somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইতিহাসও ধর্ষণের শিকার

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে মাঠে নেমেছিল। মাঠে ঠিক নামতে পারেনি। মামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতনের ভয়ে বিএনপি নেতারা অন্তরালেই থেকেছেন বেশি। আর তাণ্ডব চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন জামায়াত-শিবিরের হাতে। বিক্ষিপ্তভাবে ছাত্রদলের দু-একটি ঝটিকা মিছিল মাঝেমধ্যে দেখা গেছে। সে সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রায় অন্তরীণ দশা ছিল বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর। তখন তার একমাত্র কাজ ছিল প্রতি সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ডেকে বিবৃতি পাঠ করা। তখনই আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছিল এই বিএনপি নেতার প্রতি। তিনি বেশ কাব্যিক শব্দ চয়ন করতে পছন্দ করেন।
৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না যাওয়ার পরিণতি নিয়ে বিএনপির মধ্যেই নানা বিতর্ক রয়েছে। আমরা যারা কলাম লিখে আর টকশোতে অনেকের বিরক্তি উৎপাদন করে নিজের খেয়ে বুনো মোষ তাড়াই, তাদের অনেকেই বলেছিলাম, লিখেছিলাম- বিএনপিকে ছাড়াই আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চাচ্ছে। সাংবিধানিক রীতি-পদ্ধতি আওয়ামী লীগের পক্ষে। তাই ফাঁদে পা না রেখে সংলাপে যাওয়া এবং নির্বাচনে যাওয়ার পথ কণ্টকমুক্ত করতে এগিয়ে আসতে হবে বিএনপিকেই। এ প্রসঙ্গে একটি লেখায় আমি লালনের গানের লাইন উদ্ধৃত করে বিএনপির দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলাম। লাইনটি ছিল- সময় গেলে সাধন হবে না। এখন নজরুলের কবিতার লাইন থেকে বলব- ঘুমাইয়া কাজা করেছি ফজর / তখনও জাগিনি যখন জোহর / হেলায় ও খেলায় কেটেছে আসর / মাগরিবের আজ শুনি আজান / জামাতে শামিল হও এশাতে / এখনও জামাতে আছে স্থান। সময় ধরতে না পারায় তখন সাধন হয়তো হয়নি, তবে বিভ্রান্তির পথে না হেঁটে সঠিক পথ চিনতে পারলেও এশার ওয়াক্ত হয়তো ধরে ফেলা সম্ভব হবে। ধোঁয়াচ্ছন্ন গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোটা এখন জরুরি।
কিন্তু লক্ষণ খুব সুবিধার নয়। যখন প্রত্যাশা করছিলাম বিএনপি নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করবে, তখন দেখা গেল বাস্তববোধ বর্জিত হয়ে বিদেশীদের অনুকম্পায় শক্তিমান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা। পাশাপাশি দলের অসংগঠিত অবস্থায়ও আন্দোলনের নামে পথে নামতে চাইছেন। কর্মসূচির আওয়াজ দিয়ে যাত্রা শুরুর আগেই পিছু হঠা তেলতেলে বাঁশ থেকে এক ঝটকায় নিচে নেমে যাওয়ার শামিল। সুতরাং বিএনপির দূরদর্শী নেতাদের উচিত ছিল গৎবাঁধা ফাঁকা বুলিতে না গিয়ে ঘর গোছানোতে আত্মনিয়োগ করা। তার বদলে মাঠে প্রস্তুতি নেই তবু আন্দোলনের কামান দাগা শুরু করলেন। এতে কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করার বদলে হতাশা বাড়ানো হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে গবেষণা করার কোনো অবকাশ বিএনপি নেতৃত্ব রেখেছেন এমনটি বোঝা যাচ্ছে না। ঘটা করে বলা হতে লাগল- ঈদের পর তারা কঠোর আন্দোলনের পথে হেঁটে সরকারের পতন ঘটাবেন বা মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য করবেন। আর এসবে উৎসাহী হয়ে রুহুল কবির রিজভী তার কাব্যিক শব্দে বললেন, এবারের আন্দোলনে তুমুল যুদ্ধেরই পদধ্বনি শোনা যাবে। কথাটি তিনি অনেক আগে বলেছিলেন। সম্ভবত ২৭ জুলাই তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পায়ের নিচের মাটি বিএনপি অনেকটা শক্ত করে দিয়েছে। তাই ঈদের পরের তুমুল আন্দোলনের চ্যালেঞ্জকে পরোয়া না করে আওয়ামী লীগ প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একই দিনে গণভবনে সাংবাদিকদের বলে দিয়েছিলেন, বিএনপি মাঠে নামুক না। মাঠে আওয়ামী লীগ আছে। জনগণ আছে। মাঠের দেখা মাঠেই হবে। পরোয়ারদিগারকে ধন্যবাদ। এক ঈদ গিয়ে আরেক ঈদ আসছে। তেমনভাবে মাঠে নামা হয়নি বিএনপির। তারা একটু-আধটু মহড়া দিয়ে বুঝেছেন, সুবিধা হবে না।
