এখানে এখন হেমন্ত । গাছের সবুজ পাতারা ধীরে ধীরে লাল আর হলুদ হয়ে উঠছে ।আবহাওয়াটিও বেশ । না শীত না গরম অবস্থা । সবার উৎসাহের সীমা নেই । ফল কালার এসেছে । দল বেঁধে কোথাও ঘুরতে যাচ্ছে , ছবি তোলা , প্রোফাইল পিকচার বদলে দেওয়া । এ সপ্তাহে রুনু ভাবীরা ভার্জিনিয়া যাচ্ছে । গত সপ্তাহে একদল গেল টেনিসিতে । ফল কালার নাকি ওখানে সবচেয়ে ভাল দেখা যায় ।
আমি ঘরে বসে আছি । প্রকৃতির রঙে যে আমার একেবারে আগ্রহ নেই , তা নয় । খুব উজ্জ্বল এক তরুণীর মলিন হয়ে যাবার গল্প পড়ছি । রেয়হানের গল্পটা যতবার পড়ছি , মনে পড়ে যাচ্ছে ২০১২ সালের মে- জুনের কথা । তখন বাংলাদেশেও আবহাওয়া ছিল বেশ , ঝলমলে রোদ উঠত , মাঝে মাঝে বিষণ্ণ বৃষ্টি । আমার জীবনেও এসেছিল এক ভয়ংকর বিষণ্ণ দিন ।
আমেরিকার যাবার জন্য ছুটোছুটি করছি আমি । আমেরিকা যাবার প্রাথমিক ধাপ, জি আর ই দিতে হবে। সে জন্য একটি পাসপোর্ট দরকার ।
মফস্বলের মেয়ে ছিলাম । কলেজ জীবন ঢাকায় কাটালেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলনার এক গ্রামে । বুদ্ধি বৃদ্ধির বিকাশ তাই হয়ত অতটা ঘটেনি । ঢাকায় খুব বেশি আপন কেউ ছিল না । যারা ছিলেন , তাদের আমাকে সাহায্য করবার হয়ত খুব ইচ্ছেও ছিল না ।পাসপোর্টের মত জটিল কাজটি করার কথা আমি, আমার এক বন্ধুকে বললাম । ধরা যাক বন্ধুর নাম রহমান ।
হুম রহমানকেই কথাটি বলা যায় । রহমান ছেলেটি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে ।
রহমানের সাথে আমার পরিচয়ের কথা একটু বলি । ফোর্থ ইয়ারে থিসিস নিয়ে খুব ঝামেলায় আমি । কিছুতেই প্রোগ্রামিং মিলাতে পারছিনা । এক বান্ধবী বলল , তুই রহমানের কাছে যা । রহমান আমাদের ক্লাসের সবচেয়ে মোটা কাল আর বেঁটে ছেলেটি । মেয়েরা তাকে নিয়ে খুব হাসাহসি করে । আমি রহমানকে নিয়ে হাসি না , তবে কিছুটা ভয় পাই ।
একবার একজন বলেছিল , তুই জানিস রহমান পর্ণ দেখে । হলের সব পর্ণ নাকি সেই সাপ্লাই করে । তখন থেকে রহমান কে নিয়ে আমার কোন ভাল ভাবনা ছিল না । যাই হোক রহমানের সাহায্যে থিসিসে আমি উতরে গেলাম ।
ঢাকায় ফিরেও আমি কোন সমস্যায় পড়লে রহমানকে বলি । রহমান দেখি ওর ছোট ভাইকে পিছনে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে আসে । বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আমাকে জি আর ইর লেকচার শিট দেয় । আমার পিসি খারাপ হলে সারাতে নিয়ে যায় ।
আমার আর রহমানের যখন কথা হয় , রহমান কখনও মাটির দিকে তাকায় না । সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে । রহমান এর মায়ের সাথেও আমার পরিচয় হল একসময় । আপনাদের এখন মনে হচ্ছে রহমান নিশ্চয়ই আমাকে ভালোবাসতো । এত চিরাচরিত প্রেমের প্রাথমিক ধাপ ।
রহমানের একটি প্রেমিকা ছিল যে সিলেট মেডিকেলে পড়ত । প্রেমিকা থাকার কারনে কিনা জানি না রহমানের আচরণে আমি কখনও নেতিবাচক কিছু খুঁজে পাইনি । বরং সেই সময়ে মনে হয়েছে আমার সব সমস্যার কথা এই নিঃস্বার্থ রহমানকে ছাড়া আর কাউকে বলা যায় না ।
পাসপোর্ট করতে আমি রহমানকে ফোন দিলাম । রহমান তখন অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়ে ব্যস্ত । তবে বলল , কোন সমস্যা নেই । এসব খুব ঝামেলার কাজ । আমি আমার চাচাতো ভাইকে বলে দিচ্ছি উনি তোমাকে সাহায্য করবে ।
