somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেদিনের ঘটনা, আমি ও রেয়হানের চিঠি

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখানে এখন হেমন্ত । গাছের সবুজ পাতারা ধীরে ধীরে লাল আর হলুদ হয়ে উঠছে ।আবহাওয়াটিও বেশ । না শীত না গরম অবস্থা । সবার উৎসাহের সীমা নেই । ফল কালার এসেছে । দল বেঁধে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে , ছবি তোলা , প্রোফাইল পিকচার বদলে দেওয়া । এ সপ্তাহে রুনু ভাবীরা ভার্জিনিয়া যাচ্ছে । গত সপ্তাহে একদল গেল টেনিসিতে । ফল কালার নাকি ওখানে সবচেয়ে ভাল দেখা যায় ।

আমি ঘরে বসে আছি । প্রকৃতির রঙে যে আমার একেবারে আগ্রহ নেই , তা নয় । খুব উজ্জ্বল এক তরুণীর মলিন হয়ে যাবার গল্প পড়ছি । রেয়হানের গল্পটা যতবার পড়ছি , মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১২ সালের মে- জুনের কথা । তখন বাংলাদেশেও আবহাওয়া ছিল বেশ , ঝলমলে রোদ উঠত , মাঝে মাঝে বিষণ্ণ বৃষ্টি । আমার জীবনেও এসেছিল এক ভয়ংকর বিষণ্ণ দিন ।

আমেরিকার যাবার জন্য ছুটোছুটি করছি আমি । আমেরিকা যাবার প্রাথমিক ধাপ, জি আর ই দিতে হবে। সে জন্য একটি পাসপোর্ট দরকার ।

মফস্বলের মেয়ে ছিলাম । কলেজ জীবন ঢাকায় কাটালেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলনার এক গ্রামে । বুদ্ধি বৃদ্ধির বিকাশ তাই হয়ত অতটা ঘটেনি । ঢাকায় খুব বেশি আপন কেউ ছিল না । যারা ছিলেন , তাদের আমাকে সাহায্য করবার হয়ত খুব ইচ্ছেও ছিল না ।পাসপোর্টের মত জটিল কাজটি করার কথা আমি, আমার এক বন্ধুকে বললাম । ধরা যাক বন্ধুর নাম রহমান ।
হুম রহমানকেই কথাটি বলা যায় । রহমান ছেলেটি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে ।

রহমানের সাথে আমার পরিচয়ের কথা একটু বলি । ফোর্থ ইয়ারে থিসিস নিয়ে খুব ঝামেলায় আমি । কিছুতেই প্রোগ্রামিং মিলাতে পারছিনা । এক বান্ধবী বলল , তুই রহমানের কাছে যা । রহমান আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে মোটা কাল আর বেঁটে ছেলেটি । মেয়েরা তাকে নিয়ে খুব হাসাহসি করে । আমি রহমানকে নিয়ে হাসি না , তবে কিছুটা ভয় পাই ।

একবার একজন বলেছিল , তুই জানিস রহমান পর্ণ দেখে । হলের সব পর্ণ নাকি সেই সাপ্লাই করে । তখন থেকে রহমান কে নিয়ে আমার কোন ভাল ভাবনা ছিল না । যাই হোক রহমানের সাহায্যে থিসিসে আমি উতরে গেলাম ।
ঢাকায় ফিরেও আমি কোন সমস্যায় পড়লে রহমানকে বলি । রহমান দেখি ওর ছোট ভাইকে পিছনে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে আসে । বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আমাকে জি আর ইর লেকচার শিট দেয় । আমার পিসি খারাপ হলে সারাতে নিয়ে যায় ।

আমার আর রহমানের যখন কথা হয় , রহমান কখনও মাটির দিকে তাকায় না । সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে । রহমান এর মায়ের সাথেও আমার পরিচয় হল একসময় । আপনাদের এখন মনে হচ্ছে রহমান নিশ্চয়ই আমাকে ভালোবাসতো । এত চিরাচরিত প্রেমের প্রাথমিক ধাপ ।

রহমানের একটি প্রেমিকা ছিল যে সিলেট মেডিকেলে পড়ত । প্রেমিকা থাকার কারনে কিনা জানি না রহমানের আচরণে আমি কখনও নেতিবাচক কিছু খুঁজে পাইনি । বরং সেই সময়ে মনে হয়েছে আমার সব সমস্যার কথা এই নিঃস্বার্থ রহমানকে ছাড়া আর কাউকে বলা যায় না ।

পাসপোর্ট করতে আমি রহমানকে ফোন দিলাম । রহমান তখন অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত । তবে বলল , কোন সমস্যা নেই । এসব খুব ঝামেলার কাজ । আমি আমার চাচাতো ভাইকে বলে দিচ্ছি উনি তোমাকে সাহায্য করবে ।

