(১)
দর্শক হবার মজা নিতে ভালবাসেন না খুব কমজনই এমন আছেন। রিক্সাচালক আর তার চিন্তাক্লিষ্ট প্যাসেঞ্জারের ভাবনার জগৎ কেমন ছিল বোঝার আগেই চোখের সামনে রক্ত মাংসের স্তুপ হতে দেখে স্তম্ভিত হয়ে ছিলাম খানিকক্ষন। তালগোল পাকানো রক্তমাংশ দেখে বোঝার উপায় নেই কোনটা কার হাত, পা, মগজ। থেতলে যাওয়া মুখ দুটোর অভিব্যাক্তিতে ভয়ের আভাস মাত্র নেই কিঞ্চিত কৌতুহল ছাড়া। যাপিত জীবনের সব হাহাকার, চাওয়া পাওয়ার বেহিসেবি আগড়বাগড়কে নিমেশে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সব হাওয়া! আর কোন আব্দার নেই! মান অভিমান পর্ব নেই, কেবলি অষাড় শুণ্যতা। খানিক দূরে ছিটকে পড়া বেবি মিল্কের প্যাকেটটি ফেঁটে চৌচির রক্ত আর গুড়ো দুধের এক অনাকাঙ্খিত সহাবস্থান। চারিপাশের হতবিহব্বল মানুষের ছুটে আসা, চিল-চিৎকার, মানুষের ঢল আর আমার নিঃশব্দে কেটে পড়া।
(২)
বিয়ের জন্য মনস্থির করা মেয়েটি সকল সুবেশী পুরুষের মাঝেই তার সম্ভাব্য বরকে খুজে ফেরে। উপসংহারে যা জোটে প্রয়শই তা প্রত্যাশার বাইরে।
(৩)
পকেটে ৮৫ টাকা আর ২৪০ টাকার পন্য নিয়ে আসতেই হবে আব্দার নিয়ে হাটছি। ছোট বাবুর বেবি ডাইপার ১৩০, সারজেল ২০ একপাতা ৬৫, কনডম ১৫, বড় বাবুটার খাতা ৩০ আর রিক্সা ভাড়া ১০ টাকা। হাটা পথটুকুতেই হিসেব মিলিয়ে নিলাম ফার্মেসীর পুরোটাই বাকী আর বাদবাকী আব্দার মিটিয়ে এখনও পকেটে ৪৫ টাকা। একটা সিগারেট নেয়া যায় বৈকি!
(৪)
বাইম (eel) মাছ কিনতে বাজারে এসে তেলাপোয়া কিনে ফিরছি নিয়ে একরাশ হাহাকার! আহারে! শৈশব আমার, তার খানিকটা বাচ্চাদের দিতে পারলেও মনে অনেকটা স্বস্তি পেতাম।
(৫)
অগুনতি রাত পাশাপাশি শুয়ে ভেবেছি আজ হয়ত তুমি ধরা দেবে আমার স্বপ্নের রাজকন্যা হয়ে, যখন তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ সারাদিনের ঘরকন্যার পরে।
>>> মিজান
০২.০৩.২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