ভুল থেকে শেখাও একটা অনেক বড় গুন। আমরা সবাই স্রোতে গা ভাসাতে ওস্তাদ। মারা গেল তিতুমির কলেজের ছাত্র রাজীব। সামান্য অসাবধানতায় ঝরে গেল একটা প্রান। তার কাটা হাত দেখে স্বাভাবিক ভাবে খারাপ লাগবে। সবাই সেটা উপলব্ধিও করতেছে, বরং একটু বেশিই করতেছে।
রাজীবকে নিয়ে কেউ কবিতা/ গানও বানিয়ে ফেলেছে। সবাই বাস ড্রাইভার এর গুষ্টি উদ্ধার করে ফেলেছে। কিন্তু আমার মাথায় আসে না একটা ব্যাপার, আমরা জানি আমাদের দেশের ড্রাইভার গুলো এমন তাহলে আমরাই শিক্ষিত হয়ে নিজে একটু সাবধান হই। শুধু ড্রাইভার এর উপর দোষ চাপিয়ে যে পার পাওয়া যাবে না তার বাস্তব প্রমান উপরের ছবিটা। কেউ কখনো জানার বা বোঝার চেষ্টাও করতেছে না যে হাতটা ওখানে গেল কিভাবে। পরিসংখ্যান বলে ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৯৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৩৯৭ জন। আর আহত হয়েছেন ১৬ হাজার ১৯৩ জন। সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম। এটা কি আমাদের একটুও ভাবায় না? বড়ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া শহরের মধ্যে যে বিচ্ছিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা গুলো ঘটে তা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে। ৫০% দোষ আমাদের উপরই আসবে। আমাদের অসাবধানতাই দায়ী হবে। সরকারি বেসরকারি ভাবে এত এত প্রচার করা হচ্ছে ওভার ব্রিজ ব্যাবহারের জন্য বা সময়ের থেকে জীবনের মূল্য বেশি। কিন্তু আমাদের কোন পরিবর্তন নেই। এক রাজীব মারা গেছে আমরা কিছু গান কবিতা গল্প আর স্ট্যাটাস আপডেট দিয়েই ভুলে যাবো। এবং অপেক্ষা করতে থাকবো পরবর্তী কোন রাজীবের জন্য, কিন্তু নিজেদেরকে পরিবর্তনের কোন চিন্তাই করবো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