কিছু অনলাইন জেহাদী ও তাদের সমর্থকরা তো পারলে এখনই যুদ্ধে নেমে যায়।
যুদ্ধের পরিনতি .. দুর্ভোগ যেহাদী চেতনায় ভেসে গেছে
যদিও এই যুদ্ধবাজরা ১০-১৫ মিনিটের যানজট বা একঘন্টার লোডশেডিংও সহ্য করতে পারে না, .. এ উহু-আহা, উন্নয়নের জোয়ারে ভেসেগেলাম বলে চিল্লা-পাল্লা করতে থাকে।
রহিঙ্গারা অবস্য কি চায় সেটা এখনো স্পষ্ট না।
এদের কোন নেতা নেই, শতবছরের নির্যাতন লাঞ্ছনায়ও কোন লিডারশিপ গড়ে উঠেনি। ১০ লাখ সীমান্ত পার হয়ে আসলেও এদের পক্ষে বা ওদের হয়ে কথা বলার মত কোন দৃশ্বমান কোন নেতৃত্ব বা মুখপত্র খুজে পাওয়া যায় নি। মৌদুদীবাদীরা অবস্য ইতিমধ্যেই কথা শিখিয়ে জোড় ট্রেনিং দিচ্ছে মিডিয়ার সামনে আনার। উর্দু-আরবি ভাষী জঙ্গি নেতারা তো আর সামনে আসবে না।
শরনার্থী হিসেবে আসা অনেক রোহিঙ্গাই টেকনাফের পাহড় কেটে খুটি গাড়তে গাড়তে বলছেে এই যায়গা তাদেরকে দেয়া হয়েছে, এখন তাদের জমি, এটাও আমাদের দেশ ওটাও আমাদের, একই দেশ।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে উগ্রপন্থী যে অংশটি আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে, তাদের নিয়ে শংকিত হবার যথেষ্ঠ কারণ আমাদের আছে। আরাকান বলতে এরা যে মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলে সেখানে আমাদের কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত সেই রাষ্ট্রের অংশ।
আরসা বা আরাকান মুক্তি সংস্থার মুল যোদ্ধা ও নেতৃত্ব সবই বহিরাগত, মৌদুদীবাদী পাকিস্তানি, আরব।
কথিত মুল দেশ রাখাইন/আরাকান এলাকার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই, তাদের বাপেরও ছিলনা। আগেও ছিলনা,নেই।
আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে ‘আবু আমর জুনুনি’ বাবা করাচিবাসি খাস পাকি, আর মা কথিত রোহিংগা। এদের সন্তান বা বাষ্টার্ড ‘আতাউল্লাহ’ নামে একজন উর্দুভাষী। ভাষা উর্দু, পশতু, আরবী। আরাকানের বাংলা বা চাটগাইয়া ভাষা কিছুই জানে না। এরপরও সে নিজেকে রহিঙ্গা নেতা দাবি করে।
আরসা সংগঠনটির নেতা আতাউল্লাহ জঙ্গিদের কাছে ‘আবু আমর জুনুনি’ নামেও পরিচিত। এই নাম আরব এলাকার নাম " আবু আমর জুনুনি " , কশাই আইএস এবং আমাদের দেশের কিছু নব্য জেম্বি জংগীদের নামও (আবু জাররা) একই স্টাইলের !
