somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো আদিবাসী নয় অভিবাসী

১০ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি আদিবাসীদের সঠিক পরিচিতি নিয়ে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি জনগোষ্ঠীদের নিয়ে। ঐতিহাসিক তথ্যসূত্রানুযায়ী তারা বাংলাদেশের আদিবাসী না হওয়া সত্ত্বেও নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে দাবী করছে । অপরদিকে আদিবাসীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে না মর্মে জাতিসংঘের সাথে পশ্চিমারা সম্প্রতি খুব হৈ চৈ শুরু করেছে। মজার বিষয় হচ্ছে, জাতিসংঘের যেসব সদস্য দেশে আদিবাসী রয়েছে, তাদের এ ব্যাপারে কোন আগ্রহ নেই । অন্যদিকে, জাতিসংঘ পশ্চিমাদের বিশেষ কূট-কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাদামী এবং কালো চামড়ার দেশগুলোর ওপর নৈতিকতার দোহাই দিয়ে আ�তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্তৃক প্রণীত কনভেনশন ১৬৯ চাপিয়ে দিতে চাইছে। এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীও এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে এই সনদে স্বাক্ষর করার চাপ দিচ্ছেন। তাই ইতিহাসসম্মত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ অনুসারে বাংলাদেশে আদিবাসী অভিধাযোগ্য কোন জনগোষ্ঠী আছে কিনা, এখনই পর্যালোচনা দরকার। বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব জনগোষ্ঠী উপজাতীয় হিসেবে বিবেচিত, সেগুলো হলো : চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মগ, কুকি, লুসাই, সেন্দুজ, পাংখো, বনযোগী, খুমি, গারো, হাজং, মণিপুরী, পাঙ্গন, খাসিয়া, সাঁওতাল, ওরাও, রাজবংশী প্রভৃতি ২৯টি জনগোষ্ঠী। এসব জনগোষ্ঠীতে ধর্মীয় দিক থেকে বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টান এমনকি ইসলাম ধর্মের অনুসারীও রয়েছে (মৌলভীবাজার জেলার ক�লগঞ্জ থানার প্রায় ৩০ হাজার মুনিপুরী/ পাঙ্গন উপজাতি মুসলীম ধর্মাবলম্ভী)। তারা রাষ্ট্রের সাধারণ মানবমণ্ডলী তথা নাগরিকমণ্ডলীর অবিচ্ছেদ্য অংশ, যাদের কল্যাণে ও উন্নয়নে রাষ্ট্রের বিধিবদ্ধ দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে অন্যান্য নাগরিকের মতোই। এখানে এ মুহূর্তে যে বিষয়টা গুরুত্ববহ সেটা হলো, নৃ-বিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞানের স্বীকৃত সংজ্ঞা অনুসারে উপরে বর্ণিত জনগোষ্ঠীগুলোকে ভূমিজ সন্তান বলা যায় কিনা? এসব উপজাতিদের নিজস্ব যে লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়, তাতে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত হয়েছে যে, তাদের পূর্বপুরুষেরা অদূর অতীতে বাংলাদেশের সীমানার বাইরে অপরাপর রাজ্য কিম্বা অঞ্চল থেকে রাজনৈতিক কারণে এবং বিশেষ করে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশ অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করে । তারা সবাই কোন না কোন ধর্মানুসারী ছিল, সভ্য জীবনযাপন করত, রাজ্যশাসন করত, প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধ করত এবং যুদ্ধে হেরে বাংলাদেশের কোন না কোন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা উল্লেখযোগ্য। স্বীকৃত সব নৃ-তত্ত্ববিদ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে এরা কোনভাবেই কোন সংজ্ঞায় �আদিবাসী� হিসেবে অভিহিত হতে পারে না।

আদিবাসী বলতে কী বোঝায়