বিএনপি নেতারা তো কথায় কথায় বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল আর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। শান্তির লক্ষণ মানুষ দেখে না। দেখে পেট্রলবোমা ছুড়তে। গাড়ি ভাংচুর করতে আর আগুন দিতে। রেললাইন উপড়ে ফেলতে। আহত-নিহত মানুষের মিছিল বাড়াতে। বিএনপি নেতারা বুঝতে পেরেছেন, নিকট-অতীতে নিজেদের প্রযোজনায় এবং জামায়াতের পরিচালনায় যে সহিংস আন্দোলন চালিয়েছিলেন তারা, তা বুমেরাং হয়েছে। এই অন্ধকার পথে সরকার পতনের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। লাভের বদলে রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে বেশি। তাই এখন বারবার অহিংস-শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলে যাচ্ছেন। বাস্তব অবস্থা দেখে আমরা বিশ্বাস করছি, কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারার আগ পর্যন্ত সহিংস আন্দোলন করার সুযোগ নেই বিএনপির। এই যদি হয় সময়ের বাস্তবতা, তাহলে রিজভী সাহেবরা মিছিমিছি যুদ্ধের পদধ্বনি শোনাচ্ছেন কেন?
আমরা বুঝে পাচ্ছি না বিএনপি নেতারা কেনই বা এত আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন। সারা দেশে তো তাদের কর্মী-সমর্থক কম নয়। বিএনপি আর আওয়ামী লীগ দুই দলের নেতৃত্বের ভেতরেই আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রবল। এর বড় কারণ গণতন্ত্র চর্চা থেকে সরে যাওয়া। তাই আওয়ামী লীগ নিজের দুর্বল অবস্থানকে সামাল দিতে ৫ জানুয়ারিতে কুশলী নির্বাচন করে ফেলল। অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন করার সাহস পায়নি। সুশাসন প্রতিষ্ঠা না করতে পারায় জনবিক্ষোভের সম্ভাবনা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। গণতন্ত্র চর্চা না করায় জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারছে না। চাইলেও প্রশাসনিক দুর্নীতি ও সন্ত্রাস কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশে জনমত ও সমালোচনাকে স্বাগত জানানোর কথা। অথচ সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত করে ফেলার জন্য অসময়ে-অপ্রয়োজনে সম্প্রচার নীতিমালা চাপিয়ে দিতে চাইছে। সংবিধান সংশোধন করে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের ওপর অর্পণ করা হচ্ছে। অথচ বর্তমান সময়ে বিরোধী রাজনীতির দুর্বল দশায় সরকার চাইলে দৃঢ়তার সঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে হাঁটতে পারত।
গণতন্ত্রের পথ ধরে বিএনপির জন্ম হয়নি। জন্মের এই পাপ বিএনপি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে। বক্তৃতার শব্দ ছাড়া গণতন্ত্রের পরিচর্যা কখনও হয়নি এ দলটির ভেতর। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা বন্ধুত্ব বিএনপির পাকিস্তানপন্থার অভিযোগটা বারবার দৃশ্যপটে নিয়ে আসছে। ভুল পথে হেঁটে আন্দোলনের ময়দানে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন তারা। সরকার পক্ষের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিএনপি নেতারা যুক্তিহীনতার গর্তে পা রেখে দলকে সংকীর্ণ পরিচয়ে দুর্বল করতে চাইছেন। বারবার যুদ্ধের পদধ্বনি শুনিয়ে শরীর গরম রাখতে চাইছেন। এ কারণেই আমাদের ভাবনা, মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ সেক্টর কমান্ডার একে খন্দকারের বই নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এমন আগ বাড়িয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন কেন! তথ্যসূত্রবিহীন একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থের সব বক্তব্য ইতিহাসে প্রামাণ্য বলে বিবেচিত হয় না। ইতিহাস লিখন পদ্ধতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থেকে সিদ্ধান্তমূলক বক্তব্য দেয়া নিজেদের