রহমানের চাচাতো ভাইয়ের সাথে পাসপোর্ট অফিসে দেখা হল । ভদ্রলোক প্যান্ট শার্ট টাই পরা , ৪০ এর কাছে বয়স , মাথায় টুপি সাথে একটি বিশাল গাড়ি এনেছেন । আমার পাসপোর্ট করা থেকে ছবি তোলা সেদিনের কাজে ভদ্রলোক ভীষণ ভাবে সাহায্য করলেন । কাজকর্মের ফাকে ফাকে ভদ্রলোক অনেক গল্পগুজবও করলেন । বেশিরভাগই তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত ।
আর আমিও ততখনে বুঝে গেলাম এক বিরাট ব্যবসায়ীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছে । যিনি ব্যবসার কাজে দেশে বিদেশে ঘোরেন । তবে ভদ্রলোকের কথায় কোথাও জানি দম্ভ পেলাম না । বরং রীতিমত ফ্যান হয়ে গেলাম । ভাবলাম রহমানকে আজই ফোন করে বলতে হবে , ভদ্রলোককে আমার ভীষণ ভাল লেগেছে । উনি আমাকে সব কাজে খুব সহযোগিতা করেছেন ।
কাজ শেষে ভদ্রলোক আমাকে খাওয়াতে নিয়ে গেলেন । উনি কোন এক অদ্ভুত কারনে তাঁর ড্রাইভারকে কোথায় জানি পাঠালেন । আমি তো কিছুতেই খেতে যাবো না । একসময় তাঁর জোরাজোরিতে মনে হল না গেলে অভদ্রতা হয় আর ছোট ভায়ের বান্ধবী উনিতো খাওয়াতে চায়তেই পারেন ।
আমি আর ভদ্রলোক এক রিকশায় উঠলাম । খেতে যেতে আপত্তির একটাই কারন ছিল তাঁর সাথে আমাকে রিকশায় উঠতে হবে । রিকশায় যেতে যেতে আমরা গল্প করছিলাম । ভদ্রলোক তাঁর বিদেশে থাকার সময় কি ঘটেছিল সেসব বললেন । চমৎকার সব ঘটনা রীতিমত মুগ্ধ আমি । ভদ্রলোকের সাহিত্য জ্ঞানও চমৎকার । সাহিত্যের কথা শুনতে শুনতে আমি একসময় রিকসায় এক সাথে বসার অস্বস্তি ভুলে গেলাম ।
ফার্মগেটে একটা বেশ ভাল জায়গায় খেতে বসেছি আমরা । খাওয়ার সময় আমি তেমন কিছু খাচ্ছিনা , ভদ্রলোক বললেন , তোমার তো চমৎকার ফিগার , সুন্দর বাঁধুনি , কম খেয়ে শরীর শুকনোর তো দরকার নেই । এই প্রথম আমার ভদ্রলোককে বেশ অভদ্র মনে হল । কথাটি বলেই উনি আবার জীবন সম্পর্কে অনেক সুন্দর কথা বলতে লাগলেন । যেন একটু আগেই কিছুই বলেননি ।
এখন মনে হতে পারে নিশ্চয়ই আমি সেদিন কোন উত্তেজক পোশাক পরে ছিলাম । তা না হলে কেনই বা একটি ছেলে এসব বলবে । আমার পরনে সেদিন ছিল ফুল হাতা সালোয়ার কামিজ , মাথায় হেজাফ । চেহারা ও উস্কুখুস্কু ।একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম পড়াতাম , খুব অল্প বেতন পাই । বাইরে যাবার জন্য চেষ্টা করছি , বিসি এস এরও প্রস্তুতি নিচ্ছি । জীবন তখন অনেকগুলো নৌকায় । কোন নৌকাটি তীরে গিয়ে ভিড়বে আদৌ ভিড়বে কিনা জানি না।
জীবনের কথা বলতে যেয়ে উনি আমাকে আকারে ইঙ্গিতে বোঝালেন উনি আর ওনার স্ত্রী একসাথে ঘুমান না । তাদের দুটি ছেলেমেয়ে আছে । শুধু এই কারনে তাদের সম্পর্কটা টিকে আছে । তিনি আরও বললেন , এবার লাক্স চ্যানেল আইয়ে ষষ্ট হওয়া মেয়েটি তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল , কিন্তু তিনি বলেছেন আনন্দ ফুর্তি সব হতে পারে কিন্তু বিয়ে নয় ।কারন তিনি আদর্শবান পিতা , সন্তানদেরকে ভালবাসেন ।
একটু খটকা লাগল আমার, অপ্রাসঙ্গিক সব কথা । তবুও বুঝলাম না , উনি আমাকে ঠিক কি বলতে চাইলেন । মনে হল , আমাকে তো কিছু বলেননি । শুধু শুধু কি বেশি ভাবছি । উচ্চবিত্তদের সমাজে হয়ত এসব খুব সাধারণ কথা ।