ইংরেজী Indigenous শব্দটির বাংলা হচ্ছে আদিবাসী। A person or living thing that has existed in a country or continent since the earliest time known to people� অর্থাৎ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে কোন এলাকার বিশেষ জনগোণ্ঠী যদি ঐ এলাকায় বসবাস করে তাহলে তাদেরকে ঐ এলাকার আদিবাসী হিসেবে গণ্য করা হয়। Indigenous শব্দটির অর্থ হচ্ছে Nation born originating or produced naturally in a country, not imported অর্থাৎ আদিবাসী হতে হলে অভিবাসী হলে হবে না, বরং সত্যিকারভাবে একটি দেশে প্রাচীনকাল থেকে উৎপত্তি হতে হবে। এ ব্যাপারে আমেরিকার প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ লুইজ মর্গান আদিবাসীকে সজ্ঞায়িত করেছেন এইভাবে, The Aboriginals are the groups of human race who have been residing in a place from time immemorial - They are the Sons of the soil আদিবাসী হতে হলে একটি বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য থাকতে হবে যা হলো �ভূমিপুত্র� বা � Sons of the soil� . জাতিসংঘ থেকে UNPFII (United Nation Permanent Forum for Indigenous Issues) এর মাধ্যমে কারা আদিবাসী হবে তার একটি মানদণ্ড ঠিক করা হয়েছে। জাতিসংঘ কমিশনের স্পেশাল র‌্যাপোটিয়ার হোসে মার্টিনেজ কোবে যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, �কোন ভূখণ্ডের আদিবাসী সম্প্রদায়, জাতিগোষ্ঠী বা জাতি বলতে তাদের বোঝায়, যাদের ঐ ভূখণ্ডে প্রাক-আগ্রাসন এবং প্রাক-উপনিবেশকাল থেকে বিকশিত সামাজিক ধারাসহ ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা রয়েছে, যারা নিজেদেরকে ঐ ভূখণ্ডে বা ভূখণ্ডের কিয়দাংশে বিদ্যমান অন্যান্য সামাজিক জনগোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র মনে করে। সেই সাথে তারা নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট, সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও আইন ব্যবস্থার ভিত্তিতে পূর্বপুরুষের ভূখণ্ড ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয় ভবিষ্যৎ বংশধরদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দৃঢ়পতিজ্ঞ�। জাতিসংঘের সংজ্ঞায় মূলত তিনটি বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে, যা হলো : ১. যারা কোন উপনিবেশ স্থাপনের আগে থেকেই ওই ভূখণ্ডে বাস করছিল, ২. যারা ভূখণ্ডের নিজস্ব জাতিসত্ত্বার সংস্কৃতি ধরে রেখেছে এবং তা ভবিষ্যৎ বংশধরদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ৩. যারা নিজেদের সতন্ত্র মনে করে। এই সজ্ঞাসমূহের আওতায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষকগণ সত্যিকার অর্থে কারা আদিবাসী তার উদাহরণ দিতে যেয়ে বলেছেন যে, খর্বাকৃতি, স্ফীত চ্যাপ্টা নাক, কুঁকড়ানো কেশবিশিষ্ট কৃষ্ণবর্ণের �বুমেরাংম্যান�রা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী বা যথার্থ অ্যাবোরিজিন্যালস। তারা ওখানকার ভূমিপুত্র বটে। ঠিক একইভাবে মাউরি নামের সংখ্যালঘু পশ্চাৎপদ প্রকৃতিপুজারি নিউজিল্যাণ্ডের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী সেখানকার আদিবাসী। কিন্তু পার্বত্যচট্টগ্রামের উপজাতিরা এসব সজ্ঞার অন্তভূত নয়। তারা বার্মা থেকে বিতাড়িত হয়ে চট্টগ্রাম তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যে আশ্রয় নিয়েছে ১৭শ খ্রিস্টাব্দ ও ১৮শ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ের দিকে।
