somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোটা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সম্পূর্ণ ভাষণ পড়ুন এবং তারপর আপনার মতামত দিন

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার জাতীয় সংসদে এ নিয়ে কথা বলেছেন। সরকারদলীয় সাংসদ জাহাঙ্গীর কবির নানকের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,

‘আলোচনা হলো, একটি সুনির্দিষ্ট তারিখ দিল, কেবিনেট সেক্রেটারিকে আমি দায়িত্ব দিলাম। তারা সে সময়টা দিল না। মানি না, মানব না বলে তারা যখন বসে গেল, আস্তে আস্তে সব তাদের সঙ্গে যুক্ত হলো। খুব ভালো কথা, সংস্কার সংস্কার বলে...সংস্কার করতে গেলে আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। কোটা থাকলেই সংস্কার। আর কোটা না থাকলে সংস্কারের কোনো ঝামেলাই নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই। আর যদি দরকার হয় আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি তো আছেন। আমি তো তাঁকে বলেই দিয়েছি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বসে তাঁরা কাজ করবেন। সেটা তাঁরা দেখবেন। আমি মনে করি, এ রকম আন্দোলন বারবার হবে। বারবার শিক্ষার সময় নষ্ট হবে।’

‘কয়েক দিন ধরে ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্লাস বন্ধ। পড়াশোনা বন্ধ। এরপর আবার ভিসির বাড়ি আক্রমণ। রাস্তাঘাটে যানজট। মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষ বারবার কষ্ট পাবে কেন? এই বারবার কষ্ট বন্ধ করার জন্য, আর বারবার এই আন্দোলনের ঝামেলা মেটাবার জন্য কোটাপদ্ধতি বাতিল। পরিষ্কার কথা। আমি এটাই মনে করি, সেটা হলো বাতিল।’

‘খুব দুঃখ লাগে যখন দেখলাম, হঠাৎ কোটা চাই না। কোট সংস্কারের আন্দোলন। আন্দোলনটা কী? লেখা পড়া বন্ধ করে দিয়ে রাস্তায় বসে থাকা। রাস্তায় চলাচল বন্ধ করা। এমনকি হাসপাতালে রোগী যেতে পারছে না। কর্মস্থলে মানুষ যেতে পারছে না। লেখাপড়া-পরীক্ষা বন্ধ করে বসে আছে। এ ঘটনা যেন সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমিই গড়ে তুলেছিলাম। আজকে ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইউটিউব, যা কিছুই ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো তো আমাদেরই করা। আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষা দেব, সে শিক্ষা দিয়েছিলাম। কিন্তু গঠনমূলক কাজে ব্যবহৃত না হয়ে সেটা গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একটা ছেলের মাথায় আঘাত লেগেছে। হঠাৎ একজন স্ট্যাটাস দিয়ে দিল যে সে মারা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেমেয়ে সব বেরিয়ে গেল।’

‘রাত একটার সময় হলের গেট ভেঙে মেয়েরা বেরিয়ে এল। শুধু একটি গুজবের ওপর। সে ছেলে যখন বলল আমি মরি নাই, বেঁচে আছে, তখন তাদের মুখটা থাকে কোথায়। এই স্ট্যাটাসটা কে দিল? কেন দেওয়া হলো। এই যে মেয়েরা বেরিয়ে এসেছে, অঘটন ঘটলে কে দায় নিত। সবচেয়ে ন্যক্কারজনক হলো ভিসির বাড়িতে আক্রমণ। আমরা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। সব আন্দোলনে সেখানে ছিলাম। স্কুল–কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি আন্দোলন করতে। কখনো ভিসির বাড়িতে গিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাঙচুর করতে পারে, সে ভাঙচুরটা কী? ছবি দেখে মনে পড়ছিল ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ৩২ নম্বরে ভাঙচুর করেছিল, ঠিক একই কায়দায়। এমনকি লকার ভেঙে গয়নাগাটি চুরি করা, টাকাপয়সা চুরি করা থেকে শুরু করে বাথরুমের কমোড খুলে রাখা, ভেঙে চুরমার করে দেওয়া। ভিসি, তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ের ওপর আঘাত পর্যন্ত করতে গিয়েছিল। যদিও অন্য ছেলেরা তাঁকে বাঁচিয়েছে। ছেলেমেয়েদের ভয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়েছে তাদের। একতলা–দোতলা সব তছনছ। শুধু তা–ই নয়, তারা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামের ভেঙেছে। রেকর্ডিং বক্সটা পর্যন্ত সরিয়ে নিয়ে গেছে। কত পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না বা ছাত্র বলে আমি মনে করি না। কারণ কোনো শিক্ষার্থী তার শিক্ষককে এভাবে অপমান করতে পারে না, আঘাত করতে পারে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। সব থেকে জঘন্য ঘটন ঘটিয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটা কী ধরনের কথা।’

