somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অবরুদ্ধ গাজাবাসী !! নীরব বিশ্ববিবেক পর্ব-২

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(পূর্ব প্রকাশের পর)
ফিলিস্তিন ভূমিতে আরব-ফিলিস্তিনিরা সপ্তম শতাব্দীরও আগে থেকে বসবাস করে আসছিল। জাতিসংঘ ১৯৪৭ সালে ইউরোপ-আমেরিকা নিয়ন্ত্রিত সেই ভূমিকে ভাগ করে ইহুদিদের জন্য ইসরাইল এবং আরবদের জন্য ফিলিস্তিন নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্র তৈরীর সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরাইল ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আরবরা তা প্রত্যাখ্যান করে, শুরু হয় যুদ্ধ, যা চলছে আজঅবধি। ইসরাইল জাতিসংঘ নির্ধারিত নতুন ফিলিস্তিনের অনেকন জায়গা দখল করে নেয়, জাতিসংঘ ১৯৪৭ সালে সীমান্ত ফেরত যেতে বললেও ইসরাইল তাতে অস্বীকৃতি জানায়। অন্তত সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে ভিটে ছাড়তে হয়। তারপর থেকে আরও অনেক যুদ্ধ ও ধংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে।
১৯১৮ সালে বৃটিশরা পুরো ফিলিস্তিন দখল করে নেয়। দখলদারিত্ব কায়েম রাখতে বৃটিশরা ইহুদীদের সঙ্গে সমঝোতা করে, ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জন্য একটা আবাস ভূমি তৈরী করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যা বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। সেই বেলফোর ঘোষণায় বিষফোঁড়ার মত গোটা আরব বিশ্বকে কলুষিত করছে। এই বেলফোর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনের মাটিতে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর হতেই নানা অজুহাতে ফিলিস্তিন তথা আরব দেশগুলোর সাথে যুদ্ধ বাধায় ইসরাইল। বিশেষ করে ফিলিস্তিনকে সহ্য করার মত মানসিকতা ইসরাইল কখনো তৈরী করেনি। ইতিহাসে দ্বিতীয় ইনতিফাদা এমন এক সময়ের স্বাক্ষর বহন কওে, যখন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নিষ্ঠুরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। সেই নিষ্ঠুরতারই মাত্র একটি উদাহরণ গাজার আজকের গণহত্যা । এর মাত্র কদিন আগেও গাজার বেইত হানুনে আকস্মিক হামলায় ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। দুঃখজনক ভাবে ফিলিস্তিনিরাও সে সময় এক আত্মঘাতী অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল। সংগ্রামীদের দ্বিতীয় ইনতিফাদার অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর যখন ব্যবচ্ছেদ করা হয়, তখন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক মনে করেন, ফিলিস্তিনিদের অতিতের সব পদক্ষেপই ছিল নিপুণভাবে পরিচালিত উদ্দেশ্যসাধন প্রচেষ্টা। এ প্রচেষ্টায় তারা নিজেদের মধ্যেই প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে একটি অবরুদ্ধ অনিরাপদ জীবনের অবসান ঘটাতে। এর ফলে ফিলিস্তিন একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। তবুও তারা থেমে যায়নি। কখনো কখনো ইসরাইল সম্পূর্ণভাবে তাদের অস্তিত্বই অস্বীকার করেছে।
(চলবে)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×