রহমানের চাচাতো ভাইয়ের সাথে পাসপোর্ট অফিসে দেখা হল । ভদ্রলোক প্যান্ট শার্ট টাই পরা , ৪০ এর কাছে বয়স , মাথায় টুপি সাথে একটি বিশাল গাড়ি এনেছেন । আমার পাসপোর্ট করা থেকে ছবি তোলা সেদিনের কাজে ভদ্রলোক ভীষণ ভাবে সাহায্য করলেন । কাজকর্মের ফাকে ফাকে ভদ্রলোক অনেক গল্পগুজবও করলেন । বেশিরভাগই তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত ।

আর আমিও ততখনে বুঝে গেলাম এক বিরাট ব্যবসায়ীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছে । যিনি ব্যবসার কাজে দেশে বিদেশে ঘোরেন । তবে ভদ্রলোকের কথায় কোথাও জানি দম্ভ পেলাম না । বরং রীতিমত ফ্যান হয়ে গেলাম । ভাবলাম রহমানকে আজই ফোন করে বলতে হবে , ভদ্রলোককে আমার ভীষণ ভাল লেগেছে । উনি আমাকে সব কাজে খুব সহযোগিতা করেছেন ।

কাজ শেষে ভদ্রলোক আমাকে খাওয়াতে নিয়ে গেলেন । উনি কোন এক অদ্ভুত কারনে তাঁর ড্রাইভারকে কোথায় জানি পাঠালেন । আমি তো কিছুতেই খেতে যাবো না । একসময় তাঁর জোরাজোরিতে মনে হল না গেলে অভদ্রতা হয় আর ছোট ভায়ের বান্ধবী উনিতো খাওয়াতে চায়তেই পারেন ।

আমি আর ভদ্রলোক এক রিকশায় উঠলাম । খেতে যেতে আপত্তির একটাই কারন ছিল তাঁর সাথে আমাকে রিকশায় উঠতে হবে । রিকশায় যেতে যেতে আমরা গল্প করছিলাম । ভদ্রলোক তাঁর বিদেশে থাকার সময় কি ঘটেছিল সেসব বললেন । চমৎকার সব ঘটনা রীতিমত মুগ্ধ আমি । ভদ্রলোকের সাহিত্য জ্ঞানও চমৎকার । সাহিত্যের কথা শুনতে শুনতে আমি একসময় রিকসায় এক সাথে বসার অস্বস্তি ভুলে গেলাম ।

ফার্মগেটে একটা বেশ ভাল জায়গায় খেতে বসেছি আমরা । খাওয়ার সময় আমি তেমন কিছু খাচ্ছিনা , ভদ্রলোক বললেন , তোমার তো চমৎকার ফিগার , সুন্দর বাঁধুনি , কম খেয়ে শরীর শুকনোর তো দরকার নেই । এই প্রথম আমার ভদ্রলোককে বেশ অভদ্র মনে হল । কথাটি বলেই উনি আবার জীবন সম্পর্কে অনেক সুন্দর কথা বলতে লাগলেন । যেন একটু আগেই কিছুই বলেননি ।

এখন মনে হতে পারে নিশ্চয়ই আমি সেদিন কোন উত্তেজক পোশাক পরে ছিলাম । তা না হলে কেনই বা একটি ছেলে এসব বলবে । আমার পরনে সেদিন ছিল ফুল হাতা সালোয়ার কামিজ , মাথায় হেজাফ । চেহারা ও উস্কুখুস্কু ।একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম পড়াতাম , খুব অল্প বেতন পাই । বাইরে যাবার জন্য চেষ্টা করছি , বিসি এস এরও প্রস্তুতি নিচ্ছি । জীবন তখন অনেকগুলো নৌকায় । কোন নৌকাটি তীরে গিয়ে ভিড়বে আদৌ ভিড়বে কিনা জানি না।

জীবনের কথা বলতে যেয়ে উনি আমাকে আকারে ইঙ্গিতে বোঝালেন উনি আর ওনার স্ত্রী একসাথে ঘুমান না । তাদের দুটি ছেলেমেয়ে আছে । শুধু এই কারনে তাদের সম্পর্কটা টিকে আছে । তিনি আরও বললেন , এবার লাক্স চ্যানেল আইয়ে ষষ্ট হওয়া মেয়েটি তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল , কিন্তু তিনি বলেছেন আনন্দ ফুর্তি সব হতে পারে কিন্তু বিয়ে নয় ।কারন তিনি আদর্শবান পিতা , সন্তানদেরকে ভালবাসেন ।

