সিঙ্গাপুরে জঙ্গি অর্থায়নে অভিযুক্ত ছয় বাংলাদেশির মধ্যে চারজন দোষি সাব্যস্ত হয়েছে। ২জন বিচারাধীন।
৪ জনের ১০ বছর জেল ও ৫ লক্ষ ডলার(s) জরিমানা। জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস।
সিঙ্গাপুর বিচার করতে পারে, আমরা পারিনা। ছেড়ে দেই।
এই চার বাংলাদেশি হলেন- মিজানুর রহমান, রুবেল মিয়া, নুরুল ইসলাম সওদাগর ও ইসমাইল হাওলাদার সোহেল। দৌলতুজ্জামান ও লিয়াকত আলী মামুন নামের আরও দু’জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হলেও, তারা সেটি অস্বীকার করেছে। তদন্ত-বিচার হচ্ছে।
বাকি দুইজনের বিচার দ্রুতই হবে, শুনানির জন্য ৯ জুন ধার্য্য করেছে। দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস জানিয়েছে, অপরাধ স্বীকারকারী ৪ বাংলাদেশি নিজেদের ‘ইসলামিক স্টেট ইন বাংলাদেশ– আইএসবি’ নামে গোপন সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছে।
দেশে ফিরেই সন্ত্রাসী হামলা চালানোরও পরিকল্পনা ছিলো বলে জানিয়েছে তারা। জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য ‘অর্থ সংগ্রহ ও সরবরাহের’ অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে সিঙ্গাপুর সরকার আট বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ করে।
এর দুএক মাস আগে জঙ্গি সংস্লিষ্টতার অভিযোগে ২৬ বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কতৃপক্ষ গুরুত্ত দেয় নি। তাদের বিমানবন্দরে গ্রেফতার করেনি। সুধু মামুলি একটি মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছিল। কিছুদিন পরে সিঙ্গাপুর তাদের হাতে আটক ৬ বাংলাদেশীর বিচার সুরু করলে টনক নড়ে, পরে ২৬ জনের সুধু ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তদন্ত বা বিচার হচ্ছে না। কিছুদিন পরে এরা সবাই জামিন নিয়ে বের হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ঠিকমত হ্যন্ডেল করছে না বুঝতে পেরে সিঙ্গাপুর বাকি ৬ জনকে আর ফেরত পাঠায়নি, নিজেরাই বিচার সুরু করছে।
এর আগেও আগষ্ট ২০১৫তে বাংলাদেশে ৩ আইনজীবি জঙ্গি অর্থায়ন করতে গিয়ে ধরা পরে। এরা ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানা এবং আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন। এরাও জামিন পেয়ে যাচ্ছিল। কোনমতে ঠ্যাকানো হয়েছে।
গত ২০-৩০ বছরে বাংলাদেশে সবগুলো সরকারি সেক্টরে জামাতি নেটওয়ার্ক স্থাপন হয়েছিল। হাসিনা এসে এদের ক্লিনআপ করেনি। এইসব অপশক্তি নিযুক্ত লোক দিয়ে কিভাবে জঙ্গি দমন করবে রাষ্ট্র?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১০