মিথ্যাচারের রাজারা এখন জোট বেধে মাঠে।
দিনের পর দিন মলম পার্টির ছিনতাইকারির মত হলুদ মিডিয়া চোখে মলম লাগিয়ে চলছে আর মলমের জালায় র্নিবোধ কিছু নাগরিক অনুসন্ধান, সুত্র কিছুই বিবেচনা না করে উদ্ভ্রান্তের মত দৌড়াদৌড়ী করছে।
বিভ্রান্তির বেড়াজাল সৃষ্টি করে শয়তান। দেশে পত্রিকা টিভি নিউজ পোর্টালগুলোও যেনো সেই কর্মেই ব্যস্ত। পরিকল্পিতভাবে ধর্মপ্রাণ জাতিটিকে বিভ্রান্ত করতে তারা একের পর এক মিথ্যার জাল বুনেই চলেছে।
আর এদেশের আলহামদুলিল্লা .. আমিন বলা ধর্মান্ধ মানুষের সংখ্যা আগেও অনেক . তো ক্রমেই বেড়ে চলেছে, যারা সত্যমিথ্যা যাছাই না করেই হামলে পড়েন। আর এক শিক্ষিত শ্রেণী এই সুযোগে উম্মাদের মত সরকারের পিন্ডি চটকাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
মাহামুদুরের পুর্ব ইতিহাস বাদই দিলাম।
কিন্তু একটা ঢিল লাগলে মানুষজবাইর সমান রক্ত?
পত্রিকা টিভি মিডিয়া সার্বজনিন নীতি হচ্ছে বিভৎসতা ও রক্তাক্ত ছবি দেখানো যাবে না। সেটা এক্সিডেন্ট হোক বা গুলিতে আহত-নিহত হোক। রক্তাক্ত অংশ ব্লার করে বা ঢেকে দিতে হয়। দিতে হবে।
এই নীতি ৩ যুগ ধরে চলে আসছে।
কিন্তু মাদার োদ মাহামুদুরের বেলায় এই নীতি উলংগ ভাবে ব্যত্যয় হলো।
একটা ঢিল লাগছে গালে তাতে এত রক্ত? সালারপুতে খোকার মত ব্লাডব্যাগ পকেটে নিয়ে ঘুরে নাতো?
কুষ্টিয়ায় ঘটনাস্থলে কপাল পরিষ্কার। ঢাকায় ইউনাইটেডে পৌছে কপাল রক্তে ল্যাপ্টানো।
যশোর এয়ারপোর্টেও কপালে রক্ত নেই
নইলে হামলার পর কুষ্টিয়ার কোন হাসপাতালে বা ফার্মেসিতে প্রাথমিক চিকিৎসা না নিয়ে লোক জড় করে গলা ফাটিয়ে সংবাদ সম্মেলন।
এইভাবে রক্ত গড়ায়ে পরলেতো আধা ঘন্টায় রক্তশুন্যতায় মইরা যাওয়ার কথা।
মাথার পিছনে একটু রক্ত লেপ্টে আছে বা খত দেখানো হইছে, কিন্তু কোন রক্ত বেয়ে পরছে না শার্টের পিছনে কোন রক্ত নেই।
সাংবাদিক সম্মেলনে পেছনে কোন সাংবাদিক বা ক্যামেরা থাকে না, তাই শার্টের পিছনেও রক্ত গড়ানো দরকার হয় না।
এরপর কোন চিকিৎসা ব্যান্ডেজ না লাগিয়ে গাড়ীতে শত কিলোমিটার দুরে যশোর বিমানবন্দর। পথে কোন হাসপাতালে বা ফার্মেসিতেও গেলেন না,
হাসপাতালে গেলেতো ফাইস্যা যাবে, কিন্তু ফার্মেসিতেও ব্যান্ডেজ করা যায়, কিছুই না করে সরাসরি যশোর বিমানবন্দরে গেলেন, আবার যশোরীদের নিয়ে বিমানবন্দরেই প্রেসকনফারেন্স উইদাউট ব্যান্ডেজ, প্লাস সেই রক্তাক্ত জামা। কুষ্টিয়া বা যশোরের ফুটপাতে মনে হয় কোন জামা গেঞ্জি পায় নি।
হয়তো দিল্লির কুকুররা আগেই সব জামা গেঞ্জি লুকায় ফেলছিল।
৮-৯ ঘটা পর সেই ইউনাইটেড হাসপাতাল।
যে ইউনাইটেড হাসপাতাল। ম্যাডামেরও পছন্দের সেই হাসপাতাল। প্যারাডাইস পেপারে অফশোর একাউন্টে পাচার করে যারা টাকার পাহাড় বানায়। মোরশেদ খান, আবদুলআউয়াল মিন্টুদের সাথে ইউনাইটেডগ্রুপ মালিকের নামও এসেছিল।
ইউনাইটেড হাসপাতালে এসেও চিকিৎসা নিলেন না।
কুষ্টিয়ায় আহত মাহমুদুরের কপাল পরিষ্কার থাকলেও ঢাকায় কপালে রক্ত মাখা। সে অবস্থায়ই ঢাকার সাংঘাতিকদের নিয়ে আবার সম্মেলন!
তারপর অনেক্ষন পর দেখাগেল পুরা মাথা ব্যান্ডেজ। চোখবন্ধ করে শুয়ে আছে। ডাক্তার বলেছে গুরুতর আহত।
*** *** ***
"এইবার দেশে স্বীকৃতি পেলো লিভ টুগেদার"
হঠাৎই চোখে পড়লো একটি নিউজ শিরোনাম। বেশ আগে ভারতের কোর্টে রায় হওয়া একটি খবরে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের ছবি দিয়ে শিরোনাম করেছে "এইবার বাংলাদেশে স্বীকৃতি পেলো লিভিং টুগেদার"।
ব্যাস..... হাজার হাজার শেয়ার কমেন্ট! কেহই খবরটি সম্পুর্ন পড়ছে না, শিরনাম দেখেই। .. কোথাকার খবর? নিউজের অথেনটিক সোর্স যাচাই করছে না!
মলমের জালায় প্রায় সবাই ধরেই নিয়েছে এটা আমাদের দেশের কোর্টের রায়!
এমনকি তারা লাগাতার শেয়ার দিচ্ছে .. কমেন্টে নাস্তিক সরকার, বিনা ভোটের ইসলাম বহির্ভূত জালিম সরকার .. এইবার দেশের সব শেষ করে দিলো!
*** *** ***
প্লাসটিকের ডিম
কদিন আগে কথিত প্লাসটিকের ডিমের গুজব ছড়িয়ে হাজার হাজার দরিদ্র পোলট্রি খামারিদের দেউলিয়া করে পথে বসিয়ে দিয়েছিল এইসব সাংঘাতিকরা।
কিন্তু কেউ একটাও প্লাসটিকের ডিম বা প্রমান জমা দিতে পারে নাই।
জনগনও প্রমান চায়ও নি। শুধু আমিন! ! আমিন! বলতে বলতে চোখে মলম লাগিয়ে দেয়া অন্ধের মত শেয়ার করে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:১০