বাংলা ছবির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ভাবতেই পারিনি যে, এ উন্নতি আমার কল্পনাকেও হার মানাবে।
স্মরণকালের সেরা নায়ক, সেরা পরিচালক, সেরা সংলাপ, কাহিনীকার ও স্ক্রিপ্ট রাইটার ‘জলন্ত অনিলের’ তামাশা ‘নিঃস্বার্থ ভালবাসা’ দেখতে গেলাম বলাকায়। বলা বাহুল্য, এই প্রথম জলন্ত‘র তামাশা দেখতে হল এ গিয়েছি। এই ভালবাসার ছবি নিঃসন্দেহে ‘পরহেজগার’ তামাশা। এফডিসির সেন্সর বোর্ডের তারিফ করতে হয়। তারা একসময় যৌনতাসবর্স্ব রগরগে ছবি ছাড়ত। কারণ তখন এফডিসির সেন্সরবোর্ডে যারা ছিলেন তারা ধ্বজভঙ্গ রোগের বিমারি ছিলেন। দর্শকদেরও তাদের মতোই ভাবতেন। তাই দর্শকদের ধ্বজভঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করার ঈমানী দায়িত্ব নিয়েছিলেন সেন্সর কর্তরা। জলন্ত’র ফিল্ম দেখে মনে হলো এফডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং সেন্সরবোর্ডের কর্তারা এখন অটিজমে ভূগছেন। অথবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত বলা চলে। আগের ধারাবাহিকতায় তারাও এখন দেশের সিনেমা দর্শকদের একই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতায় আক্রান্ত মনে করছেন । আওয়ামী লীগ-বিএনপির মতো তারাও এখন জনগণকে বোকা ভাবেন। অথবা জনগণের রুচির অধঃপতনের পুণার্ঙ্গ ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু সিনেমা হলে অত্যন্ত সিরিয়াস ডায়লগেও যখন দর্শকরা হল ফাটিয়ে হাসছেন, বোঝা গেলো জলন্ত বা এফডিসির বোকাচোদাদের মতো দর্শক বোকাচোদাদের দলে নয়। তখনই দর্শকের রুচি ও জ্ঞানের প্রতি আরেকবার শ্রদ্ধাবোধে মাথা নত হলো। আর হিসু করতে ইচ্ছা হলো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও রুচিহীন ছিঃনেমা বানিয়ে ও ছাড়িয়েওয়ালাদের মুখে। হিসসসসসসসসসসসসস.......