বাড়িতে এসে রাতে একটি ফোন পেলাম । অনেক্ষন হয়ে গেল । ভদ্রলোক কিছুতেই ফোন ছাড়েন না। আমি শুধু হু হা করছিলাম । কেননা ততক্ষণে মনে হয়েছে দুপুরের ঘোলাটে ব্যাপারটি অনেকটা পরিস্কার আমার কাছে । এক সময় তিনি বললেন , তুমি কি জান কেউ তোমার সাথে কথা বলতে চাইলে তুমি যদি শুধু হু হা কর, সেটি ভীষণ অভদ্রতা ।
এরকম প্রায়ই উনি আমাকে ফোন করেন । মাঝে মাঝে ধরি না । মাঝে মাঝে ধরি , পাসপোর্টের আপডেট জানতে চাই । কারন ভদ্রলোক আমার সব কাগজ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন । এতে নাকি কাজের সুবিধা হবে । আর আমি চিন্তাভাবনাহীন ভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারব । ঢাকায় আমার নিকট আত্মীয়ের জায়গায়ও ওনার নাম বসানো । আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না । আমার পরীক্ষারও আর বেশি দেরি নেই । সেসময় বেশ কষ্ট করে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলাম । পাসপোর্টের জন্য পরীক্ষা মিস দেবার কোন মানে হয় না । আর আমি পুরাতন সিস্টেমে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম । পরীক্ষা ৩০ জুন । ১লা অগাস্ট থেকে আবার জি আর ইর সিলেবাস বদলে যাচ্ছে ।
ভদ্রলোক ফোন দিয়ে একদিন কবিতা শোনাতে লাগলেন । বললেন আমাকে নিয়ে উনি মালয়েশিয়া বেড়াতে যেতে চান । বললাম আমি খুব ঘরকুনো , বেড়াতে যেতে পছন্দ করি না , আর বিদেশ আমার পছন্দও নয় । উনি আমাকে ক্যাঁক করে ধরলেন, এই যে আমেরিকা যেতে চাও । তাকে পরিস্কার বললাম , লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে হলে বিদেশ যেতে পারি আর অথবা বিয়ের পর স্বামীর সাথে । অন্য কারো সাথে নয় । ভদ্রলোক আমাকে নানা কথা শোনাতে লাগলেন । বাধ্য হয়ে একসময় আর তাঁর ফোন রিসিভ করতাম না । কথাগুলো রহমানকেও বলতে পারছিলাম না । রহমান নিশ্চয়ই ওর ভাইকে বিশ্বাস করবে আর ভাববে এই ঘটনাটি বলে আমি হয়ত নিজেকে সুন্দরী প্রমানের চেষ্টা করছি ।
একদিন আমার ফোনে একটি মেসেজ আসল । ভদ্রলোক লিখেছেন আমার পাসপোর্ট নিয়ে বিরাট ঝামেলা হয়েছে । দু’মাসের আগে সেটি হচ্ছেনা ।
আমেরিকা যাবার জন্য আমি আমার বেশ ভাল একটি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি । এই নিয়ে পরিবাররের লোকজন ভীষণ অসন্তুষ্ট । সেখানে না যেতে পারলে সময় আর অর্থ দুটোরই অপচয় আমার জন্য ।
আমার পরীক্ষার আর একমাস বাকি । আমি নিজেই লোকটিকে ফোন করলাম । সে বলল , কোন সমস্যা নেই । যেহেতু সমস্যাটি তোমার তাই সমাধানের দায়িত্বও আমার। আর পাসপোর্টির জন্য তোমাকে কোন টাকাও দিতে হবে না । আমার ছোটবোনের জন্য আমি এটুকু করতেই পারি ।
ছোটবোন বলে ডেকেছে । এবার একটু ভরসা পেলাম । একদিন সে বলল , পাসপোর্ট রেডি । তুমি বাসায় থেক । আমি তোমাকে পিক করে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যাব ।
আমি বললাম , আমি একাই আসতে পারব । ঐদিন সকালে সে ফোন দিয়ে বলল , আমি তোমার বাসার সামনে আসছি , তুমি রেডি থাক । আমি বললাম, আমি তো রওনা দিয়ে দিয়েছি ।
ভদ্রলোক বললেন, কোথায় তুমি ?
