একদল যুবক মিলে এক নারীর বস্ত্রহরণ, এমনকি চিৎকারের শব্দ ঢাকার জন্য ভুভুজেলার ব্যবহারও করেছে। সে সময় যারা ওই নারীকে উদ্ধার করতে গেছে তারাও সংগবদ্ধ টিজারদের হাতে মার খেতে হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে দিনের আলোতেই।
এছাড়া বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্থানে ভিড়ের ভেতর কমবেশী লাঞ্ছিত হয়েছেন ১০-১২ জন নারী।
যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আমরা চিনি। অন্য সব যায়গায় এরাই সব ঘটায়।
তারা সুযোগ খোঁজে মেয়েদের ভীড়ের। এরাই মন্দিরে হামলা করে, গ্রামের বিয়ের অনুষ্ঠানে্র ভিড়ে করে নোংড়ামি, গার্লস স্কুলের সামনে ইভ টিজিং করে, মার্কেটের ভিড়ে শ্লীলতা হানির ধান্দায় থাকে।
এদের বড়ভাইরা একই মোটিভে রমনা বটমুলে বোমা ফুটিয়েছিল এই পহেলা বৈশাখেই, ২০০৪এর ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে টিএসসি চত্তরে বসা কাপলদের উপর নৃশংস বোমা হামলা চালিয়েছিল, কেউ নিহত না হলেও রক্তে ভেসে গিয়েছিল টিএসসি চত্তর। তারো আগে ময়মনসিং সিনেমা এরাই হলে বোমা ফাটায়।
এদের মোটিভ আমরা ভালভাবেই জানি।
এরা চায় না কোন বর্ষবরন উৎসব, বিনোদন মানে পাপ। মহিলা মানেই এদের কাছে নাপাক। এরা এখন চাপাতি দিয়ে কোপাতে সুযোগ পাচ্ছেনা, কিন্তু ভিন্ন ভাবে কোপাচ্ছে ... আরো কোপাবে।
হামলাকারি লাঞ্ছনাকারিদের মোটিভ পরিষ্কার। এরা চাচ্ছে বাধন লাঞ্ছনার পর প্রতি 31st নাইটে যেভাবে কঠিন কারফিউ এর মত অবস্থা থাকে, ওরা বাংলা নববর্ষেও 31st নাইটের মত ভুতুরে অবস্থা চাচ্ছে। এরপর ধরবে একুশের প্রহর।