একই চোর যদি গৃহস্থ বাড়িতে বার বার চুরি করে ও পার পেয়ে যায় তবে চুরির জন্য গৃহস্থ নিজেও কিছুটা দায়ী নয় কি? চোরকে চুরি থেকে বিরত রাখতে চাইলে চোরকে ধরে নিজেই উত্তম-মাধ্যম দিতে হবে অথবা চোরকে ধরে পুলিশের কাছে নিতে হবে। তাই নয় কি?
মায়ানমার নামক রাষ্ট্রের গৃহীত পলিসির কারণে আমাদের দেশের বর্ডার নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন। আমাদের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত; আমাদের জনসংখ্যা বাড়াচ্ছে। এই সমস্যাটা গত ৩০ বছর ধরে চলে আসছে। এই সমস্যাটা দ্বিপক্ষীয় ভাবে সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। যে সমস্যাটা দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করা যাচ্ছে না তা সমাধানের জন্য অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা আছে। যার কোনটি অন্বচলিক (যেমন: আশিয়ান) ও কোনটি বিশ্বব্যাপী যেমন জাতিসংঘ।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে হবে বাংলাদেশেকে; আন্তর্জাতিক ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশকেই। সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই। নইলে প্রতিবছর মায়ানমার একই কাজ করবে; আর অল্প-অল্প করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাঠাবে। দেখা যাবে আগামী ১০-১৫ বছরে মায়ানমারে রোহিঙ্গা নামে কোন জাতি গোষ্ঠী নাই; পক্ষান্তরে বাংলাদেশের পাঠ্য বইয়ে চাকমা, মারমা, হাজং নামক জনগোষ্ঠীর সাথে উচ্চারিত হচ্ছে রোহিঙ্গা নামক আর একটি গোষ্ঠীর নাম।
মায়ানমার নামক রাষ্ট্রটি যেহেতু নিজেই রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টির জন্য দায়ী সুতরাং তারা নিশ্চয় বিচার নিয়ে জাতিসংঘে যাবে না। অপরাধী অপরাধ করে কি পুলিশের কাছে যায় যে আমি অপরাধ করেছি; আমাকে গ্রেফতার করে বিচার করুন! জাতিসংঘের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো হলও বিচারক। বিচারকের সামনে বাদী পক্ষের উকিল যদি অপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত সাক্ষী-প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পরো তাহলে বিচারক বাদীর পক্ষে রায় দিবে কিভাবে?
গুলির মুখে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ- মিয়ানমর সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা তিন দিন ধরে অবস্থান করছে৷ তাঁরা না পারছেন মিয়ানমারে ফিরতে, না পারছেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে৷ দু’দিকেই তাঁরা গুলির মুখে
বাংলাদেশ সরকারের উচিত ঢাকা থেকে সকল পশ্চিমা দেশের কূটনৈতিক ও সংবাদ মধ্যমের প্রতিনিধিদের টেকনাফে নিয়ে গিয়ে নাফ নদীর ওপারে কি হচ্ছে তার দৃশ্য দেখানোর ব্যবস্হা করা।
সরকারের পলিসি মেকাররা হয়ত মনে করছেন যে কূটনৈতিকদের নিয়ে গেলে তারা চাপ দিবে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য। যে কোন উপায়েই হউক না কেন রোহিঙ্গারা এমনিতেই বাংলাদেশের প্রবেশ করতেছে। বরং কূটনৈতিকদের চোখের সামনে যদি ১ হাজার রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় তবে তারা বুঝবে যে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে নিশ্চয় কোন গুরুতর সমস্যা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৭