দুর্বলতার প্রকাশ এ কথা কেন তারা বুঝতে পারছেন না? আবার একইভাবে সংসদে দাঁড়িয়ে বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং শেখ সেলিম যেভাবে প্রতিবাদ জানালেন, তার কোনো প্রয়োজন ছিল বলে আমাদের মনে হয়নি। এদিক থেকে মাননীয় অর্থমন্ত্রী যথার্থই বলেছেন, কোনো গ্রন্থের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে না পারলে বা অসারতা প্রমাণ করতে চাইলে আরেকটি বই লিখেই তা প্রামাণ্যভাবে উপস্থাপন করতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি সেই আহ্বানই থাকবে। বিনয়ের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বলব, মিছিমিছি বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। যুক্তির কারণে বলছি, বঙ্গবন্ধু যদি জয় বাংলা বলার পর জয় পাকিস্তান বলেও থাকেন, তাতে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়েছে? এতে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিসংগ্রামে বাঙালিকে আহ্বান জানানো খাটো হয়ে যায় না। ৭ মার্চের বাস্তবতায় বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়নি। তাছাড়া রাজনৈতিক কৌশলের কথা আমরা ভুলে যাই কেন? তারপরও বলব, ইতিহাসের সত্য প্রকাশ্যেই আসে। বিকৃতির জায়গা হয় আবর্জনার স্তূপে। মির্জা ফখরুলরা তো এই মাটিরই সন্তান। বয়সের বিচারে বলা যায়, ৭ মার্চের ভাষণ শুনেছেন। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন। সত্যটা তাদের অজানা নয়। জয় পাকিস্তান বলে থাকলেও এর তাৎপর্য তার বোধের অগম্য নয় নিশ্চয়। রাজনীতি করতে গেলে কি এভাবেই বিবেক বন্ধক রাখতে হয়!
মুক্তিযুদ্ধের জন্য আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি ছিল না- এ কথায় আওয়ামী লীগ নেতাদের গায়ে ফোস্কা পড়বে কেন! পাকিস্তানি জান্তা ২৫ মার্চ রাতে যে গণহত্যার উদ্দেশ্যে রাজপথে নামবে, তেমনটা কি কেউ আগে থেকে ভাবতে পেরেছিল? বঙ্গবন্ধুর ভাষণে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ার আহ্বানে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় কি বাঁশের লাঠি নিয়ে তরুণরা মার্চপাস্ট শুরু করেনি? সুবিধামতো বন্দুক চালনা ও রাইফেল ট্রেনিং নেয়নি? এর চেয়ে বেশি প্রস্তুতির অবকাশ কি ছিল? এ সত্য মানতে হবে যে, বাঙালি পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেনি। ২৫ মার্চ রাতে বীভৎস গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানিরা বাঙালির ওপর মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। বাঙালির মানসিক প্রস্তুতি ছিল বলেই তারা ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে। দেশকে শত্রমুক্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই বাস্তবতায় জনাব একে খন্দকার প্রৌঢ় বয়সে ৪৩ বছর আগের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তথ্যসূত্র ব্যবহার না করে কী বললেন, তা এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার কারণ নেই। এতে লেখক-প্রকাশকের ব্যবসা বৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোনো প্রাপ্তি আছে বলে আমরা মনে করি না। ইতিহাসের সূত্র মেনে দুই প্রজন্ম পরে যখন তথ্যসূত্র বিচার করে নির্মোহ জায়গা থেকে ইতিহাস লেখা হবে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে সব আবর্জনা।
এতে কারও দ্বিমত নেই যে, দেশকে এগিয়ে নেবেন, দেশ পরিচালনা করবেন রাজনীতিকরা। এ কারণে বক্তব্যে, আচরণে, পরিকল্পনায় রাজনীতিকরা অনেক বেশি প্রজ্ঞার পরিচয় দেবেন এটিই কাম্য। অহেতুক যুদ্ধের পদধ্বনি শুনিয়ে জনগণকে আতংকিত করা কেন? কিন্তু এসব যুক্তির পথে না হেঁটে আমাদের বড় দুই দল রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার আর টিকে থাকার জন্য যে পথে হাঁটছেন, তাতে আর যাই হোক গণতন্ত্র রক্ষা পাচ্ছে না। এ কারণে সংশ্লিষ্টদের একসময় ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×