somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিঙ্গাপুর বিচার করতে পারে, আমরা পারি না। ছেড়ে দেই

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সিঙ্গাপুরে জঙ্গি অর্থায়নে অভিযুক্ত ছয় বাংলাদেশির মধ্যে চারজন দোষি সাব্যস্ত হয়েছে। ২জন বিচারাধীন।
৪ জনের ১০ বছর জেল ও ৫ লক্ষ ডলার(s) জরিমানা। জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস।

সিঙ্গাপুর বিচার করতে পারে, আমরা পারিনা। ছেড়ে দেই।

এই চার বাংলাদেশি হলেন- মিজানুর রহমান, রুবেল মিয়া, নুরুল ইসলাম সওদাগর ও ইসমাইল হাওলাদার সোহেল। দৌলতুজ্জামান ও লিয়াকত আলী মামুন নামের আরও দু’জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হলেও, তারা সেটি অস্বীকার করেছে। তদন্ত-বিচার হচ্ছে।

বাকি দুইজনের বিচার দ্রুতই হবে, শুনানির জন্য ৯ জুন ধার্য্য করেছে। দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, অপরাধ স্বীকারকারী ৪ বাংলাদেশি নিজেদের ‘ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ– আইএসবি’ নামে গোপন সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে।
দেশে ফিরেই সন্ত্রাসী হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিলো বলে জানিয়েছে তারা। জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য ‘অর্থ সংগ্রহ ও সরবরাহের’ অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে সিঙ্গাপুর সরকার আট বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করে।

এর দুএক মাস আগে জঙ্গি সংস্লিষ্টতার অভিযোগে ২৬ বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কতৃপক্ষ গুরুত্ত দেয় নি। তাদের বিমানবন্দরে গ্রেফতার করেনি। সুধু মামুলি একটি মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছিল। কিছুদিন পরে সিঙ্গাপুর তাদের হাতে আটক ৬ বাংলাদেশীর বিচার সুরু করলে টনক নড়ে, পরে ২৬ জনের সুধু ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তদন্ত বা বিচার হচ্ছে না। কিছুদিন পরে এরা সবাই জামিন নিয়ে বের হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ঠিকমত হ্যন্ডেল করছে না বুঝতে পেরে সিঙ্গাপুর বাকি ৬ জনকে আর ফেরত পাঠায়নি, নিজেরাই বিচার সুরু করছে।

এর আগেও আগষ্ট ২০১৫তে বাংলাদেশে ৩ আইনজীবি জঙ্গি অর্থায়ন করতে গিয়ে ধরা পরে। এরা ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানা এবং আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন। এরাও জামিন পেয়ে যাচ্ছিল। কোনমতে ঠ্যাকানো হয়েছে।
গত ২০-৩০ বছরে বাংলাদেশে সবগুলো সরকারি সেক্টরে জামাতি নেটওয়ার্ক স্থাপন হয়েছিল। হাসিনা এসে এদের ক্লিনআপ করেনি। এইসব অপশক্তি নিযুক্ত লোক দিয়ে কিভাবে জঙ্গি দমন করবে রাষ্ট্র?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১০
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×