somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৬ আগস্ট ১৯৭৫। পত্রিকার পাতায় দেখুন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খবরটা কীভাবে এসেছে!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছরের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব সরকারই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে চাকরি দিয়ে খুনিদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ‘বিরল সম্মান’ দিয়েছে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার। এই তিন সরকারের আমলে দূতাবাসগুলোতে চাকরির পাশাপাশি পদোন্নতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, দল গঠন ও সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগও পেয়েছে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের প্রায় সবাই। এভাবে হত্যাকারীরা রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও বিলম্ব হয়েছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত এবং পরবর্তীতে রাষ্টদূত ও পররাষ্ট্র সচিব হওয়া বেশ কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ’৭৫-এর ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর কিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র খুনিদের দেশ থেকে বের করে নেয় এবং চাকরি দিয়ে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। খুনিদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি বানিয়ে দূতাবাসগুলোতে চাকরি দেয়াকে এক লজ্জাজনক অধ্যায় অভিহিত করেছেন সাবেক কূটনীতিকরা। তারা জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দেয়ার বিষয়টি পোল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ মেনেও নেয়নি। কোন কোন কর্মকর্তা নানাভাবে এ ঘটনার প্রতিবাদও করেছেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যার পর ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একটি বিশেষ বিমানে রেঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক পাঠিয়ে দেয়া হয়। খুনিচক্রকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেয়ার পেছনে একটি প্রভাবশালী দেশ প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে। ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর ‘ব্যাংকক ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকায় লেখা হয় : ‘ফারুক রহমান জানান, ব্যাংককে পৌঁছার পরই তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান দূতাবাসে তাদের উপস্থিতির খবর জানিয়ে দিয়েছেন এবং ঐ দুইটি দেশে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবেন।’ পরদিন ‘ব্যাংকক পোস্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় : জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফারুক আজ (৬ নভেম্বর) মার্কিন কনস্যুলেটে আসেন এবং তার ও আরো ১৬ জন অফিসারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করেন।

পাকিস্তান সরকারের দেয়া একটি বিমানে ব্যাংকক থেকে তাদের লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাদের সাদরে গ্রহণ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে তাদের সঙ্গে যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন পরিচালক এবং পরবর্তীতে পররাষ্ট্র সচিব এবং বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী।

সব খুনিকে এক সঙ্গে লিবিয়ায় রাখা নিরাপদ নয় মনে করে ১৯৭৬ সালের ৮ জুন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। কয়েকজন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ইত্তেফাককে বলেন, খুনিরা লিবিয়াতে বসে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে -এই আশংকা থেকেই তাদের চাকরি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানকারী কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ও কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হয়নি। তারা জিয়া সরকার ও লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফির সঙ্গে সমঝোতা করে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে।

জিয়া সরকার যাদেরকে চাকরি দেয় তাদের মধ্যে লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিমকে চীন দূতাবাসে প্রথম সচিব, লে. কর্নেল আজিজ পাশাকে আর্জেন্টিনায় প্রথম সচিব, মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজেরিয়ায় প্রথম সচিব, মেজর বজলুল হুদাকে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সচিব, লে. কর্নেল শাহরিয়ার রশিদকে ইন্দোনেশিয়ায় দ্বিতীয় সচিব, মেজর রাশেদ চৌধুরীকে সৌদি আরবে দ্বিতীয় সচিব, মেজর নূর চৌধুরীকে ইরানে দ্বিতীয় সচিব, মেজর শরিফুল হোসেনকে কুয়েতে দ্বিতীয় সচিব, কর্নেল কিসমত হাশেমকে আবুধাবিতে তৃতীয় সচিব, লে. খায়রুজ্জামানকে মিসরে তৃতীয় সচিব, লে. নাজমুল হোসেনকে কানাডায় তৃতীয় সচিব ও লে. আবদুল মাজেদকে সেনেগালে তৃতীয় সচিব হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ঢাকা থেকে শমসের মবিন চৌধুরী তাদের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে নিয়োগপত্র, ব্যাগ, জিনিসপত্র, টাকাসহ লিবিয়া যান। আর লিবিয়ায় খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবকিছু প্রস্তুত করেন সেনা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম শিশু।

পরবর্তীতে এরশাদ সরকার ডালিমকে বেইজিংয়ে নিয়োগ দিতে না পেরে পরে হংকংয়ে ভারপ্রাপ্ত মিশন প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেয়। পোল্যান্ডে ডালিমকে একই পদে নিয়োগ দিলেও সে দেশের সরকার তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর লন্ডনে এরশাদ ও ডালিমের মধ্যে এক বৈঠকের ভিত্তিতে তাকে কেনিয়াতে হাইকমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়। অন্যদের মধ্যে পরবর্তীতে আজিজ পাশা ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোমে দায়িত্ব পালন করে। একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ সৌদি আরবের মিশন উপ-প্রধান হিসাবে নিয়োগ পায়। রাষ্ট্রদূত সিএম শফি সামীর দাবি অনুযায়ী তার বিরোধিতার কারণে এবং বেনজির ভুট্টো গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় একই পদে মহিউদ্দিনকে করাচিতে নিয়োগ দিতে পারেননি এরশাদ। রাশেদ চৌধুরী টোকিও’র কাউন্সিলর হয়। নূর চৌধুরীকে এরশাদ আমলে আলজেরিয়ায় কাউন্সিলর হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে সে ব্রাজিলে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। শরিফুল হোসেন ওমানে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স নিযুক্ত হয়। অন্যরাও পদোন্নতি পায়। তাদের জন্য পদোন্নতি, সুযোগ সুবিধা সব অবারিত ছিল। শুধু তাই নয়, এসব খুনি এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজনীতিতে অংশ নেয় এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে। শাহরিয়ার রশিদ ও বজলুল হুদা ১৯৮০ সালের পর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি নামের একটি দল গঠন করে। ১৯৮৭ সালে ফারুক রহমান ও আব্দুর রশিদ গঠন করে ফ্রিডম পার্টি। পরে বজলুল হুদাও ফ্রিডম পার্টিতে যোগ দেয়। এর আগে ১৯৮৬ সালে এরশাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করে লে. কর্নেল ফারুক। বজলুল হুদা ফ্রিডম পার্টির হয়ে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে মেহেরপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। আর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ভোটার বিহীন এক তরফা নির্বাচনে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় লে. কর্নেল রশিদ। এভাবে এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে খুনিরা সংসদে বসে।

খুনিরা বিভিন্ন দেশে চাকরিকালীন নানা ধরনের অনিয়ম ও বিশৃংখলা এবং চাকরিবিধি লংঘন করে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণœ করে। এদের মধ্যে ডালিম নানা জায়গায় অনেক অঘটনের জন্ম দেয়। তাকে পোল্যান্ড সরকার গ্রহণ না করায় নিয়োগের আদেশ না থাকা সত্ত্বেও সে লন্ডন চলে আসে। এরশাদের লন্ডন সফরের সময় হিথ্রো বিমান বন্দরের এলকক এন্ড ব্রাউন স্যুটে এবং পরবর্তীতে হোটেলে দীর্ঘ বৈঠক করে। অথচ সে সময় তার কোন নিয়োগপত্র ছিল না। কেনিয়া সরকার ডালিমের অকূটনীতিসুলভ আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে অভিযোগ করে। ডালিম চীনে কর্মরত অবস্থায় সেখানকার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মমিনকেও নানাভাবে হেনস্তা করে। বজলুল হুদা পাকিস্তানে দূতাবাসের কর্মচারিদের মারধর করত। আজিজ পাশা তুরস্কের কাউন্সিলর থাকাকালীন তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। ওই রাষ্ট্রদূত তখন ঢাকায় এসওএস বা জরুরি উদ্ধার বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধার পান।

তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সিএম শফি সামী বলেন, খুনিদের এভাবে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দেয়া, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেয়া ছিল জাতির জন্য এক লজ্জাজনক অধ্যায়। এ ঘটনাগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আনোয়ার সাদাত বেঁচে থাকাকালীন একজন রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তাকে প্রকাশ্যেই তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ট্যাংক দিয়েই তোমরা আমার বন্ধুকে হত্যা করেছ’। তিনি বলেন, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত একেএম মহিউদ্দিনকে পাকিস্তানের করাচিতে ডেপুটি হাইকমিশনার নিয়োগ দেয়া হলে আমি তাকে মেনে নিইনি। পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েই তিনি একেএম মহিউদ্দিনকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, তিনি ’৯২-’৯৩ সালে চীনের রাষ্ট্রদূত থাকাকালেও রাশেদ চৌধুরীকে উপ-হাইকমিশনার হিসাবে নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সেভাবে সংগঠিত প্রতিবাদ না হলেও অনেকে অনেকভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন।

১৯৭৫ সালে লন্ডনে ডেপুটি হাইকমিশনার এবং সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী বলেন, হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ অনেকে মেনে নিতে না পারলেও তাদের কিছু করার ছিল না। কেননা সামরিক শাসকরাই তাদের নিয়োগ দেয়, সব নিয়মকানুন তাদের হাতে। আবুধাবীতে কর্মরত থাকার সময় আমার অধীনে অভিযুক্ত কিসমত হাসেমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এটা ছিল একটি অসহনীয় ঘটনা। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রের নিয়োগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যায় না। নিয়োগের আদেশগুলো আসতো চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটরের অফিস থেকে। তাই আদেশগুলো আমি কখনোই খুঁজে পাইনি।

হত্যাকাণ্ডের সময় ফ্রান্সে কর্মরত সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক মেধাবী কর্মকর্তার ওপরে খুনিদের সরাসরি কাউন্সিলর, প্রথম সচিবের মত উচ্চ পদে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। এরশাদও তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। তিনি একেএম মহিউদ্দিন, শরফুল হোসেন, আজিজ পাশাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং অন্যদের উচ্চতর পদে পদোন্নতি দেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় সুইজারল্যান্ডের জেনেভা মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এবং পরবর্তীতে সচিব পদমর্যাদায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপ্যাল মহিউদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, জিয়া সরকার প্রাথমিকভাবে খুনিদের লিবিয়াতে নিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্রের আশংকায় তাদের সবাইকে সেখানে একসঙ্গে রাখার সাহস পায়নি। তখন তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়। তিনি বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর জেনারেল নূরুল ইসলাম শিশু ঢাকা থেকে সবকিছু তদারক করেন। নূরুল ইসলাম শিশু এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমাতে বাস করেন। এই দুইজন সেনাবাহিনীতে জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সহকর্মী হিসাবে খুনিদেরও চিনতেন। তিনি জানান, শমসের মবিনকে আহত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বঙ্গবন্ধুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেন। ৭৫ এ শমসের মবিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ছিলেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ এমপি ’৭৫ এ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সময় পার করেছেন। অনেকে অফিসে আসতেন না। তেমন কোন কাজ-কর্ম করতেন না কেউ। অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই খুনিদের বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, অনেক দেশ তাদের নিয়োগ মেনে নিলেও ভিয়েতনাম, পোল্যান্ড কোন খুনিকে গ্রহণ করেনি। এমনকি পরবর্তীতে পাকিস্তানও একজনকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
৩৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×