somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সা কা ' র রায় ফাঁস কেলেংকারী ][ নয়ন পেয়েছেন ৬০ হাজার টাকা ফারুক ৫০ হাজার

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সা কা ' র রায় ফাঁস কেলেংকারী

নয়ন পেয়েছেন ৬০ হাজার টাকা ফারুক ৫০ হাজার

বর্তমান প্রতিবেদক :: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় ফাঁস করতে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে, যার অঙ্ক কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে। অথচ রিমান্ডে থাকা নয়ন পেয়েছেন মাত্র ৬০ হাজার টাকা। যদিও তাকে এক লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। রিমান্ডে থাকা অপর আসামি ফারুক হোসেন মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গত ১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় ঘোষণার আগেই ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের ১৬৫ পৃষ্ঠাই ফাঁস হয়ে যায়। পরদিন ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। ঢাকার সিএমএম কোর্টের নির্দেশে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করেন। রাতেই ট্রাইব্যুনালে রায় লেখার কাজে ব্যবহূত কম্পিউটার, ট্রাইব্যুনালের সিসিটিভি ও পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। ৩ অক্টোবর ডিবি পুলিশ ট্রাইবুন্যালের কর্মচারী নয়ন মিয়া ও ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক বর্তমানকে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিল হয়। অতএব রায় ফাঁস করা গেলে রায়ও বাতিল হবে। তিন মাস আগে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রায় বাতিলের পরিকল্পনা করেন। এরপর তিনি বিষয়টি তার আইনজীবী ও পরিবারকে জানান। বিনিময়ে সংশ্লিষ্টদের মোটা অঙ্কের টাকা দেয়ার নিশ্চয়তা দেন। এরপরই শুরু হয় রায় ফাঁসের প্রক্রিয়া। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রায় ফাঁসের মূল দায়িত্ব পালন করেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের সহকারী অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান। তিনি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, রায় ফাঁস করতে পারলে যুদ্ধাপরাধের পুরো বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করা সম্ভব না হলেও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার বাতিল করা যাবে। তাতেও কাজ না হলে অন্তত তার বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে। কড়া সমালোচনার মুখে সরকার সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিচার বাতিল বা স্থগিত করতে পারে। কর্মকর্তা জানান, এরপর রায় ফাঁসের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। মেহেদী হাসান প্রথমেই যোগাযোগ করেন ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুকের সঙ্গে। এরপর পরীক্ষামূলকভাবে মেহেদী হাসান নয়নের মাধ্যমে অন্তত ১৫ বার বিভিন্ন ডকুমেন্ট নিয়ে যান। রায় ফাঁস করার জন্য মেহেদী হাসান ফারুককে হাজার পঞ্চাশেক টাকা দেন। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান নয়নকে একটি পেনড্রাইভ দেন। প্রথম কিস্তিতে নয়ন রায়ের কিছু অংশ কপি করে দেন। এজন্য নয়নকে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। প্রসঙ্গত, নয়ন মাস্টাররোলে ট্রাইব্যুনালে প্রায় দেড় বছর ধরে দৈনিক ১২০ টাকা হাজিরায় চাকরি করতেন। নয়নকে দিয়ে ট্রাইব্যুনালের অনেকেই মাঝে মধ্যে ছোটখাটো চিঠিপত্র বা অর্ডারশিট টাইপ করাতেন। এজন্য ট্রাইবুন্যালের ওই কম্পিউটারটি ব্যবহার করতে নয়নের বেগ পেতে হয়নি। দ্বিতীয় দফায় আরেকটি পেনড্রাইভে রায়ের আরও কিছু অংশ কপি করে দেন। তখন তাকে আরও ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়। তৃতীয় দফায় তিনি আরও কিছু অংশ কপি করে দিলে তাকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। সর্বশেষ নয়নকে হাতে রাখার জন্য আরও ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। পুরো রায়ের কপি করে দিলে নয়নকে এক লাখ টাকা দেয়া হতো। কিন্তু নয়ন ১৭২ পৃষ্ঠার রায়ের মধ্যে ১৬৫ পৃষ্ঠা কপি করতে পারেন। ডিবি সূত্র বলছে, রায় ফাঁসের জন্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করে। ওই টাকার বেশিরভাগ আইনজীবী মেহেদী হাসানের পকেট ছাড়াও অনেকের পকেটেই গেছে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবার রায় ফাঁসের জন্য এক কোটি টাকা কিংবা তারও বেশি টাকা বিনিয়োগ করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় দৈনিক বর্তমানকে বলেন, রায় ফাঁসের ঘটনায় টাকার লেনদেন হওয়ার তথ্য মিলেছে। তবে টাকার অঙ্ক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রিমান্ডে থাকা নয়ন ও ফারুকও রায় ফাঁস করে টাকা পাওয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। তবে কে কত টাকা পেয়েছেন তা স্পষ্ট জানা যায়নি। - See more at: Click This Link
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×