প্রকাশ করেছে শুদ্ধস্বর। প্রচ্ছদ: শিবু কুমার শীল। দাম: ১২৫ টাকা।
বই প্রসঙ্গে:
অল্প পরিসরে চারু মজুমদারকে নিয়ে লেখা অসম্পূর্ণ। ঢ্যাঙা-পাতলা ছোটখাট যে মানুষটিই ভারত বর্ষের বিপ্লবের অচলায়তন ভেঙ্গে একটা ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বসন্তের বজ্র নির্ঘোষ ঘোষণা করেছিলেন। ভারতের সংশোধনবাদী ঘেরাটোপে ঘুরপাক খাওয়া আন্দোলনকে ঝটকা টানে বিপ্লবের চৌরাস্তায় এনে দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই চারু মজুমদারকে সামগ্রিকতায় ধরতে পারা খুব সহজসাধ্য নয়। বিশাল ক্যানভাসজুড়ে বিস্তৃত চারু মজুমদার এবং সংশ্লিষ্টদের কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনাপ্রবাহ এখানে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে।
আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই নকশালবাড়ির প্রভাব অপরিসীম। একটি ‘মৃত’ আন্দোলন সম্পর্কে এখনো শত্রুপক্ষের আতঙ্ক কাটে না। এখনো শত্রুপক্ষের লেখাপত্রে নকশালবাড়ির বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা অব্যাহত। আর তখনই জ্বলজ্বলে সত্য হয়ে সামনে দাঁড়ায় সেই সময়কার ঐতিহাসিক জিজ্ঞাস্য: “ভারতবর্ষের কৃষক সংগ্রামের ইতিহাসে এই প্রথম এতো তীব্র ও তীক্ষ্ণভাবে বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন করা হয়েছিলো; "তুমি কার পক্ষে?"
স্তালিনের মরদেহ গ্রাস করে মাটি, লেনিনের মূর্তি ভেঙ্গে পড়ে, মার্কসের মূর্তি সরে যায়, লেনিনের কফিনে মোড়া মমি লেনিনগ্রাদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, লেনিনগ্রাদ হয়ে যায় সেন্ট পিটার্সবুর্গ! মাওয়ের মুখে লেপে যায় অপমানের কালি, সেই কালি লেপনকারীকে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়, আর তখনই ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কমরেড চারু মজুমদার এবং তার শিক্ষা। ‘ভারতের জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের কেন্দ্র হল কৃষিবিপ্লব। একে কেন্দ্র করে এবং নেতা মেনেই বিজয়ী হতে পারে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব।’
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