একটু খটকা লাগল আমার, অপ্রাসঙ্গিক সব কথা । তবুও বুঝলাম না , উনি আমাকে ঠিক কি বলতে চাইলেন । মনে হল , আমাকে তো কিছু বলেননি । শুধু শুধু কি বেশি ভাবছি । উচ্চবিত্তদের সমাজে হয়ত এসব খুব সাধারণ কথা ।

বাড়িতে এসে রাতে একটি ফোন পেলাম । অনেক্ষন হয়ে গেল । ভদ্রলোক কিছুতেই ফোন ছাড়েন না। আমি শুধু হু হা করছিলাম । কেননা ততক্ষণে মনে হয়েছে দুপুরের ঘোলাটে ব্যাপারটি অনেকটা পরিস্কার আমার কাছে । এক সময় তিনি বললেন , তুমি কি জান কেউ তোমার সাথে কথা বলতে চাইলে তুমি যদি শুধু হু হা কর, সেটি ভীষণ অভদ্রতা ।

এরকম প্রায়ই উনি আমাকে ফোন করেন । মাঝে মাঝে ধরি না । মাঝে মাঝে ধরি , পাসপোর্টের আপডেট জানতে চাই । কারন ভদ্রলোক আমার সব কাগজ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন । এতে নাকি কাজের সুবিধা হবে । আর আমি চিন্তাভাবনাহীন ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারব । ঢাকায় আমার নিকট আত্মীয়ের জায়গায়ও ওনার নাম বসানো । আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না । আমার পরীক্ষারও আর বেশি দেরি নেই । সেসময় বেশ কষ্ট করে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম । পাসপোর্টের জন্য পরীক্ষা মিস দেবার কোন মানে হয় না । আর আমি পুরাতন সিস্টেমে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম । পরীক্ষা ৩০ জুন । ১লা অগাস্ট থেকে আবার জি আর ইর সিলেবাস বদলে যাচ্ছে ।

ভদ্রলোক ফোন দিয়ে একদিন কবিতা শোনাতে লাগলেন । বললেন আমাকে নিয়ে উনি মালয়েশিয়া বেড়াতে যেতে চান । বললাম আমি খুব ঘরকুনো , বেড়াতে যেতে পছন্দ করি না , আর বিদেশ আমার পছন্দও নয় । উনি আমাকে ক্যাঁক করে ধরলেন, এই যে আমেরিকা যেতে চাও । তাকে পরিস্কার বললাম , লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে হলে বিদেশ যেতে পারি আর অথবা বিয়ের পর স্বামীর সাথে । অন্য কারো সাথে নয় । ভদ্রলোক আমাকে নানা কথা শোনাতে লাগলেন । বাধ্য হয়ে একসময় আর তাঁর ফোন রিসিভ করতাম না । কথাগুলো রহমানকেও বলতে পারছিলাম না । রহমান নিশ্চয়ই ওর ভাইকে বিশ্বাস করবে আর ভাববে এই ঘটনাটি বলে আমি হয়ত নিজেকে সুন্দরী প্রমানের চেষ্টা করছি ।

একদিন আমার ফোনে একটি মেসেজ আসল । ভদ্রলোক লিখেছেন আমার পাসপোর্ট নিয়ে বিরাট ঝামেলা হয়েছে । দু’মাসের আগে সেটি হচ্ছেনা ।
আমেরিকা যাবার জন্য আমি আমার বেশ ভাল একটি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি । এই নিয়ে পরিবাররের লোকজন ভীষণ অসন্তুষ্ট । সেখানে না যেতে পারলে সময় আর অর্থ দুটোরই অপচয় আমার জন্য ।

আমার পরীক্ষার আর একমাস বাকি । আমি নিজেই লোকটিকে ফোন করলাম । সে বলল , কোন সমস্যা নেই । যেহেতু সমস্যাটি তোমার তাই সমাধানের দায়িত্বও আমার। আর পাসপোর্টির জন্য তোমাকে কোন টাকাও দিতে হবে না । আমার ছোটবোনের জন্য আমি এটুকু করতেই পারি ।
ছোটবোন বলে ডেকেছে । এবার একটু ভরসা পেলাম । একদিন সে বলল , পাসপোর্ট রেডি । তুমি বাসায় থেক । আমি তোমাকে পিক করে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যাব ।

আমি বললাম , আমি একাই আসতে পারব । ঐদিন সকালে সে ফোন দিয়ে বলল , আমি তোমার বাসার সামনে আসছি , তুমি রেডি থাক । আমি বললাম, আমি তো রওনা দিয়ে দিয়েছি ।
ভদ্রলোক বললেন, কোথায় তুমি ?
- আমি শ্যামলীতে ।
-আমিও তো শ্যামলীতে । তুমি আমার গাড়িতে ওঠো । আমি তোমাকে পাসপোর্টে অফিসে নিয়ে যাচ্ছি ।
আমি বললাম, না আমি শিশু মেলার কাছে এসে গেছি ।
-আমিও শিশু মেলার কাছে গাড়িতে ওঠো ।

