somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মার্ভে কাওয়াকচিকে মনে রেখো পৃথিবী

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


১৯৯৯ সালে ২ মে, তুরস্কে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনের (১৮ এপ্রিল) হাওয়া এখনও শীতল হয় নি, ভার্চু পার্টির সদস্যরা (পরবর্তী ফজিলত পার্টি) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে উপস্থিত হয়েছেন। বিজয়ের প্রচণ্ড কোলাহল হঠাৎ করেই স্তব্ধ হয়ে যায়। তুরস্কের ১০০ বছরের ইতিহাস প্রথমবারের মতো দেখতে পায়—মার্জিত হিজাব পরিহিত এক নারী সদস্য ধীরে ধীরে গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের দিকে হেঁটে আসছেন। ডেমোক্রেটিক লেফট পার্টির সদস্যরা নির্বাচনের ক্ষয়-ক্ষতির নিরসনে এটাকেই ভেবে নেয় মোক্ষম সুযোগ। সুতরাং সেক্যুলার তুরস্ক হিজাব পরার অপরাধে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। দু’বছরের মাথায় ২০০১ সালে তিনি পার্লামেন্টে সদস্যপদ হারান। তার দল ভার্চু পার্টি আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হয়। আমেরিকান নাগরিকত্ব গোপন করার অজুহাতে তার স্বদেশি নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি তার পুরো পরিবারকে উৎখাত করা হয় বাড়ি-নির্মাণ কাজে ত্রুটির অভিযোগে। এমনকি সবশেষে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালে ভার্জিনিয়ান সাংবাদিক ও ওহিও অক্সফোর্ডের প্রফেসর রিচার্ড পেরেস লেখেন তার বিখ্যাত গ্রন্থ—‘দ্য ডে টার্কি স্টুড স্টিল : মার্ভে কাওয়াকচি ওয়াক ইনটু দ্য টার্কিশ পার্লামেন্ট’। তাতে উল্লেখ করা হয়— প্রধানমন্ত্রী বুলেন্ট এজেবিত ইজ্জত বলেন, তাকে পার্লামেন্টে হিজাব পরার অনুমতি দেয়া হবে না, তবে যদি তিনি এসেম্বলির চেম্বারে স্কার্ফ পরিধান না করেন, তাহলে বিবেচনা করা যাবে। কিন্তু কাওয়াকচি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পার্লামেন্টে আমার মাথায় হিজাব পরিধান করা গণতন্ত্রের জন্যে একটা পরীক্ষাই বটে। অনুমতি নেয়া-দেয়ার ক্ষেত্রে এজেবিত কে এমন? ঈমান-আকিদা রক্ষার অধিকারের জন্যে আমি শেষনি:শ্বাস পর্যন্ত লড়ে যাবো।

‘দ্য ডে টার্কি স্টুড স্টিল : মার্ভে কাওয়াকচি ওয়াক ইনটু দ্য টার্কিশ পার্লামেন্ট’

পারিবারিক নাম—মারওয়াসাফা কাওয়াকচি। তুর্কি উচ্চারণে তিনি মার্ভে কাওয়াকচি নামেই বিশ্বে সমধিক পরিচিত। ১৯৬৮ সালে আঙ্কারার সাকারিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতামহের দিক থেকে জর্জিয়ান বংশোদ্ভূত। ইসলামের প্রতি প্রবল অনুরাগের বীজ পেয়েছেন পরিবার থেকেই। বাড়িতেই পবিত্র কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেছেন। বাবা ইউসুফ জিয়া কাওয়াকচিও অধ্যাপনা করেছেন ইস্পার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইন অনুষদে। বর্তমানে তিনি টেক্সাসের ইসলামিক এসোসিয়েশনের লিডার। এর আগে আতাতুর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজির ডিন ছিলেন। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্মান ভাষা-সাহিত্য বিভাগে পড়াতেন কাওয়াকচির মা গুলেসেন গুলান। সেখানে হিজাব খুলতে মায়ের অস্বীকার এবং বাবার তাতে সমর্থনের কারণে উভয়কেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়।