উপরোক্ত সূত্রের আলোকে অবশ্যই বলা যায়, একমাত্র বাঙালিরাই এই এলাকার আদিবাসী, যারা ব্রিটিশ কলোনী স্থাপনের আগে তো বটেই, সেই প্রাচীনকাল থেকে বংশ পরম্পরায় ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা, স্বতন্ত্র, সামাজিকতা , রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ভাষাগত স্বতন্ত্রবোধ বজায় রেখেছে। সে হিসেবে বাঙালিরাই এখানকার একমাত্র �ভূমিপুত্র�। এখানে আরেকটা কথা উল্লেখ্য যে, ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশরা সেটেলমেন্ট কলোনাইজেশন না করায় এ অঞ্চলের আদি বাসিন্দা বাঙ্গালীদের কখনই মূল ভূখণ্ড থেকে উৎখাত করার পরিকল্পনাতো দূরের কথা, এমনকি বাঙালিদের ভাষা, কৃষ্টি, কালচার এর উপরও কোন প্রভাব বিস্তার করেনি। সুতরাং এই বিবেচনায়ও বাঙ্গালীরাই এই এলাকার প্রাচীনতম ও একমাত্র আদিবাসী। এক্ষেত্রে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে বাংলাদেশের সমতলে কিংবা পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর পরিচয় তাহলে কি হবে ? আদিবাসীর সংজ্ঞা ও ইতিহাস পর্যালোচনা করে এটাই বোঝা যায় যে, সমতলে কিংবা পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জাতিগুলো বহিরাগত এবং তারা অভিবাসী জনগোষ্ঠী, কোন ভাবেই আদিবাসী নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে জনবসতির সূত্রপাত এবং যে কারণে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো আদিবাসী নয়
পার্বত্য চট্টগ্রাম চট্টগ্রামেরই অংশ। প্রশাসনিক কারণে ইংরেজ শাসানমলে চট্টগ্রামের পূর্বের অরণ্য এলাকাটি পৃথক করে এর নামকরণ করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম। পৃথক হবার পূর্বে থেকে সমগ্র চট্টগ্রাম জুড়েই চট্টগামীরা বসবাস করে আসছে। এমনকি মোগল শাসনামলে সীমান্ত পাহারায় রাঙ্গামাটিতেও একটি সামরিক দূর্গ ছিল। এই দূর্গকে কেন্দ্র করে আশে-পাশে বিপুল সংখ্যক চট্টগ্রামী বসবাস করতো। সে বিষয়ে মোগল শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য-উপাত্তে স্পষ্টই জানা যায়। চট্টগ্রামীরা বনজসম্পদ আহরণে অরণ্যে যাতায়াত করতো এবং কর্ণফূলি নদীর তীরবর্তী কোন কোন এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যও গড়ে তুলেছিলো। এমনই সময় অর্থাৎ ১৬শ খ্রিস্টাব্দের দিকে উত্তরাংশে অর্থাৎ আজকের খাগড়াছড়ি এলাকায় কিছুসংখ্যক ত্রিপুরা পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে এসে গহীন অরণ্যে জুম চাষাবাদ শুরু করে। এছাড়া আসামের মিজোরামের অরণ্য থেকে কুকি নামক এক উলঙ্গ জাতিও মাঝে মধ্যে বিচরণ করত চট্টগ্রামের এই অরণ্য পথে। তারা কিছুদিন এদিক সেদিক ঘুরে-ফিরে আবার চলে যেত মিজোরামে।
১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে আরাকান থেকে বিতাড়িত একদল চাকমা সর্বপ্রথম নাফ নদী পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের রামু থানার অদূরে নদী তীরে অবস্থান নেয়। তারা সেখানে সল্প সময় অবস্থানের পর গভীর অরণ্যে (আলীকদম উপজেলা) চলে যায়। চাকমারা কেন রামু থেকে আলীকদম এবং আলীকদম থেকে রাঙ্গামাটির দিকে এলো তার একটা ঐতিহাসিক ও ধারাবাহিক তাৎপর্য্য রয়েছে। তা হল- ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা আপনভাই সম্রাট আওরঙ্গজেবের সাথে বক্সার যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে চট্টগ্রামের প্রাচীন বন্দর শহর দেয়াঙ-এ (বর্তমানে আনোয়ারা উপজেলা) আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে