somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুইটা নিষিদ্ধ খেলা ও ফ্লাসব্যাক- !! কি অদ্ভুত আমাদের নিষিদ্ধের প্রতি এতোটান কেন ? এখনো হয় তো তাই !!

২৫ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দুইটা নিষিদ্ধ খেলা !! যা আমাদের জীবনের বড় ধরনের স্মৃতিমালা হিসাবে গেথেঁ আছে , এখনো চোখ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কিন্তু এখন আছে লেপটপ/পিসি টাই আর নিষিদ্ধ ছুডু খেলার মন নাই !!
হাহাহাহা !! এখন কিন্তু বেশি তাই না ? নিষিদ্ধ এর প্রতি আমাদের মন তাই তো ১৮+ পোষ্টে আনাগোনা !! প্রভা আপুকে নিয়ে স্যাতঁস্যাতে ভাবনা


ঘুড়ি উড়ানোঃ
ছুডুবেলার কথা মনে যায় -মনে পড়ে যায় ছুডু ছুডু অনুভূতির কথা । ছুডুছিলাম , বান্দরের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়িয়েছি , দামি খেলনা ছিল না তাই যা পেতুম তাই খেলনা বানিয়ে ফেলতুম, পলিথিন ব্যাগ দিয়ে ঘুড়ি , জামা-কাপড় সিলানির জন্য যেই সুতা রাখাত মা সেই সুতা চুরি
করে এবং সেই সুতা হইতো ঘুড়ি উড়ানোর জন্য , অনেক মাইর খেয়েছি রুটি বানানোর বেলুনটাকে নাটাই বানানোর জন্য !!

স্মৃতির পাতা থেকে আজ চোখের পাতায় ভড় করেছে সেই দিনগুলোর কথা !!
আম্মা এখনোও মাঝে মাঝে আমাকে খুটা দিয়ে বলেন কারো সামনে যে আমি নাকি ঘুমের ঘোড়ে হাতে বিজ্ঞা করে সুতা হাতে পেচাতাম !! এমন অপমান করার কি হইলো !!
মনে আছে সকাল হইলে -দুপুর পর্যন্ত (১ টার আগে বাসায় না আসতে পারলে গদাম গদাম মাইর একটাও মাটিতে পড়তো না সব পিঠে ভাঙ্গতো তবুও ঘুড়ি উড়ানোড় নেশা যে ছিল )

ভিডিও গেইমস খেলাঃ
একটি নিষিদ্ধ খেলা সব ছেলেদের জন্য , পরিবার থেকে কড়া কড়ি নিষেধ থাকতো !! তবুও বাচ্চা মন ছুটে যেতো সে নিষিদ্ধ খেলার দিগে ।। কি অদ্ভুত প্রাণী আমরা আমাদের শুধু নিষিদ্ধর প্রতি টান এখনো :P:P:P

ছুডুবেলার নায়ক হয়ে যায় মোস্তফা নামক একটা গেইম এর নায়ক ! সাথে জেক , হেনা , মোটুর নাম জানো কি তবে কার আগে কে মোস্তফাকে নিবে সেইটা দেখার বিষয় ছিল !! শুধু এই গেইম না অনেক গেইম খেলেছি আহা দিন গুলো অনেক ভালো লাগার ছিল !! সত্যি কি এই খেলা খেলতে খেলতে কিশোর জীবনের নায়ক হয়ে যায় মোস্তফা !! আহঃ কি যে মাইর খাইছি এর জন্য , একটাকা দিলেই দৌড়ে যেতুম এই নিষিদ্ধ খেলা খেলতে , স্কুল ফাকিঁ দিয়া ভিডিও গেইমের দোকানে থাকতাম , বাজার করতে গেলেও এক কয়েন খেলতে যেতুম !! একবার তো মেহমান আইছে আমাকে আনতে দিল কিছু আমি যেয়ে ভিডিও গেইমের দোকানে , ১ ঘন্টা পর আমার খেয়াল হইলো আমাকে পাঠানো হইছে মেহমান এর জন্য কোক আর বিসকুট নিতে , তারপর বাসায় ফিরে গদাম ( মনে মনে হারামি তোর যাওয়ার দরকার কি ছিল , আর একটু থাকলে খাওয়া খাইতে পারতি আমি মাইরও খাইতাম না )

মার্বেলঃ একটি নিষিদ্ধ খেলা !!
তবুও রাস্তা , গলি , মাঠ জুড়ে ছিল আমাদের বিচরন......। আমার তো প্রায় ১০০০০ হাজারের উপরের মার্বেল ছিল , তখন একটাকার ২০ টা মার্বেল পাওয়া যেত , ৪ মারাঙ্গা মার্বেল !! কি অস্থির দিন গুলো পার করেছি !! নাইক্কা মুট এর নাম জানেন না খুব কম পোলা আছে তাই না ?

