আনারসের পুষ্টিগুণ
আনারস বিশ্বের অন্যতম সেরা ফল। সাধারণত: আনারস খেলে যেসব উপকার পাওয়া যায় তা হল:
• ১. গরম-ঠাণ্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাব দূর করে এই ফল। এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী উপাদান। তাই শরীরের ব্যথা দূর করার জন্য এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
• ২. আনারস কৃমিনাশক। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে (সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে) আনারস খাওয়া উচিত।
• ৩. দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্ত বাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হৃদপিন্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।
• ৪. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যে কোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আনারস।
• ৫. এতে রয়েছে খনিজ লবণ ম্যাঙ্গানিজ, যা দাঁত, হাড়, চুলকে করে শক্তিশালী। গবেষণা করে দেখা গেছে, নিয়মিত আনারস খান এমন ব্যক্তিদের ঠাণ্ডা লাগা, গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিসজাতীয় অসুখগুলো কম হয়।
• ৬. এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। প্রোটিন খাবার এ ফলটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আনারস টাটকা খাওয়াই ভালো।
• ৭. আনারস জ্বরের ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী।
• ৮. দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
মোট কথা, দেহের পুষ্টি সাধন এবং দেহকে সুস্থ-সবল ও নিরাময় রাখার জন্য আনারসকে একটি অতুলনীয় এবং কার্যকরী ফল বলা চলে। সব শেষে একটু ভিন্ন মাত্রায় এনে শেষ করি তা হচ্ছে
খাবারে রঙের ভুমিকা যেমন:
হলুদ ও কমলা ফলমূল ও শাকসবজিতে থাকে বিটা ক্যারোটিন নামক রঞ্জক পদার্থ যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
চামড়ায় বলিরেখা পড়া রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খেয়ে থাকেন তাদের বয়স সমন্ধীয় ও চোখের সমস্যা ৪৩% কমে যায় এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি ৩৬% কমে যায়। কমলা রঙ হলো আনন্দ ও সুখের প্রতীক । কমলা রঙের ফলমূল ও শাকসবজি মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রবাব ফেলে যেমন মানসিক প্রশান্তি আনে। অন্যদিকে হলুদ হলো মনের ও বুদ্ধির রঙ। হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি এর মাধ্যমে আমরা বিষন্নতা, বাজে চিন্তা ও অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি। নিজেকে নিয়ন্ত্রণেও হলুদ ফলমূল ও শাকসবজি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৩৯