তিনি তাঁর অনুগত ১৮ জন সেনাপতির নেতৃতে সেনাবাহিনীকে রামুতে রেখে শুধু তাঁর নিকটাত্মীয়দের নিয়ে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে আরাকানের রাজধানীতে যান। উল্লেখ্য যে, প্রায় একই সময়ে আরাকান থেকে বিতাড়িত চাকমাদের প্রথম দলটি রামুর নদী তীরে (চাকমারকুল) অবস্থান নিয়েছিল। সে সময়ে মোগল সৈনিকদের সাথে চাকমা শরনার্থীদের যোগাযোগ ঘটে। এদিকে আরাকানের রাজধানীতে আশ্রয়ের কিছু সময়ের মধ্যে আরাকানের তৎকালীন তরুণ রাজা সুবেদার শাহ সুজার এক কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সুজা তাতে ক্ষুদ্ধ হয়ে আরাকানের রাজার সাথে বাকবিতণ্ডা ও ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন এবং এক পর্যায়ে আরাকানের রাজার হাতে সপরিবারের নিহত হন । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রামুতে অবস্থানরত মোগল যোদ্ধাদের সাথে আরাকানী সৈনিকদের খন্ড খন্ড যুদ্ধ বেঁধে যায় এবং মোগলযোদ্ধারা রামু ত্যাগ করে পূর্বে গভীর অরণ্যে গিয়ে পুনরায় দূর্গ স্থাপন করে। মোগল যোদ্ধারা ইসলামের অন্যতম খলিফা হযরত আলী (রাঃ)-এর অনুসারী শিয়া সম্প্রদায়ের হওয়ায় তারা হযরত আলীর নামানুসারে ঐ এলাকার নামকরণ করেন �আলীকদম� (বর্তমানে আলীকদম উপজেলা)। মোগলযোদ্ধাদের পিছু পিছু চাকমারকুলের চাকমারাও চলে যায় আলীকদমে। মূলত এখানেই নারী বিহিন মোগল যোদ্ধাদের সাথে চাকমাদের এমন এক সমাজ গড়ে ওঠে যাতে বহু মোগলযোদ্ধা চাকমা রমণী বিয়ে করে সংসার জীবনও শুরু করে।
এদিকে সহোদর শাহ সুজা হত্যাকাণ্ডে ক্ষুদ্ধ হয়ে দিল্লীর সম্রাট আওরঙ্গজেব প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সেনাপতি শায়েন্তা খাঁকে বাংলার সুবেদার নিযুক্ত করে বাংলায় প্রেরণ করেন। ১৬৬৬ সালের প্রথম দিকে শায়েস্তা খাঁ আপন পুত্র উমেদ খাঁকে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করে আরাকানের অভিযানের নির্দেশ দেন। ২৭ জানুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে মোগলরা ব্যাপক হতাহতের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রাম বিজয় করে নেয়। চট্টগ্রাম বিজয়ের পর প্রধান সেনাপতি উমেদ খাঁ চট্টগ্রামের নবাব হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন এবং আলীকদমে আশ্রিত মোগলদের মাধ্যমে কার্পাসকর প্রদানের শর্তে আলী কদমে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন। আর এ জমিদারীর প্রজা হয় বার্মা থেকে বিতাড়িত সেই জুমিয়া চাকমারা। এভাবেই চলছিল কয়েক বছর। পরবর্তীতে মোগল ও আরাকানীদের অব্যাহত খণ্ড খণ্ড যুদ্ধের কারণে চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চল ঐ সময় �নো-ম্যান্সল্যান্ড� নামে অভিহিত হয়। ঐ এলাকা চট্টগ্রামের নবাবের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকলেও সেখানকার জমিদার শের জালাল খাঁ নিকটবর্তী আরাকানীদের বারংবার হামলার কারণে আরাকানীদের সাথে মিত্রতা ও তাদের পক্ষ অবলম্বন করেন এবং চট্টগ্রামের তৎকালীন নবাব মীর হাদীকে কর না দিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এতে চট্টগ্রামের নবাব ক্ষুব্ধ হয়ে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে জমিদার জালাল খাঁ�র প্রাসাদ ও যাবতীয় স্থাপনা ধ্বংস করে দেন। সেই সাথে জুমিয়া চাকমাদের উপরও হামলা চালিয়ে তাদের সবকিছু ধ্বংস করে দেন। ফলে অনন্যোপায় জালাল খাঁ আরাকানের অভ্যন্তরে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। সেখানেও তিনি আরাকানীদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে প্রাণত্যাগ করেন। জুমিয়া চাকমারাও প্রাণ রক্ষার্থে নানাস্থানে আশ্রয় নেয়।