‘তারা দাবি করেছে, খুব ভালো কথা। আমরা তো বসে নেই। সোমবারে কেবিনেটে বসে এ বিষয়টি আলোচনা করলাম। আমাদের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের সঙ্গে বসবে এবং বসল। সেই সঙ্গে আমি কেবিনেট সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিলাম এটা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করুন। যাকে যাকে দরকার, তাদের নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করুন। যে দাবিটা করেছে, তা কতটুকু কী করা যায়। আর মন্ত্রী তাদের সঙ্গে বসল। সমঝোতা হলো। অনেকে মেনে নিল, অনেকে মানল না। সারা রাত অনেক ছাত্রছাত্রী টিএসসিতে থেকে গেল। কেন? আলোচনা হচ্ছে, আন্দোলন চালানোর কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে। তা ছাড়া ভিসির বাড়ি ভাঙা, রাস্তায় আগুন দেওয়া। এমনকি মঙ্গল শোভাযাত্রার জিনিস পুড়িয়ে তছনছ।’

‘মেয়েরা যে এত রাতে হল থেকে বেরিয়ে এল। মাননীয় স্পিকার, আমি সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। আমি বারবার ফোন করেছি। আমি সঙ্গে সঙ্গে নানককে পাঠিয়েছি। সে ওখানে গেল। প্রেসকে বলল। আলোচনা করল। তারপরও তারা কোনো কিছু মানল না। এমনকি ঢাকার বাইরে সবাই রাস্তায় নেমে গেল। কী, কোটা সংস্কার। এ দাবি একবার না আরও অনেকবার এসেছে। আমরা একটি নীতি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করি। আমাদের ছেলেমেয়ে যারা করছে, আমাদের ছেলেমেয়ে কেন, অনেকে আমার নাতির বয়সী। তাদের কিসে মঙ্গল হবে না হবে, আমরা কি বুঝি না? ১৯৭২ সাল থেকে এ কোটাপদ্ধতি চলছে। সময়-সময় সংস্কার করা হয়েছে। কোটা যা–ই থাক, সব সময় কোটা পূরণ হয় না। যে তালিকা থাকে, সেখান থেকে তাদের চাকরি দিয়ে দিই।’

‘৩৩তম বিসিএসে মেধার ভিত্তিতে ৭৭.৪০ শতাংশ নিয়োগ পেয়েছে। ৩৫তম ৬৭.৪৯, ৩৬তম ৭০.৩৮ ভাগ। মেধাবীরা বাদ যায়নি। কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধার থেকে পূরণ করা হচ্ছে। সবাই মেধাবী। রিটেনে পাস করতে হয়। বিসিএস যারা দেয়, তারা সবাই মেধাবী। কোটায় যারা, তারাও একসঙ্গে পরীক্ষা দেয়। রিটেনে তাদের পাস করতে হয়।’

আন্দোলনকারীদের একটি দাবিতে বলা আছে, যেখানে কোটায় পাওয়া যাবে না, মেধা থেকে দেওয়া হবে। এটা তো হচ্ছে। আমার দুঃখ লাগে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কোনো প্রফেসর বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, তাঁরা আবার একই সুরে কথা বলছেন। তাঁরা দেখেনই নাই আমরা মেধাতালিকা থেকে নিয়োগ দিচ্ছি। না হলে ৭৭ ভাগ কোথা থেকে। কোটায় যারা পাচ্ছে, তারাও মেধাবী। তার মানে শতভাগ মেধাবী। তারপরও আন্দোলন। তাহলে ঠিক আছে, আজকে সকালে আমার কাছে যখন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এল, আমরা তিন দিন ধরে ঘুমাতে পারছি না। এই চৈত্রের রোদের মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় বসে আছে, এই রোদে বসে থাকলে তো তাদের অসুখ–বিসুখ হবে। রাস্তা বন্ধ করে রাখছে। এমনি তীব্র যানজট, রোগী যেতে পারছে না হাসপাতালে, গাড়িতেই মারা যাচ্ছে। কেউ অফিস–আদলতে যেতে পারছে না। জেলা কোটা আছে। জেলায় জেলায় যে ইউনিভার্সিটি, সেখানেও তারা রাস্তায় নেমে গেছে। জেলায় যারা, তারাও চায় না। এরাও চায় না। তাহলে আমি বলে দিয়েছি বলো, কোনো কোটাই থাকবে না। কোনো কোটার দরকার নেই। ঠিক আছে, বিসিএস যেভাবে পরীক্ষা হবে, মেধার মাধ্যমে সব নিয়োগ হবে। এতে তো আপত্তি থাকার কথা নয়। আমরা কোনো শ্রেণি যাতে বঞ্চিত না হয়, সেদিকে লক্ষ রেখে আমাদের সংবিধানে আছে, সেদিকে লক্ষ রেখে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, নারীরা—এখন দেখি মেয়েরাও নেমে গেছে রাস্তায়। ধরে নেব তারা কোটা চায় না। যখন আলোচনা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে, বৈঠকে বলে দিয়েছে তারা কোটা চায় না। আমি খুব খুশি। আমি নারীর ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি।’

‘তারা চায় না, তাহলে দরকারটা কী। কোটাপদ্ধতিরই দরকার নেই। যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, তাদের অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। এই আন্দোলন যারা করেছে, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক। ভিসির বাড়ি যারা ভেঙেছে, লুটপাট করেছে, লুটের মাল কোথায় আছে, কার কাছে আছে, ছাত্রদেরই তো বের করে দিতে হবে। যারা ভাঙচুরে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচার হতে হবে। ইতিমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। ছাত্র–শিক্ষকের সহযোগিতা চাই। এত বড় অন্যায় আমরা মেনে নিতে পারি না। এখনো শিক্ষক যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের সম্মান করি। গুরুজনকে অপমান করে প্রকৃত শিক্ষা হয় না।’
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×