:-*:-*:-* একবার হইলো কি এই খেলা নিয়া খাইলাম দৌড়ানি এলাকার শ্বাধু শাধু ভাইদের হাতে যারা দুই দিন আগে খেলছে এখন তারাই মাতবরি করে কিন্তু কিছু করার নাই ।। বড় বইলা কথা !! ১০০ মার্বেল মাঠে ছিল সব পুকুড়ে ফালাইয়া দিল !! :((:((:((:((

টায়ার দিয়ে খেলাঃ
তেমনই ছিল রিকশার নষ্ট টায়ার খেলার সাথী , বন্ধু মহল মিলে খেলতাম একটা স্টিক নিয়ে গাড়ি গাড়ি চালানো খেলা !! সকার দুপুর বিকাল যেন একই খেলা , রাস্তার এই মাথা থেকে ঐ মাথা !! কে কার থেকে আগে যেতে পারে চালিয়ে , আবার কখন একটা টায়ার থাকতো তাই এইটা না পড়া পর্যন্ত চালানো ছোট রাস্তা দিয়ে , ঘুড়াতে কষ্ট হইতো ছুডু ছিলাম তো , তয় আমি বেশ পাকাই ছিলাম !! খারাপ ছিল না দিন গুলান !! অদ্ভুত ভালো লাগে এখন চোখের সামনে ভেসে উঠলে মাঝে মাঝে ভাবি এখন কার পোলাপাইনরা আমাদের কথা শুনলে তো থ মেরে থাকবে !! হাহাহাহা
আমরা যেমন আমাদের বাবা-দাদার গল্প শুনে থ মারি তেইরাম থ হয়তো মারবো !!

আজ এই ছবিটা দেখে আমার ছুড়ু বেলার দিন গুলো মনে পড়ছে !!

লাড্ডু/লাটিমঃ
দশ আঙুলের ইশারায় লোহার সুচালো দণ্ডের ওপর ভর দিয়ে ভোঁ-চক্কর দিয়ে ওঠে ঘূর্ণি লাটিম। বোঁ-বোঁ শব্দে কখনও মাটির বুকে, কখনো বা নরম হাতের তালুতে ঘূর্ণি খায় আপন ছন্দে। পেটে লেতি পেঁচিয়ে তর্জনী আর বুড়ো আঙুলের নিখুঁত মারে পাক খায় একেকটি লাটিম।

এইটা নিয়া তেমন বিষাদ অভিজ্ঞতা নেই , সব সময় খেলেছি !! তবে অদ্ভুত লাগে প্রত্যেক খেলার যেমন সিজন আসতো কেমত্তে আমি নিজের এখন বুজি না , ঘুড়ি সব সময় আকাশে উড়তো না বড় জোড় ২-৩ মাস বছরের থাকতো !! লাড্ডু অনেক রখম খেলা ছিল !! কোপানি খেলাটা বেশি খেলতাম , মাঝে মাঝে বাজি খেলতাম লাড্ডু দিয়া !! অনেক ভাবে হাতে নিতে পারতাম চলন্ত লাড্ডু , যেন এইডারও প্রতিযোগিতা হইতো মাঠে আহা !! কি মজা না হইতো সে দিন !! :):):):)


অনেক দেখে শুনে লাড্ডু কিনতে হইতো , ভালো লাড্ডু না হইলে খরখর করবে জিম ধরবে কম !! তারমানে মজা নাই !! হহাহাহা:-/:-/:-/

ইয়ো ইয়ো কথা কি মনে আছে বড়ো ভাইদের ? দাড়িয়া বান্দা , ডাংগডি , লিচুর বিচি দিয়া খেলা , মেচের খোসা দিয়ে বাজি খেলা , চারা খেলা , টেনিস বল দিয়া পিঠ জ্বালানী খেলা ?? ড্রেইনে পড়তো হাত দিয়া সেই বল তুলতাম তার পড় ঠাস ঠাস , কি অদ্ভুত এখন কি এই খেলা খেলতে পারবেন? নাকি আপনার সন্তানকে দিবেন খেলতে ? উফফফ মনে হইতেছে অনেক খেলার নাম ভুলে গেছি !!

আপনাদের যদি স্মৃতির পাতা চোখের পাপড়ির মাঝে এনে দেই তাহলে ছুডু করে শেয়ার করুন আপনার ছুডু বেলার কথা , আমি বেশি লিখলাম না অতি গ্যাজনের কি জানি নষ্ট তাই .........:P:P:P
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×