somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চলুন রেলওয়ে কর্মী/কর্মকর্তাদের বেতনবৃদ্ধির দাবিতে অবিলম্বে আন্দোলনে নামি: না হলে বেঈমানি হয়ে যাবে!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আনন্দের সংবাদ! ছাড়পোকার কামড়, দুর্গন্ধের 'শোভাসিত' টয়লেট, ভাঙা জানালা, ভাঙা সিট, নোংরা কম্পার্টমেন্ট, বাতিল ফ্যান... সর্বোপরি ২ঘণ্টার পথ মাত্র ৫ঘণ্টায় উপভোগ করার মূল্য হিসেবে আবারও রেলপথের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। আবারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে: সেবার মান বাড়বেই বাড়বে। মাত্র বছর দুই আগে ৫০-১১০% ভাড়া বাড়িয়ে বলা হয়েছিল, সেবার মান বাড়বে। তখন ছিলেন মিষ্টভাষী ওবায়দুল কাদের, এবার নতুন জামাই মুজিবুল হক। আপনারা যারা ২দিন আগে গিয়েও অগ্রিম টিকেট পাচ্ছেন না অথবা টিকিট কেটেও সিট পাচ্ছেন না, সিট পেয়েও বসতে পারছেন না, বসেও শান্তি পাচ্ছেন না দাঁড়ানো-যাত্রীর জন্য, অথবা যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না, তাদের জন্য আনন্দের সংবাদটি হলো... আবারও ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে! কারণ কী? কারণ হলো কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বর্ধিত বেতনের টাকা যোগাতে হবে। সঙ্গে আবারও সেই পুরাতন মূলা... যথা, সার্ভিস কোয়ালিটি অচিরেই বাড়বে।

শুনুন, না বুঝেই রেগে যাবেন না! রেলওয়ের ‘হনেস্ট ও হনারেবল’ এবং মারাত্মকভাবে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও কর্মচারি মাসভরে যে কী পরিশ্রম করে কালোবাজারির হাতে টিকেটগুলো বিক্রি করে, সেটি খেয়াল করেছেন? তারপর রেলওয়ের জমাজমিগুলো এলাকার প্রাণপ্রিয় নেতানেত্রীদেরকে ব্যবহার করতে দিয়ে তারা যে কী দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন, বিষয়টি কি দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদের বুঝা উচিত নয়? তাদের মাত্র ১০০% বেতন বেড়েছে, এটি কি খুব বেশি হয়ে গেলো?

সবচেয়ে বড় কথা হলো, সেবার মানের স্থিতিশীলতা। ভালো হোক মন্দ হোক, কোনকিছু ধরে রাখাটা খুবই কঠিন কাজ। তারা সেই শতবছর আগের কোয়ালিটি আজও বজায় রেখেছে। এবং ’নয়টার গাড়ি কয়টায় চলে’ এই ঐতিহ্যবাহী স্লোগানটিকে আজও ধরে রেখেছে। তা আজ কত সত্য এবং কত উজ্জ্বল! প্রতিটি যাত্রী প্রতিদিন সেটি উপলব্ধি করতে পারেন। ছাড়পোকার কথা বলছেন তো? রেলে চড়বেন, সেখানে ছাড়পোকায় কামড়াবে না তো বাঘে কামড়াবে? এখানে তো এরচে' বড় পোকা ধরে রাখা সম্ভব না!

অতএব সেবার মানের গৌরবময় স্থিতিশীলতা এবং ঐতিহ্যবাহী বিলম্বিত যাতায়াতে রেলওয়ে কর্মী ও কর্মকর্তাবর্গের বিরামহীন অবদানের কারণে আমাদের উচিত প্রতিমাসে তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে এমুহূর্তে আন্দোলনে নামা। না হলে 'ঝাতির প্রতি' ভীষণ বেঈমানি হয়ে যাবে। তা না করে, কী করছি আমরা এই শুক্রবারের ছুটিতে?



[ফেইসবুক স্ট্যাটাস]
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
৫৫টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×