সে সময় চট্টগ্রামের দেয়াঙে (আনোয়ারায় থানা) বসবাসরত জালাল খাঁ�র সহযোদ্ধা সেনাপতি শেরমস্ত খাঁ�র ছিল বিশাল প্রতিপত্তি যিনি ক্রমান্ময়ে চট্টগ্রামের দক্ষিণে চকরিয়া-রামু পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভূমির জমিদারী লাভ করেছিলেন। আলীকদম ট্রাজেডির ১৩ বছর পর ঐ শেরমস্ত খাঁই মোগল নবাব জুলকদর খানের কাছ থেকে রাঙ্গুনিয়ার কোদালা এলাকা বন্দোবস্তি এবং পার্বত্য অঞ্চলের জুমকর আদায়ের তহশিলদারী লাভ করেন । সেখানে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত আলীকদম থেকে সহযোদ্ধা মোগল সৈনিক ও তাদের পরিবার পরিজন এবং জুমিয়া চাকমা প্রজাদেরকে নিয়ে এসে বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। উদ্বাস্তু এসব চাকমারা শেরমস্ত খাঁর খামার আবাদে নিয়োজিত হয়। উল্লেখ্য যে, সপ্তদশ শতাব্দীতে শেরমস্ত খাঁর অনুসারী হয়ে কোদালা, পদুয়ায় আগত চাকমারা অনেকে মোগলদের ধর্ম গ্রহণ করে।
১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নবাব মীর কাসিম ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর নিকট চট্টগ্রামের শাসনক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানীর ইংরেজ প্রশাসকগণ রাঙ্গুনিয়ার কোদালা-পদুয়া থেকে অনতিদূরে সাংগু নদী এবং সীতাকুণ্ডের নিজামপুর রোড পর্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চল নিয়ে পদুয়া-কোদালার জমিদারির সীমানা নির্দেশ করে দিয়েছিলেন যার দায়িত্বে ছিলেন শেরমস্ত খাঁর উত্তরসরী শের জব্বার খাঁ । তিনি মোগল শাসামলের নিয়মেই ইংরেজদের কর প্রদান করতে থাকেন এবং ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই কর প্রদান করেছিলেন। ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে বার্মার রাজা বোধপায়া ত্রিশ হাজার সৈন্য নিয়ে নাফ নদীর তীরবর্তী আরাকানরাজ্য আক্রমণ করে দখল করে নেয়। বর্মী সৈন্যদের নৃশংস গণহত্যা ও নির্যাতনের ফলে প্রাণ রক্ষার্থে হাজার হাজার মারমা, চাকমা ও অন্যন্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী নাফ নদী পাড়ি দিয়ে কক্সবাজার আশ্রয় গ্রহণ করলে তৎকালিন ব্রিটিশ সরকার এসব শরনার্থীদের কর প্রদানের শর্তে পাহাড়ী এলাকায় জুম চাষের সুযোগ করে দেয়। আরাকান থেকে দ্বিতীয় দফায় আগত এ জনগোষ্ঠী চট্টগ্রামের অরণ্যে প্রবেশ করে চলে আসে পদুয়া-কোদালায় এবং পূর্বে আগত গোষ্টিগদ চাকমাদের সাথে সহজেই মিশে যায়। ফলে এসব জুমিয়া চাকমা ও অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সংখ্যা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। প্রজার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইংরেজ কতৃপক্ষ জমিদারে উপর করও বাড়িয়ে দেয়। তৎকালীন জমিদার জানবক্স খাঁ কর বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন এবং কর প্রদান বন্ধ করে দেয়। তাতে সরকার তার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালালে তিনি কলিকাতায় গিয়ে ব্রিটিশ কতৃপক্ষের কাছে আত�সমর্পন করতে বাধ্য হন এবং পুনরায় জমিদারি পরিচালায় চুক্তিবদ্ধ হন। পুনরায় যাতে বিদ্রোহ না হয় সে জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে উত্তর রাঙ্গুনিয়ার সমতল ভূমিতে জমিদারি কাচারি প্রতিষ্ঠা করতে বাধ্য করে, তারই জমিদারবাড়ির নামানুসারে ঐ এলাকার নামকরণ হয়ে যায় রাজানগর।