- আমি শ্যামলীতে ।
-আমিও তো শ্যামলীতে । তুমি আমার গাড়িতে ওঠো । আমি তোমাকে পাসপোর্টে অফিসে নিয়ে যাচ্ছি ।
আমি বললাম, না আমি শিশু মেলার কাছে এসে গেছি ।
-আমিও শিশু মেলার কাছে গাড়িতে ওঠো ।
শিশু মেলা থেকে পাসপোর্টের অফিসের দূরত্ব আর নাই বলি । সেখান থেকে তো হেটেই যাওয়া যায় । আমি রিক্সা থেকে নামলাম । দেখি লোকটি দাঁড়িয়ে। সাথে তাঁর কালো কাঁচে ঢাকা মাইক্রো । আমাকে বললেন , কোন কথা নয় । গাড়িতে ওঠো । তোমার পাসপোর্ট হয়নি , ঝামেলা হয়েছে । ডিবি অফিসে যেতে হবে । পরীক্ষার আর পনের দিন বাকি , আমি পাসপোর্টের দুঃখ ভুলে গেলাম ।ভয়ে আমার সারা শরীর কাপতে লাগল । আমি জানি ভদ্রলোক আমাকে গাড়িতে উঠিয়েই ছাড়বেন । বললাম, আমার শরীর খারাপ লাগছে , জুস কিনে আসছি । উনি বললেন , তোমাকে কিনতে হবে না , গাড়িতে জুস আছে ।
আমি অনেকটা ছুটে গিয়ে পাশের দোকানটিতে ঢুকলাম আর এই ফাঁকে রহমানকে একটা ফোন করলাম । বললাম , সবটা তোমাকে পরে বলব , শুধু আমি এখন তোমার ভাইয়ের গাড়িতে উঠবনা । প্লিজ তুমি কিছু কর । জুস কিনে এসে দেখি , ভদ্রলোক আমার দিকে গম্ভীর ভাবে তাকিয়ে আছেন । রহমানের সাথে ওনার কথা হয়ে গেছে । রহমান ওনাকে কি বলে ছিলেন জানি না । উনি শুধু আমাকে বললেন , তুমি কি আমাকে ভয় পাও । অপরিচিত একটি পুরুষের কাছ থেকে এর চেয়ে কুৎসিত কথা হয়ত আর হতে পারে না । আমি না বলে তাড়াতাড়ি রিকশায় উঠে পড়লাম ।
সেদিন বৃষ্টি হয়নি , আবহাওয়া ভাল ছিল । তবু আমার জ্বর এসে গেল । সারাদিন শীতে শীতে ঠক ঠক করে কাঁপলাম । রুমমেটরা বলল কি হয়েছে , এড়িয়ে গেলাম ।
রাতে রহমানই আমাকে ফোন করল । ওকে সবটা বললাম । নিজের ভাইকে বিশ্বাস না করে সে আমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করল । বলল, ওকে ফোন দিয়ে খুব ভাল করেছি । ঐ অবস্থায় ওনার গাড়িতে ওঠা নাকি সত্যি আমার জন্য বিপদজনক ছিল । একটা ছেলে আমাকে বলল , বিপদজনক ছিল , তাহলে নিশ্চয়ই হয়ত ছিল ।
এই ঘটনাটি যখন লিখছি, এখানেও আজ শীত নেই , তবুও হাত পা কাঁপছে। সেদিন কি হতে পারত এই ভেবে । আমি কি ইরানি মেয়ে রেয়হানের মত লোকটাকে খুন করতাম ? তারপর মাকে চিঠি ? । নাকি আমার নিজেরি খুন হবার মত কিছু হত ?
অবশেষে পরীক্ষার পাঁচদিন আগে পাসপোর্ট পেয়েছিলাম , রহমানের সহযোগিতায় । তবে সেটি নেবার সময় আমাকে আবার লোকটির কাছেই যেতে হয়েছিল । নেবার সময়ও সেই এক কাহিনী । আমাকে তাঁর গাড়িতে তোলার প্রচেষ্টা । স্বভাব কি অত সহজে বদলায় !
ভদ্রলোক তাঁর গাড়িতে আমাকে তুলতে সফল হলেন না বরং রেগে গিয়ে দু হাজার টাকা বেশি নিলেন কি এক ঝামেলা হয়েছে বলে ।
ভদ্রলোক এরপর কয়েবার ফোন দিয়েছেন ধরিনি । আর কখনও ভাবিওনি তার কথা । এই মুহূর্তে রেয়হানের কথায় মনে আসছে আমার । কি বিষণ্ণ নিস্পাপ একটি মুখ ।
ভাল থেকো রেয়হান । ওপারের জীবনে সুখী হও , শুভ কামনা ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪০