somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন কি রাষ্ট্রের প্যারালাল হয়ে উঠেছে?

১৭ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গত কয়েক দিনের খবরের কাগজে চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে আশুলিয়ায় গার্মেন্ট শিল্পাঞ্চলে অসন্তোষের বিস্তারিত খবর। ঢাকার বাইরে একসাথে একই অঞ্চলে অনেকগুলো গার্মেন্ট কারখানা থাকায় এখানে যখনই কোনো একটি কারখানায় অসন্তোষ বা প্রতিবাদ দানা বেঁধে ওঠে সঙ্গে সঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের অন্যান্য কারখানায়। এটাই স্বাভাবিক। কারণ, এই শিল্প কারখানাগুলোর প্রায় সবগুলোর সমস্যাই একই ধরণের। প্রায় সব কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বেতন, ভাতা, বাড়িভাড়া, নাস্তার পয়সা, ওভারটাইম, চিকিৎসাভাতা এবং বোনাস নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। মাঝে মাঝেই এই অসন্তোষ দানা বেঁধে ওঠে। আর সে সময় এমন ঘটনা ঘটে যা আজ থেকে পনের-কুড়ি বছর আগে ঘটত না।

আগে এই শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ হলে মালিক পক্ষ সেটার মোকাবেলা করত। কখনো মালিকের ‘নিজস্ব’ লোকজন, কখনো মালিকের পোষা গুণ্ডাপাণ্ডা, আবার কখনো শ্রমিকদের মধ্যে থেকে বাছাই করা ভাড়াটে লোকজন দিয়ে সাধারণ শ্রমিকদের ‘শায়েস্তা’ করা হতো। তার পরও সে সময় মন্দের ভালো হিসেবে সরাসরি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হতো না বলে ক্যাজ্যুয়ালিটি কম হতো (আমরা এখন এই শ্রমিকদের রেগুলেশন মৃত্যু বা মৃত্যু মুখে পতিত হওয়াকে এক কথায় ‘ক্যাজ্যুয়ালটি’ বলি!)। কিন্তু গত পনের-কুড়ি বছর ধরে এবং বিশেষ করে শিল্প পুলিশ গঠন হবার পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে এখানকার শ্রমিক অসন্তোষের গন্ধ পাওয়া মাত্র রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ দমনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। স্বাভাবিক ভাবেই নিরস্ত্র শ্রমিকদের ইট-পাটকেল, অগ্নি সংযোগের জবাব আসসে বন্দুক থেকে। এবং খুবই স্বাভাবিক ভাবে এক একটা অসন্তোষে একাধিক শ্রমিকের মৃত্যু ঘটছে। শত শত শ্রমিক টিয়ার গ্যাস, লাঠি এবং বুলেটে আহত হচ্ছে।

এক একজন শ্রমিক নিহত হচ্ছে আর অসন্তোষের আগুনে যেন ঘি পড়ছে! মুহূর্তে সেই আগুন দাবানলে পরিণত হচ্ছে। রাষ্ট্রের বেতনভূক কর্মচারি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘জনগণের’ জান মালের নিরাপত্তা বিধানের ‘মহান ব্রত’ নিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলে পড়ছে। এবারও সেই একই ভাবে আশুলিয়ায় ঘটনা ঘটেছে এবং এখনো ঘটে চলেছে। রাষ্ট্র মালিক পক্ষের হয়ে তার সশস্ত্র শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। এবং এক পর্যায়ে গার্মেন্ট অসন্তোষ হয়ে দাঁড়াচ্ছে শ্রমিক-পুলিশ মরণঘাতি দাঙ্গা। এ যেন শ্রমিক অসন্তোষ দমন নয়, রাষ্ট্রের ভেতরেই ‘রাষ্ট্র বিরোধীদের’ দমন করা।
অথচ এর উল্টোটা হতে পারত। হওয়া উচিৎ ছিল। রাষ্ট্রকে সর্বদা নির্যাতিত, নিপীড়িতের পক্ষে দাঁড়াতে হয়। রাষ্ট্রকে সর্বদা তার জনগণের সাথে থাকতে হয়। এখানে শ্রমিক হচ্ছে রাষ্ট্রের সেই জনগণ বা নিপীড়িত শ্রেণী। খুব স্বাভাকি ভাবেই রাষ্ট্রের উচিৎ শ্রমিকের পক্ষাবলম্বন করা। শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু বিস্ময়কর সত্য হচ্ছে বাংলাদেশের সরকার এবং এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি বরাবরই শ্রমিকদের বিপক্ষে, মালিক শ্রেণীর পক্ষে। শুধু পক্ষাবলম্বন করলে ক্ষতি ছিলনা। রাষ্ট্র সরাসরি মালিকের পক্ষে। এবং তার শসস্ত্র শক্তি সরাসরি মালিকের হয়ে শ্রমিকের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছে।