রাজানগরে মোগল বংশজাত সর্বশেষ জমিদার বা চাকমাদের রাজা ছিলেন ধরমবক্স খাঁ। তিনি পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন চাকমা রমণী কালিন্দীর সাথে এবং মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর পর জমিদারীর উত্তরাধিকার নিয়ে তারই স্বগোত্রীয় মীর্জা হোসেন খাঁর সাথে রানী কালিন্দীর দ্বিমত দেখা দেয়। একদিকে মীর্জা হোসেন খাঁর নেতৃত্বে মোগল বংশজাত মুসলিমরা অন্যদিকে রানী কালিন্দীর নেতৃত্বে চাকমা জুমিয়ারা। অপর দিকে বার্মা থেকে বিতাড়িত প্রায় ৪ হাজার বিদ্রোহী তঞ্চগ্যা রানী কালিন্দীর সাথে যোগ দিয়ে চাকমাদের শক্তি বৃদ্ধি করতঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। ফলে এসব বাঙালি তথা মোগল পরিবারগুলো প্রাণভয়ে সমতলের দিকে ছুটে যায় এবং পার্বত্য জমিদারী পরিচালনায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে আদালত ধরমবক্স খাঁর স্ত্রী হিসেবে রানী কালিন্দীর পক্ষে রায় ঘোষণা করে। সেই সাথে রানী কালিন্দীর খড়গতলে শত বছরের মোগল জমিদারী মুসলিম পরিবারের হাতছাড়া হয়ে যায়। রানী কালিন্দী তাঁর জমিদারীকালে মোগল ঐতিহ্য দেওয়ান পদবি বাতিল করে তদস্থলে তালুকদার নামক একটি নতুন পদ চালু করেন। তাঁর উত্তরসরী হরিশচন্দ্র পূনরায় মোগলদের সাথে মামলায় জড়িয়ে পড়লে আদালত মোগলদের পক্ষে রায় দেয় (উল্লেখ্য যে, বেশ কটি মোগল পরিবার আজও রাঙ্গুনিয়ায় বসবাস করে আসছে)। এতে হরিশচন্দ্র ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং নতুনভাবে বসবাস স্থাপন করেছিলেন রাঙ্গামাটিতে। এভাবেই ১৭শ-১৮শ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক চাকমা, মারমা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গুলো পার্বত্য চট্টগ্রামে অভিবাসিত হয়ে যায়।
পূর্ববর্তী আলোচনায় নৃতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে এটা স্পষ্ট যে, পাহাড়ের বর্তমান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো হল অভিবাসী। সুতরাং তারা চট্টগ্রাম তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের �ভূমিপুত্র� না হওয়ায় আদিবাসী হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
বহিরাগত হওয়ার কারণে ইংরেজ সরকার তাদেরকে নিজ শাসনাধীন মনে করতেন না। চট্টগ্রামের কমিশনার মি. হলহেড ১৮২৯ সালে মন্তব্য করেন যে, � ঞযব যরষষ ঃৎরনবং ধৎব হড়ঃ ইৎরঃরংয ংঁনলবপঃং নঁঃ সবৎবষু ঃৎরনঁঃধৎরবং ধহফ ঃযধঃ বি ৎবপড়মহরুবফ হড় ৎরমযঃ ড়হ ড়ঁৎ ঢ়ধৎঃ ঃড় রহঃবৎভবৎব রিঃয ঃযবরৎ রহঃবৎহধষ ধৎৎধহমবসবহঃ�. ১৯০০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ম্যানুয়েলে ব্রিটিশরা এ অঞ্চলকে নন-রেগুলেটড এরিয়া বা অশাসিত-এলাকা হিসেবে উল্লেখ করে এবং ১৯২০ সালে এলাকাটিকে ঊীপষঁংরাব অৎবধ হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার এলাকাটিকে একান্ত ঊীপষঁংরাব অৎবধ এর পরিবর্তে উপজাতি এলাকা হিসেবে অভিহিত করে। যদি ১৯০০ সাল থেকেও ধরি তাহলে দেখা যাবে কোথাও কোন পর্যায়ে এ এলাকাকে আদিবাসী এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। ১৯৯৭ সালে যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে তাতেও স্থান পায়নি আদিবাসী শব্দটি। এমনকি এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো তাদের অধিকার আদায়ের দীর্ঘ বছরের সংগ্রামেও নিজেদেরকে আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করেছে এমন প্রমাণ কোথাও নেই। অন্যদিকে আ�তর্জাতিক শ্রম সংস্থা কর্তৃক প্রণীত কনভেনশন ১০৭ (যা বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে) অনুসারেও এ এলাকায় কোন আদিবাসী জনগোষ্ঠী থাকলে তারা একমাত্র চাটগাইয়া বাঙ্গালিরা ছাড়া আর কেউ নয়।