গ্রীক বীর হারকিউলিসের নাম অনুসারে প্রাচীন রোমান জনপদ নিয়ে গঠিত হেরেকুলেনিয়াম শহর ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি দ্বারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। প্রাচীন এই শহরের একপাশে ছিল সাগর আর একপাশে ছিল সবুজ পাহাড়।
৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ৮০০ বছর ধরে ঘুমিয়ে থাকা ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি যখন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে তখন সেকেন্ডের ভেতর দেড় মিলিওন টন লাভা উদগিরন করলো আগ্নেয়গিরি এবং মুহূর্তের মধ্যে সেখানকার তাপমাত্রা হয়ে যায় ৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেই আগ্নেয়গিরির লাভায় ধ্বংস হয়ে যায় পুরো নগরী। হারিয়ে যায় ১৬,০০০ তরতাজা প্রাণ। লাভার স্রোত আর খনিজ কাঁদার তৈরি ১৫-২০ মিটার স্তরের ভেতর তলিয়ে গেলো গোটা শহর।
পরবর্তীতে প্রায় ১৫০০-১৬০০ বছর পড়ে ১৭০৯ সালের দিকে কুয়া খুঁড়তে গিয়ে এই তলিয়ে যাওয়া শহরটি পুনরায় আবিষ্কার করা হয়। পাওয়া যায় শত শত নরকঙ্কাল যাদের মাথার খুলি অসহ্য গরমে বিস্ফোরিত হয়ে গিয়েছিলো।
পাওয়া যায় একজন আংটি পরা মহিলার কঙ্কাল যাকে পরে রিং লেডি নামে অভিহিত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল। এরপরে ১৮৬১ সাল পর্যন্ত এই শহর ইতালির কিংডম অফ দা টু সিসিলিস রাজ্যের অধীনে থাকে।
কিন্তু পরে ১৮৬১ সালে এই শহর রেসিনা নামে ইতালির নেপলস মহানগরীর একটি ছোট শহর হিসেবে ঘোষিত হয়।এরপরে ১৯৬৯ সালে এই ধ্বংস নগরীকে রেসিনা নামের বদলে এরকলানো নামে ইতালির প্রাচীন ধ্বংস নগরী হিসেবে নামকরন করা হয়। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো এই শহরটিকে world heritage site হিসেবে মনোনীত করে।
প্রাচীন এই ধ্বংস নগরীতে বর্তমানে মাটি ফেলে বিভিন্ন গাছপালা লাগিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। সাথে কিছু পশু-পাখি, সরীসৃপ প্রজাতির বিচরণ শুরু করার প্রচেষ্টা চলছে।
সূত্রঃ তথ্য ও ছবি নেট থেকে সংগৃহীত
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