রায় ফাঁস ষড়যন্ত্রে সাকা নিজেই জড়িত
শংকর কুমার দে ॥
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা চৌধুরী) চৌধুরীর খসড়া রায়ের কপি ফাঁসের ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি নিজেই জড়িত। তার সঙ্গে জড়িত আরও অনেকেই। প্রায় ৩ মাস আগে এই পরিকল্পনা করা হয়। রায়ের কথিত কপি ৩টি পেনড্রাইভে করে ৩ বারে নেয়া হয়। মূল রায়ের কপি ১৭২ পৃষ্ঠার মধ্যে ফাঁস করতে সক্ষম হয়েছে ১৬৫ কপি। রায়ের কপির মূল ৭ পৃষ্ঠা ফাঁস হয়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রিমান্ডে থাকা দুই কর্মচারী নয়ন ও ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে এই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। কথিত খসড়া রায়ের কপি ফাঁসের ব্যাপারে ডিবি পুলিশ সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। রবিবার ডিবির তদন্তকারী দল ঘটনাস্থল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করেছেন।
ডিবির তদন্তকারী সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ফাঁসের পরিকল্পনাটিও আসে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মাথা থেকেই। তার মাথায় আসে এভাবে যে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল হয়। সুতরাং যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের কপি ফাঁস করা গেলে বাতিল হয়ে যাবে রায়ও। অন্যথা হলে আন্দোলন সংগ্রাম করে রায় বাতিল করতে বাধ্য করা হবে। এমন যুক্তি আর রায় ফাঁসকে ইস্যু বানিয়ে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচার কার্যক্রমকে থামিয়ে দিতেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের কপি ফাঁস করার পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করা হয় বলে ডিবির তদন্তে বের হয়ে এসেছে।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রায় ফাঁসের পরিকল্পনাটি যারা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রশ্নবিদ্ধ করতে সব চেষ্টা যখন ব্যর্থ হয় তখন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীই রায় ফাঁসের চিন্তা করে। যুদ্ধাপরাধ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের কপি ফাঁস করতে পারলে রায় বাতিল হয়ে যেতে পারে। রায় যদি বাতিল না হয় তাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিকল্পনা করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রায় ৩ মাস আগে এমন পরিকল্পনা করার পর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে মোটা অঙ্কের টাকাও বিনিয়োগ করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নিয়োগ করা হয় আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসানসহ অনেককেই। মেহেদী হাসান দায়িত্ব নিয়েই ট্রাইব্যুনালের ওপর নজর রাখা শুরু করে। সে প্রথমেই ফারুকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। ফারুকের মাধ্যমে পরিচিত নয়নের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে রায়ের কপি ফাঁস করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করে। আইনজীবীর সহকারী মেহেদী হাসান ফারুকের সহায়তায় নয়নকে দিয়ে সে পরীক্ষামূলকভাবে অন্তত ১৫ বার বিভিন্ন ডকুমেন্ট ওই কম্পিউটার থেকে সফলতার সঙ্গে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়। তারপরই কথিত রায়ের কপিটি ফাঁস করা হয়।
ডিবির সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধ মামলার বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রায়ের ফাঁস হওয়া কপি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি বিষয়টি অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে প্রচার করতে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের কাছেও পৌঁছে দেয়া হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিষয়টি আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে এমনভাবে প্রকাশ করেন যাতে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। এসব ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত যা তদন্তে বের হয়ে আসতে শুরু করেছে।
Click This Link
আলোচিত ব্লগ
আমাদের দাদার দাদা।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।
আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?
আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?
খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।
পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়
অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন