সুমনের সাথে আমার আহমরি বন্ধুত্ব বলতে যা বোঝায় সেটা নয়।আমরা একই শহরে থাকি আর একই ক্লাসে পড়ি বলে আমাদের মধ্যে একটা ভালই বন্ধুত্ব হয়েছে।তবু কিছু কিছু কারনে আমি সুমনকে ঠিক মন থেকে ১০০% বন্ধু ভাবতে পারিনা।
ও খুবই অহংকারী আর বেশ কিপ্টাও বলা যায়।আজ পর্যন্ত যতবার ওর সাথে কোন হোটেলে কিম্বা রেস্তোরায় খেতে গিয়েছি ও একদিনও বিল পরিশোধ করেনি।অথচ ওদের অবস্থা আমাদের চেয়ে অনেক বেশিই ভাল।
তাছাড়া ওর বেশ ভুষন চলাফেরাও আমার কাছে উগ্র মনে হয়।মাঝে মাঝে কি যে সব ড্রেস পরে।এসব নিয়ে কথা বলতে গেলেই ও বলবে আরে বোকা এ গুলো তো ওয়ের্স্টান কালচার।এই বিষয়টি নিয়ে মনে মনে আছি, একদিন ওকে সুযোগ মত আচ্ছা করে ধরব।কিন্তু কি ভাবে ওকে কিছুটা শিক্ষা দেওয়া যায় সেটা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছি না।
সেদিন ছুটির দিন ছিল।আমি শহরে ঘুরতে বেরিয়েছি বিকালে।এমন সময় সুমনের ফোন
কিরে তুই কোথায়?
এই তো শহরে ঘুরছি।আসবি নাকি তুই?
ওকে তুই দাড়া আমি দশ মিনিটে আসছি।
এই দশ মিনিটে আমি একটা ভাবনা ভেবে ফেললাম, সুমনকে আজ একটা শিক্ষা দেবই।
সুমন আসলে দুজনে একটা ভাল রেস্তোরায় গেলাম।বললাম কি কি খাবি বল?সুমন বলল তুই অর্ডার দে।
আমি বললাম আজ তোর যা ভাল লাগে খাবি আমার যা ভাল লাগে তাই খাব।
আমি দেখলাম সুমন তিন পদের খেয়েছে যার বিল ২৫০ টাকা।আর আমি যা খেয়েছি তার বিল মাত্র ১২০ টাকা।
খাওয়া শেষে আমি ক্যাশ কাউন্টারে এগিয়ে গেলাম বিল দেওয়ার জন্য।পকেট থেকে ১২০ টাকা বের করে বিল দিয়ে দিলাম।
সুমন ভেবেছিল আমি আজও প্রতিদিনের মত ওর বিল দিয়ে দিব।আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম তোর বিল তুই দে।
জানিস না ওয়ের্স্টান কালচারে একসাথে খেলেও যার বিল সেই দেই।
সুমনের মুখটা দেখলাম শুকিয়ে কালো হয়ে গেছে।এমন কালো মুখ সুমনের আমি আর কোন দিন দেখিনি।ব্যাটা এইবার বুঝছে ওয়ের্স্টান কালচার কারে কয়!!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২