somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মশা সমস্যা সমাধানে ঢাকার সিটি মেয়রদ্বয়ের ব্যর্থতা ও দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি; সমস্যা সমাধানে সরকারের জন্য একটি প্রস্তাবনা

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অভিনন্দন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। বাংলা প্রবাদে আছে "শুভস্য শিঘ্রম" আর ইংরেজি প্রবাদে আছে "The sooner the better"

‘বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশা মারা সম্ভব না’

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের উপরোক্ত উক্তি শুনে আমার চোখে সামনে ভেসে উঠল স্কুল জীবনে পড়া ব্যাঙের জীবনচক্রের ছবি। ব্যাঙ যখন ডিম পাড়ে তখন শুরুতে মনে হয় মাছের ডিম। এর পরে ডিম ফুটে যখন ব্যাঙাচির আকার ধারণ করে তখনও মানুষ বিভ্রান্ত হয় টাকি-মাছের বাচ্চা ভেবে। সময়ের সাথে ব্যাঙাচির লেন্জা ঝড়ে পড়লে ব্যাঙের জীবন চক্র পূর্ণ হয় ও মানুষ ব্যাঙ বলিয়া নিশ্চিত হয়।



সাবেক অরাজনৈতিক ব্যক্তি ও মিডিয়া কথিত ভালো ও সৎ মানুষ (দেশ কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে রাষ্ট্রের টাকা লুট-পাটের ঘটনা ভুলিয়া গেলাম; তবে আপনাদের জানার আগ্রহ থাকলে ব্লগার দিনমুজুর (প্রকৌশলি কল্লোল মোস্তফা) এর ব্লগে ঘুরে আসতে পারেন আনিসুল হকের “দেশ রেন্টাল” জাতিকে কি দিয়াছে?) আনিসুল হক ব্যাঙাচির মতো অবশেষে নিজের ভালো মানুষীর লেন্জা ঝাড়িয়া ফেলিয়া নিজেকে পরিপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা হিসাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করিতে পারিলেন।



ঢাকা শহরের মানুষকে মশা বাহিত রোগ ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও এবছরের নতুন প্রাদুর্ভাব চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা করতে চাইলে উজবেকিস্তানের তুলা আহরণের মতো বাধ্যতামূলক আইন করার জন্য সরকারকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।

প্রত্যেক দেশে বা সমাজে কিছু-কিছু সমস্যা আছে যেগুলো পৃথিবীর কোন সরকার বা বাহিনীর পক্ষে একাই সমাধান করা সম্ভব হয় না। ঢাকা শহরের মশা সমস্যা তেমনি একটি। ঢাকা শহরে প্রতিবছর বর্ষার সময় যেভাবে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ও এবছরের থেকে যোগ হওয়া চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে বা কষ্ট ভোগ করতেছে তাতে করে সময় এসেছে ১লা বৈশাখ বা একুশে ফেব্রুয়ারির মতো বছরের একটি দিনকে জাতীয় মশক নিধন দিবস ঘোষণা করার।

নির্দিষ্ট করে এই দুইটি দিবসের কথা বলার কারণ হলো এই দুইটি দিন দল-মত-বয়স ভেদে দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ পালন করে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে বলতে হয় বাসা থেকে বের হয়ে অংশ গ্রহণ করে। মশক নিধন দিবসে একই ভাবে সবাই ঢাকা শহর পরিষ্কারে অংশগ্রহণ করবে। বাবা-মায়ের নেতৃত্বে সন্তানরা, অফিসের বসের নেতৃত্বে কর্মীরা, স্কুল-কলজের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ছাত্র-ছাত্রীরা, সেনা-নৌ-বিমানবাহিনীর প্রধানদের নেতৃত্বে সৈনিকরা ও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী-এমপিরা।

ছবি: উজবেকিস্তানের স্কুল ছাত্রীরা মাঠে তুলা আহরণ করছেন (ছবি সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস)

মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানের প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হলও তুলা যেমনটি ছিলও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পাট ১৯৭০-১৯৮০ দশকে। বিশ্বে অনেক দেশে প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ-তরুণীদের সামরিক ট্রেনিং নেওয়া বা সামরিক বাহিনীতে নির্দিষ্ট সময় চাকুরী করা বাধ্যতামূলক। উজবেকিস্তানে তেমনি একটা আইন আছে তবে সেটা হলও তুলা আহরণে স্বেচ্ছা শ্রম দেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর তুলা আহরণের সময় সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে (স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কেউই ঐ আইনের ব্যতিক্রম না) মাঠে গিয়ে তুলা আহরণ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। কেউ তুলা আহরণের কাজ করতে না চাইলে ঐ সময়ের জন্য সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মাইনে দিয়ে শ্রমিক নিয়োগ করতে হবে, যারা তার পক্ষে তুলা আহরণ করবে।

In Uzbekistan, the Practice of Forced Labor Lives On During the Cotton Harvest

Every year the government of Uzbekistan forcibly mobilizes over a million citizens to grow and harvest cotton

ঢাকায় বসবাসরত সকল নাগরিক এগিয়ে না আসলে ঢাকা সিটি-কর্পোরেশনের ২ মেয়র ও ২/৪ শত মশক নিধন কর্মীর পক্ষে ঢাকা শহরের মশা সমস্যা সমাধান করা আগামী ১০০ বছরও সম্ভব হবে না। ঢাকার নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার কাজটা শুধুমাত্র দুই মেয়রের দ্বারা সম্ভব না। এই জন্য সরকার প্রধানকে নিজেই উদ্যোগ নিতে হবে। ঘরে টিভির সামনে পপকর্ন নিয়ে বইসা দুই মেয়রকে গালি দিয়া কোন লাভ হয় নাই অতিতে; ভবিষ্যতেও হবেনা তার হলফ করিয়াই বলা যায়।

************* সবাই মিলে পথে নেমে পড়ি; ঢাকা শহরকে মশার উৎপাত মুক্ত করি ********************


সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:১৪
১৩টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×