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোকে আদিবাসী বানাতে আন্তর্জাতিক মহল উদগ্রীব
নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের নিরিখে জাতিসংঘের আদিবাসী ফোরামের দেয়া মানদণ্ড অনুসারে যারা আদিবাসী হওয়ার যোগ্য নয়, তাদেরই আবার আদিবাসী হওয়ার স্বীকৃতির বিষয়টি আধিপত্যবাদের নতুন কোন ফন্দি ফিকির ছাড়া আর কিছুই নয়। মূলত পশ্চিমারা নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী হীন ও নীচ চিন্তা-ভাবনা থেকেই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং নিজস্ব রাজনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থকে অভীষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আদিবাসী ইস্যু সৃষ্টি করছে যা পাহাড়ী বাঙ্গালী কারও জন্যেই মঙ্গলকর কিছু আনবে না, বরং জন্ম দিতে পারে নিশংস দাঙ্গা-হাঙ্গমা ও বিভাজনের।

সবাই বাংলা মায়ের সন্তান
ইতিহাসের সততার স্বার্থে কোন প্রকার ধূম্রজাল সৃষ্টি হতে দেয়া উচিৎ নয়। যা সত্য, সহজভাবে তার ছায়াতলে দণ্ডায়মান হলে অনেক প্রকার সমস্যার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় এবং এটাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। বর্ণিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগনের পূর্বপুরুষেরা প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ থেকে এলেও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে এ মুহূর্তে বসবাসরত সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগনের জন্ম বাংলাদেশে, তাদের জীবনযাপন বাংলাদেশে এবং সর্বাগ্রে তারা বাংলাদেশের সন্তান। তারা বাংলাদেশেরই নাগরিক এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশের অপরাপর কোন জনগোষ্ঠীও বিন্দুমাত্র দ্বিমত পোষণ করে না। আন্তর্জাতিক কুটিল রাজনীতির পর্দা সরিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে তাকালে দেখা যায়, এ এলাকার শ্রমজীবী জনতা তথা চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা এবং বাঙালি জনগণ বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু ও মুসলিম যাই হোক না কেন পরস্পর পরস্পরের জীবন সংগ্রামের সহযোদ্ধা । সবাই সবার ভাই এবং সবারই অধিকার সমান। এটাই হচেছ সত্যিকারের বাস্তবতা। সুতরাং, আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বকে বলি দিয়ে নতুন কোন দক্ষিণ-সুদান কিংবা পূর্ব-তীমূর সৃষ্টি করতে পারি না। আমাদের উচিৎ বহিঃশত্র�র কুমন্ত্রণায় কান না দিয়ে রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় স্বার্থে এক ছাতার নীচে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জীবন সংগ্রামের পথ পাড়ি দেয়া। �সবার উপরে দেশ� এ মূল-মন্ত্রকে শীরধার্য করে আসুন আমরা আগামী প্রজন্মকে একটি নিস্কণ্টক ভবিষ্যৎ উপহার দিয়ে যাই
সূত্র : বার্তা লাইভ ২৪ ডটকম,জাহাঙ্গীর কামাল, রাঙামাটি (৮ আগষ্ট): Click This Link
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×