আর কত অন্যায়ের খতিয়ান দেয়া যায়! এই সেক্টরের জন্ম লগ্ন থেকে আজ অবধি এই সেক্টরে যত শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে তত জন শ্রমিকের বা সাধারণ মানুষের মৃত্যু আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা মহামারিতে ঘটেনি। এখানে শ্রমিকরা আগুন লেগে পুড়ে মরে। বলা ভালো স্টক লট ‘ক্লিয়ার’ করার জন্য কারখানায় ঠাণ্ডামাথায় আগুন দেয়া হয়। দমকল বাহিনী বা আগুন নেভানোর উপরকরণ যেন সময় মত অকুস্থলে না পৌঁছুতে পারে সেই ব্যবস্থাও নেয়া হয়। সেই আগুনে পুড়ে তো শ্রমিক মরেই, সেই সাথে মরে সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নামার সময়। দরজা খুলে বাইরে বেরুনোর সময়। কম বেতনে বিনা চিকিৎসায় মরা, সুপারভাইজারের আঘাতে মরা, অগ্নিভীতিতে মরা, গণধর্ষনের কারণে মরা, বেয়াদবি করার কারণে পিটুনি খেয়ে মরা, কম পয়সায় ট্রাকে চেপে বাড়ি ফেরার সময় ট্রাক উল্টে মরা, অবাধ্য হওয়ায় ভাড়াটে মাস্তানের হাতে মরা তো প্রায় নিয়মিত ঘটনা। এর সাথে আরও একটি ‘রুটিন মাফিক’ মরা হচ্ছে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবি’র বন্দুকের গুলিতে, রাইফেলের বাঁটের আঘাতে এবং ইদানিং যোগ হওয়া গুম হয়ে মরা।

একে তো অসন্তোষের নিট ফলাফল হিসেবে পুলিশের গুলি খেয়ে মরছে, তার উপর অসন্তোষ সঙ্ঘটিত করার অপরাধে আইনি ত´কমা পরিয়ে জেল-হাজতে মরতে হচ্ছে গার্মেন্ট শ্রমিককে। সেভাবে মরেও তো শান্তি নেই! যে মরল সে বা তারা তো মরলই, যারা বাঁচল তাদের নামে অগুণতি মামলা। নাম না জানা অসংখ্য শ্রমিকের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা। তারপর চলবে দেন-দরবার। হয় বশ্যতা মেনে মামলা তুলো নাও, নইলে জেলে-হাজতে পচতে থাকো। গত কয়েক বছরে এই সেক্টরে এভাবে কত জনকে যে আইনি জালে জড়িয়ে কতজন শ্রমিক জেলে আছে বা কতজন শ্রমিক মারা গেছে তার কোনো সঠিক খতিয়ান কারো কাছে নেই। তবে যার যাচ্ছে সে বুঝতে পারছে স্বজন হারানোর ব্যথা।