মা অধ্যাপক গুলেসেন গুলান

এই ঘটনা তখন ঘটে, যখন মার্ভে কাওয়াকচি টেড আঙ্কারা কলেজের পড়াশুনা শেষ করে আঙ্কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন ফ্যাকাল্টিতে ভর্তি হয়েছেন কেবল । হিজাব পরার অপরাধে সেখান থেকে তাকেও বের করে দেওয়া হয়। কেননা, ততদিনে (১৯৮০ সালে) আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে—যদিও সে-সময় তুরস্কে ৭৫ ভাগ নারী হিজাব পরে থাকত। অগত্যা নিরুপায় হয়ে বাবা পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। মার্ভে কাওয়াকচি গিয়ে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শুরু করেন। এখানেই জর্ডানের আলী আহমদ আবিদিনের পরিণয়ে আবদ্ধ হন। ফাতিমা আবুশানাব (২১) ও মারওয়াম কাওয়াকচি (২০) নামের দুটি কন্যা সন্তানের জননীও হন তিনি। কিন্তু অভিযোগ আছে—তুর্কি সরকারের রোষের কবলে পড়ে তাদের দাম্পত্য জীবনেও একসঙ্গে থাকা অসম্ভব হয়ে ওঠে ।

বাবা অধ্যাপক ইউসুফ জিয়া কাওয়াকচি

এরপর হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্সডিগ্রি এবং ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি সম্পন্ন করে ১৯৯৪ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং রাজনীতিতে যোগ দেন। কল্যাণ পার্টি তখন বেশ সাড়া ফেলেছে। কিন্তু তিনি কার্যনির্বাহী কমিটিতে যোগদানের পরেই বোন ও কয়েক বন্ধুসহ অপহরণের শিকার হন। এই ঘটনার জেরে দাম্পত্য জীবনে আবারও ভাঙন আসে। কারণ ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে ব্যবসায়ী লুতফ ইলদিরমকে বিয়ে করার পর ছয় বছরও পার হয় নি ২০০৫ সালে ‘পূর্বে অপহরণের সময় তিনি ধর্ষিতা হয়েছেন’ মর্মে খবর উস্কে দেয় সেক্যুলার মিডিয়া।

বিশ্বব্যাপী ততদিনে তিনি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন। ইরান, জর্ডান, মরক্কো ও ম্যানহাটনে শত-সহস্র মানুষ হিজাবের অধিকারে মার্ভে কাওয়াকচির ছবি হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে বারবার। এ-বছরই অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ‘হাউস দের কুলসারেলেন অ্যাক্টিভিটাউট ও টলারানজ’ (Haus Der Kulturellen Aktivität und Toleranz)-এর পক্ষে হিউম্যানিটি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন এবং রাজধানী আঙ্কারা এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ অর্গানাইজেশন থেকে ‘মাদার অব ইয়ার’ সম্মাননায় ভূষিত হন। পরের বছর ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর উইমেনঅ্যান্ড চিলড্রেন-এর পক্ষ থেকে মুসলিম নারী ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

বোন রওজা কাওয়াকাচি ও মেয়ে ফাতিমা আনুশাবা

২০০১ সালে ইস্তানবুলের ডেপুটি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরও তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য কার অভিযোগে তুরস্কের বিরুদ্ধে ইউরোপীয়ন মানবাধিকার আদালতে মামলা ঠুকে দেন। এবং যুক্তরাষ্ট্রেই ফিরে গিয়ে জর্জওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি ও হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটিতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। একই সময় হার্ভার্ড, ইয়েল, বার্লিন, হামবুর্গ, হেনওয়ার, ডিউসবার্গ ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন আমেরিকান ও ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাবের সমর্থনে জনমত সৃষ্টি করতে বক্তৃতা করতে থাকেন। ২০০৪ সালে বার্সেলোনায় ওয়ার্ল্ড রিলিজিয়ন পার্লামেন্টে ভাষণ দেন এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউস অব লর্ডসেও তার ভাষণ শোনা যায়। এ বছর আমেরিকার এনএএসিপি (ন্যাশনাল এসোসিয়েশন ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব কালার পিপল) ও জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি থেকে তাকে ‘ওম্যান অব এক্সিলেন্স’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে প্যালেস্টাইন ইসলামিক ইউনিয়ন আয়োজিত কনফারেন্সে তিনি বলেন— পুরুষ যদি যে-কোনো পোশাকের অধিকার পায়, তাহলে নারী কেনো পাবে না? যদি অর্ধনগ্ন পোশাক পরার অধিকার তার থাকে, তাহলে শালীন পোশাকের অধিাকর কেনো থাকবে না? কুরআনের নির্দেশ মানার অধিকার কি পৃথিবীতে গ্রহণযোগ্য নয়? এরপরই কাওয়াকচিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানান যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন এবং তাকে মার্কিন কংগ্রেসের মুসলিমবিশ্ব বিষয়ক কনসালটেন্ট নিযুক্ত করা হয়। কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল ও প্রধানমন্ত্রী কেম ক্যাম্পবেল-এর আমন্ত্রণেও সাড়া দেন তিনি।