এই বহিরাগত জঙ্গিদের স্থানীয় সদস্য রিক্রুট প্রায় এক দেড় লাখ। মোটা বেতনে পালা এই বিশাল গেরিলারা কিন্তু বেশির ভাগই তাদের পরিবারের সাথে আসেনি। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন জংগল দিয়ে তাদের আমাদের দেশে আনাগোনা করা কঠিন কিছু না। ২০১২ ও ২০১৬ তে বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি হামলায় রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও পাওয়া যায়। পাওয়া যায় মৌদুদিবাদি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের বিভিন্ন অপ তৎপরতার খবর। এর আগে সীমান্ত পাড়িদিয়ে কি পরিমাণ রোহিঙ্গা আমাদের দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশুনা করছে, কি পরিমাণ আমাদের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থান করছে তার কোন সঠিক হিসাব কারও কাছে নেই।
রোহিঙ্গা মদদে পাকিস্তান-সৌদি কানেকশন এখন পরিস্কার হচ্ছে। আরসা সৌদি অর্থায়নে চালিত একটি জঙ্গি সংগঠন। এরা আগে আল-কায়দাকেও ফান্ডিং করতো। মিয়ানমারে পুলিশ-সেনা চেকপোস্টে কোন কারণ ছাড়াই আক্রমণের কারণেই বার্মিজ সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা গ্রাম নির্মূলে নামে। আরএসও, আরিফ, আরসা এটাই চেয়েছিলো।
হামলার আগের দিন বাংলালিঙ্ক একটি নম্বর থেকে রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠন আরসা নেতা হাফিজের সাথে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার (ISI) একজন অফিসারের এবং ইরাক থেকে একজন আইএস জঙ্গি নেতার ফোনকল রেকর্ড পাওয়া গেছে।
উক্ত ফোন কলের ভাষ্য থেকে পরিস্কার সন্দেহ করা যায় পাকিস্তান এবং আইএস সহযোগিতা ছিল সেদিনের বর্মি সেনা ছাউনিতে আক্রমণে।
রোহিঙ্গারা এখন সম্ভবত এখন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেছে।
১৯৯১ সালে উখিয়ায় কয়েকশ একর পাহাড় কেটে ১৫ হাজার রোহিঙ্গাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এরপর এই শিবিরের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে কয়েক হাজার একর সংরক্ষিত পাহাড় কেটে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। টেকনাফে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ২০১২ সালেই আশ্রয় দেয়া হয়েছে। আরাকান নয়, কক্সবাজারই হতে পারে কথিত ‘রোহিঙ্গা রাজ্য’। এবারো যে বিপুল সংখ্যাক রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে তারা এখানেই ফের বন বিভাগের বন ও পাহাড় দখল করে বসতি স্থাপন করে নিয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাই এই বিষয়ে মূল ভূমিকা রাখছে, টাকায় কথা বলে। সাইদি পুত্র এদের সহযোগিতায়ই তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুদ্ধ লাগলে বাংলাদেশের পাসে কোন দেশই পাওয়া যাবেনা। সামান্য ত্রানেরই খবর নেই।
রহিঙ্গাদের খাওয়াতে সপ্তাহে চাহিদা ৬,৭০০ টন।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য আসা বিভিন্ন দেশের ত্রানের হিসাব :
ভারত = ১০৭ টন
ইন্দোনেশিয়া = ৪১ টন + গতকাল আরো ২০ = ৬১ টন
ইরান = ৪৭ টন,
মালয়েশিয়া = ৫৪ টন
তুরস্ক = বাংলাদেশে সুধু চোখের পানি। পরে দিল ১০০টন, বাংলাদেশে না। বার্মায় সুচির কাছে পাঠালো বার্মার রহিঙ্গাদের জন্য! না বর্মিসেনারা খাবে?
সৌদিআরব = ০ টন, একটা মামুলি বিবৃতি পর্যন্ত নেই। চোখের পানি তো দূরস্থ।
পাকিস্তান = ০
আমিরাত = ০
কাতার = ০
কুয়েত = ০
এখনই সতর্ক না হলে বাংলাদেশ যুদ্ধ এড়াতে পারবে না। জঙ্গি গেরিলারা এখন আরো শক্তিশালি হয়ে সীমান্ত পার হয়ে বার বার হামলা করবে। বাংলাদেশী জেহাদিরা সহযোগিতা করবে। সীমান্তবর্তি রহিংগা বস্তিগুলো হবে ওদের মানব ঢাল।
বার বার মার খেয়ে একপর্যায়ে বর্মি সেনারা পালটা হামলা করবেই, সেটা আর্টিলারি + বিমান হামলা। চট্টগ্রাম বন্দর ওদের কামানের আওতায় এসে যাবে।
মধ্যপ্রাচ্যের মুল নাট্যকাররা সিরিয়া-ইরাকে পরাজিত হওয়ার পর আমাদের কক্সবাজারকে পেশোয়ার বা কাশ্মির সীমান্তের মত যুদ্ধক্ষেত্র বানানোর স্বপ্ন দেখছে। সুতরাং এখনি সাবধান!
কিছু মানুষ চাচ্ছে যেনতেন প্রকারে যুদ্ধ লাগুক। যুদ্ধ রহিঙ্গা, মুসলিম ভাতৃত্ব-ফাতৃত্ব এইসব কিছুই না। এনারা সবাই মুলত বাংলাদেশের পরিস্থিতির অবনতি চাচ্ছেন, দেশের চুড়ান্ত সর্বনাশ করে হলেও যদি অল্প কিছু ফায়দা হাসিল সম্ভব হয় ... তাও ভালো।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৬