somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রথম ক্যামেরা

৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আশি দশকের মাঝামাঝি সময়।কলেজে পরি,সেই সময় আমার ভাই সিঙ্গাপুর গিয়ে একটি ক্যামেরা নিয়ে এলেন।বলতে গেলে আমার প্রথম ক্যামেরাটা ছিল ঐ কালো রঙ্গের কভারের ইয়াশিকা ইলেক্ট্রো-৩৫।



আমিতো মহাখুশি,কিন্তু ছবি কিভাবে তুলতে হয় আমি তখন জানতামনা। সঠিক এক্সপোজার ,শাটার স্পিড সেটিং করা একটা ঝামেলার বিষয় ছিল।এছাড়া ছাত্রবস্থায় ফিল্মের দামও ছিল ক্রয় ক্ষমতার উর্ধে।ফিল্মের একটা রোলে মাত্র ৩৬টা ছবি তোলা যেতো,একটা নষ্ট হয়ে গেলেই ছিল অনেক ক্ষতি!


তাই প্রাথমিক হাতেখড়ি নিলাম আমার ভাই থেকেই।তিনি প্রথমেই ক্যামারাটির বৃত্ত্বান্ত দেন এভাবে; ইলেক্ট্রো 35 এক নাগারে পনের বছর যাবত বিভিন্ন সংস্করণের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এটা একটি কঠিন মেটালিক ক্যামেরা এর একটি বড় ভিউ ফাইন্ডার ও রেঞ্জফাইন্ডার আছে,রেঞ্জ ফাইন্ডারটি নাইকন ম্যানুয়াল রেঞ্জ ফাইন্ডারের তুলনায় অনেক পরিষ্কার।এর শাটার স্পিড ১/৫০০ থেকে অনায়াসে ৩০ সেকেন্ড বা তার বেশী নেয়া যায়।অটোমেটিক এক্সপোজার লকও আছে এবং এটি একটি প্রায় ফুল অটো ক্যামেরা।তাই উন্নত বৈশিষ্ট্যএর জন্য ফটোগ্রাফারদের মধ্যে গ্রহনযোগ্যতাও ছিল অতি জনপ্রিয়।


প্রথম ক্যামেরায় তোলা দুটি সাদাকালো ছবি
আমার জমানো টাকা দিয়ে প্রথমে সাদাকালো ফিল্ম কিনে ছবি তোলা শিখতে লাগলাম। ছবি তোলার পর নেগেটিভ ফিল্মকে পজিটিভ করার জন্য ডেভলাপ করতে গিয়ে দেখা যেতো ৩৬টা ছবির মধ্যে ২০টা ছবিই বাতিল হয়ে গিয়েছে।কিছুদিনের মধ্যে এই ছবি তুলতে গিয়েই লালমাটিয়ার এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হলো,সে বেশ এক্সপার্টও ছিল।ওই আমাকে নিয়ে গেল বলাকা সিনেমা হলের কাছে।সেখানে একটি চিপা গলিতে এফডিসির চুরি করা ফিল্ম রোলে ভড়ে বেশ কমদামে বিক্রি করতো।আর উপড়ে বলাকা বিল্ডিংএ শিকো নামের একটি ষ্টুডিও ছিল সেখানে খুউব কমদামে ছবি প্রিন্ট করতো।


তখনকার আমলে যত্রতত্র মোবাইলে ক্যামারা ছিলনা।তাই ক্যামেরাওয়ালাদের সমাদর ছিল ঈর্ষনীয়।নিজের আত্মীয় স্বজনদের বিয়ে,জন্মদিন বা এমনিতেই ছবি তুলে দেয়ার জন্য প্রায়শঃ দাওয়াত পেতাম।


ঢাকার বন্যায় এমনিভাবে আমার অনেক ছবি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল
মনে পড়লে এখনো হেসে দিই এমন একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করছি।আমার এক হিন্দু ক্লাসমেট তাদের সেন্ট্রাল রোডের বাড়ীতে নিয়ে গেল ছবি ঊঠিয়ে দেয়ার জন্য।দুপুরে সেই বাড়ীতে পেটপুরে খেয়ে নিয়ে ছবি ঊঠাতে লাগলাম।একটি মেয়ে ছিল খাটো,সেই আমলেই পায়ের নিচে ইট রেখে লম্বা সেজে গ্রুপ ছবি তুললো,আর বলতে লাগলো অনেকেই ছবি উঠায় কিন্তু ছবিগুলি দিয়ে যায়না।দাদা আপনি কিন্তু ছবিগুলি দিয়ে যাবেন।আমি প্রমিজ করলাম আবার খেতে এসে দিয়ে যাবো।হায়রে কপাল ডেভলাপ করে দেখি পুরা রোলটাই খারাপ বেড়িয়েছে :)

ক্যামেরাটির বৈশিষ্ঠ ছিলঃ
• From 1973 Yashica Camera Co., Japan
• Film type 35mm (up to ISO 1000)
• Lens Color Yashinon DX 45mm f1.7 (Color was just a marketing term)
• Filter size 55mm threaded, 57mm slip-on
• Focal range 2.6′ to infinity
• Shutter Copal Elec (Leaf)
• Shutter speeds B, 1/30, 30s-1/500 aperture priority (1/500 ONLY sans battery)
• Viewfinder coupled rangefinder with auto parallax correction
• Exposure meter lens mounted CdS, over/under lights in viewfinder. Other rangefinders had the meter on the lens for more accurate readings.
• Self-timer
• Battery check lamp
• Fast-action wind lever
• Lens: 45mm f/1.7. It's identical to an SLR lens.
• Close Focus 2.6 feet (0.8m)
• ASA Range (ISO) 1966-1973: 12~500. 1973-1977: 25~1,000.

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪
২৬টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×