস্ত্র এনে চালান করতেন ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছে । ভারতের পলাতক দাউদ ইব্রাহিম যিনি পাকিস্তানে থাকেন তার সাথেও বিভিন্ন দেশে বৈঠক করেছেন । মোট কথা পাকিস্তানের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করতেন । ... যারা বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ণ করে তারা কি পাকিস্তানী বন্ধু নয় ??? তারেক রহমান সেই পাকিস্তানী বন্ধু অথচ সেই কুলাঙ্গার বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন কিনা বঙ্গবন্ধুকে পাকিবন্ধু বলে ! চোরের বাচ্চা চোরে সাহস কত !!!
বঙ্গবন্ধু সারাজীবণ বাঙালীর হয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন , বাঙালীল মুক্তির সনদ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে পেশ করেছেন , ৬ দফা দিয়েছেন , ২৩ বছর রাজনীতির জীবণে ১৪ বছর জেল খেটেছেন , সেটাও পাকিস্তানের কারাগারে । যে নেতা মানুষের অন্তরের অন্তরস্থলে জায়গা করে নিয়েছিল, যে নেতার জন্য বাঙালী প্রাণ দিতেন , যে নেতা বাঙালীর কথা চিন্তা করে ফাঁসির দড়ির সামনে দাড়িয়ে ছিলেন , যে নেতা বলেছিলে ‘ আমি বাঙালী আমি মানুষ আমি মুসলমান , একবার মরে দুইবার মরেনা .......তোমরা আমাকে ফাঁসি দাও আমি হাঁসতে হাঁসতে ফাঁসির দড়ি পড়ব কিন্তু আমার বাঙালীকে অপমান করে যাবনা । কিন্তু একটা অনুরোধ , আমার মৃত্যুর পর আমার লাশ শিয়াল কুকুর দিয়ে না খাইয়ে বাংলার জমিনে আমার বাংলার মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিও । ...” যে নেতা মহান একটি দল খাড়া করেছিলে বাঙালীর বিজয়ের জন্য , আর সেই দলের প্রচেষ্টায় ও নেতৃত্বের মাধ্যমে তারই নির্দেশে দেশ স্বাধীন হয় । সেই নেতাকে এত বড় অবমাননা করে যে কুলাঙ্গার পাকিস্তানী চর বক্তব্য দিয়েছে তার প্রতি ঘৃণা বর্ষণ করি , সেই কুলাঙ্গার যেন আর কোনদিন বাংলার জমিনে রাজনীতি করার সুযোগ না পায় সেই কামনা করি । এরা দেশ জাতির শত্রু , এরা মানবতার শত্রু । এরা ইতিহাস জানেনা , যা জানে তা বলেনা , যা বলে তা মিথ্যাভাবে পরিবেশন করে । নিজের ফায়দা দেখে যে মিথ্যা, শুধু মিথ্যা নয় চরম মিথ্যা গলাবাজিয়ে বলে বেড়াচ্ছে , ইনশাল্লাহ এর প্রাশ্চিত্ত্ব একদিন তার হবে । মিথ্যা দিয়ে ভাল কিছু অর্জন সম্ভব নয় । যারা মিথ্যাকে পুঁজি করে তাদের স্থান মীর্জাফরের কাতারে খুজতে হয় । ... আমরা সত্যের সন্ধানে অবিচল থেকে এই পাপাচারকে চিরতরে প্রতিহত করতে চাই .... জয় আমাদের নিশ্চিত ইনশাল্লাহ ...