২০০৭ সালে ইউরোপীয়ান আদালতের মামলায় জয়ী হন—সেখানে বলা হয়, তুরস্কে কাওয়াকচির পার্লামেন্ট পদ হারানো মানবাধিকার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যদিও তিনি সেক্যুলার গোষ্ঠীর সমালোচনায় মুখর, তথাপি একজন মুসলিম হিসেবে পৃথিবী সর্বত্র হিজাবের সমর্থনে ভ্রমণের অধিকার তার রয়েছে, এমনকি তা হিজাব পরিহিতা হয়ে হলেও।

তিনি তার অধ্যাপনা জারি রাখেন এবং বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে লিখতে থাকেন। টার্কিশ নিউজপেপপার ভাকিত (ইয়েনি আকিত) তার কলামগুলো গুরুত্ব সহকারে ছাপতে থাকে। ফলে ডিউক ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক ‘মেডিটেরানিয়ান’-এর সম্পাদকীয় বোর্ডের পরিচালক নিযুক্ত হন। লিখে ফেলেন ‘হেডস্কার্ফ পলিটিক্স ইন টার্কি : আ পোস্ট কলোনয়িাল রিডিং’, ‘বিইং মুসলিম ইন দ্য ওয়েস্ট’ ও ‘ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন ইন আ গ্লোবল ভিলেজ : চেইঞ্জিং ইন্টার পেন্ডেন্সিস’ সহ তুর্কি ও ইংরেজিতে আরও ছয়টি গ্রন্থ।

‘হেডস্কার্ফ পলিটিক্স ইন টার্কি : আ পোস্ট কলোনয়িাল রিডিং’

২০০৯ সালে জর্জটাউন ইউনিভির্সিটি তাকে বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমদের কাতারে তালিকাভুক্ত করে। ২০১০ সালে আবার বিয়ে করেন ইউনিভার্সিটির সহকর্মী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সিহাঙ্গির ইসলামকে; যিনি তুরস্কের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) সাংসদ নাদির লতিফের ছেলে। ২০১৫ সালের জুনে তার বোন রওজা কাওয়াকচি (১৯৭২) একে পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হলে মার্ভে কাওয়াকচি তুরস্কে আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেন। যদিও ২০০২ সাল থেকে একে পার্টি ক্ষমতায় এবং ২০১০ সালে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ও ২০১৩ সালে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজাবের নিষিদ্ধতা তুলে নিয়েছে, কিন্তু কাওয়াকচি দেশে ফিরতে পারেন নি।

তবে এ-বছর তার পথ ধরে আরও চারজন নারী সংসদ সদস্য হিজাব পরে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেন। ২০১৭ সালের মে মাসে তুর্কি পার্লামেন্টের কেবিনেট সভায় তার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তিনি ইস্তানবুলের উসকুদার ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপক হিসেবে ফিরে আসেন। এ-বছরই জুলাইতে তিনি এরদোয়ান সরকারের আমন্ত্রণে মালয়শিয়ায় তুর্কি রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদান করেন।তুরস্কের ফার্স্টলেডি এমিনে এরদোয়ানও তার হিজাব পরায় কাওয়াকচির ভূমিকা স্বীকার করেন। তিনি বলেন— সেক্যুলার সেনাবাহিনীর প্রচণ্ড বিরোধিতা মুখে মার্ভে কাওয়াকচি যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা-ই আমাকে প্রকাশ্যে হিজাবপরায় অনুপ্রাণিত করেছে।


ছবি ও তথ্যসূত্র :
১. কুয়ালালামপুর তুর্কি অ্যাম্বাসি
২. ফ্রিমালয়েশিয়াটুডে
৩. টিআরটিওয়ার্ল্ড.কম
৪. বিবিসি নিউজ
৫. ইসলামঅনলাইন.নেট
৬. ইথাকাপ্রেস ইউকে
৭. তুর্কি মিডিয়া
৮. মার্ভে কাওয়াকচি, উইকিপিডিয়া, তুর্কি
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×