দেশে রাজনৈতিক দলের অভাব নেই। শ’য়ের উপর দল। তার ভেতর প্রধান প্রধান দলগুলো আবার রেজিস্টার্ড। সরকারের কাছে নিবন্ধিত! সেই সব দলের শ্রমিক শাখাও আছে বিপুল কলেবরে। তারাও এই গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিকের কাজ করছে। তারাও নির্যাতিত হচ্ছে, নিপীড়িত হচ্ছে। তার পরও তারা প্রতিবাদী নয়। কারণ, তারা সরকারি দল বা প্রধান বিরোধী দলের লোক। একদল এবারে ক্ষমতায়, অন্য দল আগামীতে ক্ষমতায়। সুতরাং তারা কোনো না কোনো ভাবে সরকারের কৃপাটৃপা পাওয়ার লাইনে আছে। তা বাদে আর যে সব বাম নামধারী দল আছে তারা এতটাই ‘মৌসুমী’ এবং শক্তিহীন যে শ্রমিকদের পক্ষে বুক চেতিয়ে দাঁড়াবার সামর্থ এবং চেষ্টা কোনোটাই তাদের নেই। ফলে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নির্বিচারে গুলি করে মারলেও এই রাষ্ট্রের কিসসুটি আসবে যাবে না। যায়ও না।

এই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আদালত আছে। সেখানেও শ্রমিকের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। এই রাষ্ট্রের তাবত সুশীল, চিন্তাশীল বুজর্গ, মননশীল জাতির বিবেক, গায়ে-মাথায় মুক্তিযুদ্ধের তকমা আঁটা দেশপ্রেমিক, সরাসরি কৃষকের ঘর থেকে উঠে আসা শসস্ত্র বাহিনী সমূহের সাধারণ সৈনিকেরা এবং অগুনতি সুবিধাভোগী মধ্যবিত্ত প্যারাসাইট সমেত প্রায় সমগ্র দেশ-জাতি কি এক বিরল কারণে এই গার্মেন্ট শ্রমিকদের মরে যাওয়া দেখে বসে বসে। কাগজে কাগজে রিপোর্ট হয়, শ্রমিকের লাশের ছবি দেখে কেউ কেউ একটু আধটু উঁহ্ আহ্ করে। তারপর সব কিছু আবার আগের মত শান্ত স্বাভাবিক হয়ে আসে। প্রায় দেড় কোটি মানুষের বোঝা নিয়ে এই নগরীতে আরো একটি সকাল হয়, আবার দিন গড়িয়ে রাতও আসে। অকস্মাৎ বিস্মৃত মানুষ খুব দ্রুত ‘খারাপ’ খবরগুলো ভুলে যায়। কেবল ওই মরে যাওয়া শ্রমিকদের রক্ত বয়ে চলা ধমণীগুলো স্বজন হারানোর ব্যথায় কোঁকাতে থাকে। নিঃশব্দে।

এবারকার শ্রমিক অসন্তোষের পরের ঘটনাটি তাৎপর্যপূর্ণ। মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন শনিবার-রোববার অর্থাৎ ১৬ এবং ১৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে একযোগে সকল কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে। এবং ১৬ তারিখ রাতে যথারীতি তিনি তার সংগঠন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আশুলিয়া অঞ্চলের সকল কারখানা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন। বিজিএমইএ’র নীতিমালার ১৩(১) ধারায় তিনি বন্ধ ঘোষণার ফরমান জারি করেছেন। তিনি যখন ১৫ তারিখে অমন হুমকি দিয়েছিলেন তার পর থেকে সরকারের কোনো পক্ষ তাদের এই হুমকিকে মোকাবেলা করার উদ্যোগ নিয়েছিল কি না জানা যায়নি। শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা নিশ্চই বসেছিলেন। নিশ্চই বিভিন্ন মহল যারা এই সেক্টরের স্টে হোল্ডার তারা বসেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজটি যে হয়নি তা টের পাওয়া গেল ১৬ তারিখ রাতে। এখন আশুলিয়ার সব কারখানা বন্ধ। আগামী কাল থেকে পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ না হলে দেশের বাকি সব কারখানাও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে তারা ১৬ তারিখেই জানিয়ে দিয়েছেন!

