এখন সব চেয়ে বড় ইস্যু রোহিঙ্গা
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু রোহিঙ্গা। এই ইস্যুতে আর সব ইস্যু চাপা পড়ে গেছে। রোহিঙ্গারা ঘর-বাড়ি নিজের বাসস্থান হারিয়ে সত্যি অনেক মানবেতর জীবন যাপন করছে।লাক্ষ লাক্ষ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে ঢুকে পড়ায় আমাদের দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে।
সরকার যদি কুটনৈতিক উপায়ে এই সমস্যার সমাধান দ্রুত না করতে পারেন তবে এর জন্য আমাদেরকেও অনেক ঝামেলা মোকাবেলা করতে হবে।
নানান দেশ এদেশে এসে রোহিঙ্গাদের ত্রান বিতরন করছেন কিন্তু তাদেরকে নিয়ে কেউ স্থায়ী সমাধানের কথা মনে হয় বলছেন না। সব দেশ যদি কিছু কিছু রোহিঙ্গাদের তাদের দেশের স্থায়ী নাগরিক হিসেবে নিয়ে যেত তবে বাংলাদেশকে মনে হয় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে এত ভাবতে হবে না। সব দেশ হয়তো মুখের দরদ দেখাবে কিন্তু বাস্তবে কাজ করবে না।রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান হোক সে কামনায় করছি।
চাল নিয়ে চালবাজি
সাম্প্রতিক চালের বাজারে যে আগুন জ্বলেছে তা সহজে নিভবে বলে মনে হয় না। মোটা চালই বিক্রি হচ্ছে পঞ্চাশ টাকা দরে!!
কয়েক মাস আগে আমি প্রতি কেজি চিকন চাল কিনতাম ৩৮-৪২ টাকা দরে। সেই চাল বেড়ে দাম হল ৫৫! এখন নাকি চিকন চাল ৬৫ টাকা!!
কোন দেশে যে বাস করছি।আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত। এই খাদ্য যোগান দিতে যদি আমাদের ইনকামের বেশির ভাগ খরচ হয়ে যায় তবে অন্য চাহিদা কি ভাবে পুরন করব? খাদ্য মন্ত্রী চালের অস্থীর বাজার কিছুতেই নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছেন না। চাল নিয়ে আসলে কারা যে চালবাজি করছে সেটাই তিনি নির্দিষ্ট করতে পারেননি এখনও পর্যন্ত।চাল নিয়ে যারা চালবাজি করছে আশা করি খুব দ্রুত তাদের সব চালবাজি শেষ হবে।
লাগমহীন সবজি বাজার
চালের দাম বেশি তাই ভাত কম করে যে সবজি বেশি খাবে বাঙালী তারও উপায় নেই।সবজির বাজারেও জ্বলছে আগুন। যে সবজিই কিনতে যান না কেন ৫০-৬০ টাকার কমে কোন সবজিই পাবেন না।বন্যা হয়েছে কিছু জেলায় তার কারনে সবজির দাম বাড়বে এটা মেনে নেওয়া যায় না।চাষীরা এদেশে কোন সময়ই নায্য দামে তার পন্য বিক্রি করতে পারে না।পাঁচ টাকার সবজি বাজরে আসতে আসতে দাম বেড়ে ৩৫ টাকা হয়ে যায়!থাক এসব কথা বলে কোন লাভ নাই।
বেশি করে সবজি খান ভাতের উপর চাপ কমান এখন আর এই কথা চলবে না।
সৃজনশীলে শিক্ষকেরাই প্রশ্ন করতে গলদঘর্ম
এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা উন্নত হয়েছে তা এই খবর দেখলেই বোঝা যায়।বড় শখ করে মনে হয় শৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল।এখন সেই শখের তোলা কত তা কেউই বলতে পারবে না।খবরে প্রকাশ ৫২% শিক্ষক নাকি সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নই করতে পারেন না!
যে শিক্ষক প্রশ্ন করতে পারেন না তিনি পরিক্ষা নিবেন কি করে? তার চেয়ে ভাল ছাত্রদের পরিক্ষা না নেওয়া।এমনিতেই সবাই এখন গড়পরতা এ প্লাস পায় তাহলে পরিক্ষা নিয়ে শুধু শুধু ছাত্র-ছাত্রীদের কষ্ট বাড়িয়ে লাভ কি।
জয়তু সৃজনশীল পদ্ধতি।জয়তু প্রশ্ন করতে না পারা শিক্ষক বৃন্দ!
সুচি তুইও মরবি
রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতনের ছবি গুলো দেখলে সত্যি মনের অবস্থা কিযে হয় তা বুঝিয়ে বলা যাবে না।
মেয়ে মানুষের মন নাকি খুব নরম হয়।সুচি কি একটা মেয়ে?মন হয় না সুচি মেয়ে বরং তাকে পিচাশিনী বলা যায়।
নির্যাতিত মানুষের অভিশাপ একদিন সুচির উপর নিশ্চয় পড়বে। সুচি তুইও একদিন মরবি।