শিশু মেলা থেকে পাসপোর্টের অফিসের দূরত্ব আর নাই বলি । সেখান থেকে তো হেটেই যাওয়া যায় । আমি রিক্সা থেকে নামলাম । দেখি লোকটি দাঁড়িয়ে। সাথে তাঁর কালো কাঁচে ঢাকা মাইক্রো । আমাকে বললেন , কোন কথা নয় । গাড়িতে ওঠো । তোমার পাসপোর্ট হয়নি , ঝামেলা হয়েছে । ডিবি অফিসে যেতে হবে । পরীক্ষার আর পনের দিন বাকি , আমি পাসপোর্টের দুঃখ ভুলে গেলাম ।ভয়ে আমার সারা শরীর কাপতে লাগল । আমি জানি ভদ্রলোক আমাকে গাড়িতে উঠিয়েই ছাড়বেন । বললাম, আমার শরীর খারাপ লাগছে , জুস কিনে আসছি । উনি বললেন , তোমাকে কিনতে হবে না , গাড়িতে জুস আছে ।

আমি অনেকটা ছুটে গিয়ে পাশের দোকানটিতে ঢুকলাম আর এই ফাঁকে রহমানকে একটা ফোন করলাম । বললাম , সবটা তোমাকে পরে বলব , শুধু আমি এখন তোমার ভাইয়ের গাড়িতে উঠবনা । প্লিজ তুমি কিছু কর । জুস কিনে এসে দেখি , ভদ্রলোক আমার দিকে গম্ভীর ভাবে তাকিয়ে আছেন । রহমানের সাথে ওনার কথা হয়ে গেছে । রহমান ওনাকে কি বলে ছিলেন জানি না । উনি শুধু আমাকে বললেন , তুমি কি আমাকে ভয় পাও । অপরিচিত একটি পুরুষের কাছ থেকে এর চেয়ে কুৎসিত কথা হয়ত আর হতে পারে না । আমি না বলে তাড়াতাড়ি রিকশায় উঠে পড়লাম ।

সেদিন বৃষ্টি হয়নি , আবহাওয়া ভাল ছিল । তবু আমার জ্বর এসে গেল । সারাদিন শীতে শীতে ঠক ঠক করে কাঁপলাম । রুমমেটরা বলল কি হয়েছে , এড়িয়ে গেলাম ।

রাতে রহমানই আমাকে ফোন করল । ওকে সবটা বললাম । নিজের ভাইকে বিশ্বাস না করে সে আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করল । বলল, ওকে ফোন দিয়ে খুব ভাল করেছি । ঐ অবস্থায় ওনার গাড়িতে ওঠা নাকি সত্যি আমার জন্য বিপদজনক ছিল । একটা ছেলে আমাকে বলল , বিপদজনক ছিল , তাহলে নিশ্চয়ই হয়ত ছিল ।

এই ঘটনাটি যখন লিখছি, এখানেও আজ শীত নেই , তবুও হাত পা কাঁপছে। সেদিন কি হতে পারত এই ভেবে । আমি কি ইরানি মেয়ে রেয়হানের মত লোকটাকে খুন করতাম ? তারপর মাকে চিঠি ? । নাকি আমার নিজেরি খুন হবার মত কিছু হত ?

অবশেষে পরীক্ষার পাঁচদিন আগে পাসপোর্ট পেয়েছিলাম , রহমানের সহযোগিতায় । তবে সেটি নেবার সময় আমাকে আবার লোকটির কাছেই যেতে হয়েছিল । নেবার সময়ও সেই এক কাহিনী । আমাকে তাঁর গাড়িতে তোলার প্রচেষ্টা । স্বভাব কি অত সহজে বদলায় !

ভদ্রলোক তাঁর গাড়িতে আমাকে তুলতে সফল হলেন না বরং রেগে গিয়ে দু হাজার টাকা বেশি নিলেন কি এক ঝামেলা হয়েছে বলে ।

ভদ্রলোক এরপর কয়েবার ফোন দিয়েছেন ধরিনি । আর কখনও ভাবিওনি তার কথা । এই মুহূর্তে রেয়হানের কথায় মনে আসছে আমার । কি বিষণ্ণ নিস্পাপ একটি মুখ ।

ভাল থেকো রেয়হান । ওপারের জীবনে সুখী হও , শুভ কামনা ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪০
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×