ঠিক এই পরিস্থিতিতে দেশের সরকার কী করছে? কী করছে গার্মেন্ট সেক্টরের শ্রমিক নেতা বা বাম নামধারী শ্রমিক দরদীরা? এক অর্থে সরকারের ‘সাফল্য’ এখানে জাজ্বল্যমান! সরকারের পুলিশ যথারীতি বুলেট-ব্যাটনের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করেছে! তাদের দ্রুত অ্যাক্শনে ‘জনগণের’ জান মালের আর কোনো ক্ষতি করতে পারেনি অবাধ্য গার্মেন্ট শ্রমিকরা।
এ পর্যায়ে আমরা ১৬ তারিখের দুয়েকটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে চোখ বুলিয়ে দেখি: ‘ আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। কাল রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠন দুটির নেতারা।
নেতারা বলেছেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পোশাকশিল্পকে অস্থিতিশীল করার জন্য দায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো আশ্বাসের ভিত্তিতে কারখানা খোলা সম্ভব হবে না।’ একই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রয়োজনে সারা দেশের পোশাকশিল্প বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা ’(প্রথম আলো,১৬.০৬.২০১২)।


‘ টানা ৪ দিনের শ্রমিক অসন্তোষের পর গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। রাস্তাঘাটে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে শুক্রবার ছুটির দিনেও আশুলিয়ার হা-মীম গ্রুপসহ শিল্পাঞ্চলের বেশকিছু কারখানায় কাজ চলেছে আগের মতোই স্বাভাবিকভাবে। তবে সকালে ঘোষবাগ এলাকার রেডিয়েন্স কারখানার শ্রমিকরা তাদের বেতনÑভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বিক্ষোভের সময় সন্ত্রাসীরা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০০ জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, গতকাল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও বাড়ি ভাড়া না বাড়ানোর আশ্বাস দেয়ায় পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে (ভোরের কাগজ, ১৬.০৬.২০১২)’।

এই খবরের একটি বৈশিষ্ট লক্ষ্য করার মত! ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া গার্মেন্ট শ্রমিকদের বলছেন-সন্ত্রাসী! তিনি যদি শ্রমিকদের সন্ত্রাসীই বলেন বা মনে করেন, তাহলে তার বাহিনীর তো গুলি চালানো ‘ বৈধ’ হয়ে যায়! অবশ্যি এদেশে সব সময়েই গুলি চালানো বৈধ এবং আত্মরক্ষার জন্যই গুলি চালাতে হয়!

এখন কী ঘটবে? কারখানা কি আসলেই অনির্দিষ্ট কাল বন্ধ থাকবে? এই কারখানায় কি আর কোনো শ্রমিক কাজ করবে না? বাংলাদেশ থেকে কী গার্মেন্ট শিল্প উঠে যাবে? শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবী কী মেনে নেয়া হবে? এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একটিই। আর তা হচ্ছে-না। এসবের কিছুই ঘটবে না। দুএকদিন পরই সব কারখানা খুলে যাবে। সব কলের চাকা ঘড় ঘড় করে ঘুরতে শুরু করবে। মালিকদের কোটি টাকা দামের ব্যান্ডেড গাড়ি সাঁআ সাঁই বেগে ছুটে চলবে। মালিকদের সমিতি কার্যালয়ে তুমুল খানাপিনা চলবে। গুলি চালানো পুলিশ সদস্য পুরষ্কৃত হবেন। শুধু একটি বিষয়ই আলোচনার টেবিল থেকে কর্পূরের মত উবে যাবে। আর তা হলো শ্রমিকদের দাবী-দাওয়া। শ্রমিকরা পুলিশের লাঠি-গুলির ভয়ে এবং পেটের মরণ ক্ষুধার কারণে তাদের সব ন্যায্য দাবী হয় সাময়ীক প্রত্যাহার করবে, নয়ত আগামী কোনো এক শরৎ কালে তাদের দাবী মেনে নেয়া হবে মর্মে দেয়া মূলো নাকের সামনে ঝুলিয়ে ঝুপড়ি ঘরে ফিরবে।

১৭.০৬.২০১২
ছবি সূত্র: গুগল।



সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×