somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোশারফ হোসেন ০০৭
বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

গল্পটি আসলে কে লিখেছিল ? #:-S :-*

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- তাহলে গল্পটি আপনি লেখেননি ?
- আর কতবার বলবো ?
- না, মানে এভাবে সত্য তো বলতে শুনিনি কাউকে
- হয়তো আপনি জীবনে সত্যবাদীদের সাথে চলাফেরা করেন না মোটেও
- কিন্তু স্যার, আমরা তো এখানে আপনার ইন্টার্ভিউ নিতে এসেছি, আপনার ফেসবুক আইডি থেকে প্রকাশ পাওয়া গল্পটা রীতিমত ফেসবুকে ভাইরাল । বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবার মন ছুঁয়ে গেছে গল্পের কথাগুলো । যখন আমরা সংবাদিকরা আপনার একটা ইন্টার্ভিউ নিতে পেরে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছি, সেখানে আপনি কিনা অস্বীকার করছেন গল্পটার ব্যাপারে । মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না স্যার ।
- আপনারা সাংবাদিক । এইসব ছোটখাট বিষয় আপনাদের মাথায় না ঢুকলে চলবে কি করে !!
- তাহলে স্যার গল্পের শুরুটা কিন্তু আপনার প্রোফাইল থেকেই ।
- মানে ?
- মানে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার বিষয়টা, আর কি !! আপনার প্রোফাইল থেকেই কিন্তু গল্পটা পায় পাঠকরা । এই ব্যাপারে কি বলবেন স্যার ?
- দেখুন, ভরদুপুরে আর কথা বলতে ভালো লাগছে না । আপনারা দয়া করে এখন আসুন । খাতিরযত্ন করতে পারলাম না দুঃখিত । আমি এই সময় একটা ঘুমের ঔষুধ খেয়ে ঘুমাই ।
- কিন্তু স্যার...
- প্লিজ !! আল্লাহ্‌ হাফেজ ।

অনেকটা জোর করেই সাংবাদিকদের বিদায় করলেন । দরজা লাগিয়েই সোজা রিডিং রুমে চলে এলেন আসলাম সাহেব । এরপর বুক শেলফের একেবারে কোণায় থাকা একটা পুরনো ডায়েরি বের করলেন । হ্যাঁ, তারিখটা এখনও অক্ষত । ১৩ - ১১ - ২০০১ । ঐ দিনই সফিক গল্পটা লিখেছিল একটা ছোট্ট মেয়ের জীবন অনুধাবন নিয়ে, এরপর বাসা থেকে দৌড়ে এসে আসলাম সাহেবকে পড়ে শুনিয়েছিল । সফিক, আসলাম সাহেবের ছোটবেলার বন্ধু । রোড এক্সিডেন্টে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ছেলেটা হারিয়ে গেলো কিন্তু অতটুকু বয়সেই এমন কিছু লিখে গেছে, যা অনেক বড় লেখকরাও লিখার কথা ভাবতে পারে না ।

ছেলেটার অনেক সখ ছিল লেখক হওয়ার । আসলাম সাহেব সফিকের সখ পূরণ করেছেন । সফিকেরই লেখা একটা গল্প তিনি ভাইরাল করতে পেরেছেন কিন্তু যত যাই হোক, লেখার ক্রেডিট তার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না । সফিকের নাম বললেই বা কে চিনবে !! কিছু কিছু কাজের ক্রেডিট চাইলেও নিতে নেই । উপরে বসে থাকা ঈশ্বরও এতেই খুশি হন ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৩৭
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×