আগেই বলেছিলাম সবচেয়ে সহজ রাস্তা হল জাপানের কোন লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউট থেকে এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা। এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট পেলে সেই ইনিস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে ভিসার জন্য এ্যাপ্লাই করুন। ভিসা নিয়ে জাপান চলে যান। লেংগুয়েজ কোর্স করে নিন। তারপর আপনার কাংখিত সাবজেক্টে ভর্তি হয়ে যান। ফুল টাইম ওয়ার্ক পারমিটের জন্যও এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এতে শুরুতে ভিসা পেতেও সুবিধা হল, জাপান যাওয়ার আগে ভাষা শেখার টেনশনটাও থাকল না।
(পরের পর্বে জাপানের কয়েকটি লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউট নাম ঠিকান দেয়ার চেষ্টা করবো।)
এ পদ্বতিতে শুরুতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ লাখ টাকা লাগতে পারে। এটার মধ্যেই এলিজিবিলিটি সার্টিফিকেট সংগ্রহের প্রকৃয়া, লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউটে ভর্তি ফি, লেংগুয়েজ ইনিস্টিটিউটে ১ বছরের কোর্স ফি, প্লেন ভাড়া, সব হয়ে যাবে। কিছু কম হতে পারে কিন্তু বেশি হওয়ার কথা নয়। তাই প্রথম ১ বছর থাকা, খাওয়া, যতায়াত, আর বীমা খরচ (কিছু ক্ষেত্রে) ছাড়া আর তেমন কিছু মেজর খরচ নাই।
জাপানে স্টুডেন্টরা পড়ালেখার পাশাপাশি বৈধ ভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। সপ্তাহে ২৮ঘন্টা কাজ করার অনুমতি আছে। কেউ কেউ বেশিও করে থাকে। মাসে ১লাখ থেকে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায় (কেউ কেউ বেশিও করে থাকে)।
থাকা খাওয়া, যাতায়াত বাবদ খরচ মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লগবে। (খরচ অনেকটাই নিজের উপর নির্ভর করে)। বিদেশী ছাত্রদের স্বাস্থ্য বীমা থাকা বাধ্যতামূলক (প্রায় ১৫ হাজার টাকা বাৎসরিক খরচ)।
তবে...
... তবে ভিসার জন্য অবশ্যই স্পন্সর লাগবে।
যে কেউ স্পন্সর হতে পারে (মানে, ব্লাড রিলেশন না থাকলেও হবে)। ব্যাংকে স্পন্সরের কমপক্ষে ১৩ লাখ টাকা ক্যাশ দেখাতে হয়, ৬ মাসের ব্যাংক সার্টিফিকেট লাগে।
যারা ইনকাম করার জন্য জাপান যেতে চান তাদের জন্যও আগামি পর্বে কিছু আশার আলো দেয়ার চেষ্টা করবো।
এখন আগের পর্ব গুলোর লিংক দেই। যাদের প্রয়োজন ঘুরে আসতে পারেন-
জাপানে ভর্তি নিশ্চিত হলে ভিসা পাওয়া সহজ।
জাপান যেতে চান? এ্যডুকেশন ভিসার জন্য এ্যাপ্লাই করতে পারেন (পর্ব-১)।
আরো বিস্তারিত জানতে আমাকে মেইল পাঠতে পারেন- [email protected]
আজকের মত শেষ করি। ভাল থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৮