গতকাল একজন নাম পরিচয়হীন অজ্ঞাত ( দেশে এক নিজামী আছে যে সর্বজন স্বীকৃত যুদ্ধাপরাধী এবং আল বদর বাহিনীর প্রধান) নিজামী বক্তৃতা দিয়ে বলেছেন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে জামায়াতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে । জনগনকে জোর করে সাক্ষী বানানো হচ্ছে । আর জামায়াতী ইসলামে কোন যুদ্ধাপরাধী নাই । এবং যে নিজামী বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি ১৯৭১ সালে প্রায় নাবালক আবাল ছিলেন, কেবল তার ছাত্রত্ব শেষ হেয়েছে । তিনি কোনভাবেই জামায়াতের সদস্য ছিলেন না । আর সরকার যদি এসব ষড়যন্ত্র বন্ধ করে তবে তারা সরকারকে পূর্ণাঙ্গ সমর্থন দেবে ।....মাশাল্লাহ!!
এই আবালের বক্তব্য থেকে একটি জিনিস বেরিয়ে আসে, তাহলো জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সাথে যুক্ত ছিল ।
দুই, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার করলে তারা সরকারকে সর্মথন দেবে না, তারমানে কি তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে ??
আর তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাদের সমর্থন !!!???
জনগন এইসব রাজনীতির খপ্পরে ম্যালাদিন । তাই এবার তারা সুস্পষ্ট রায় দিয়েছে যাতে করে সরকার গঠনে এই রাজাকারদের সমর্থন না লাগে, সেটা বোধকরি সরকারের মাথায় আছে । বর্তমান সরকার যে আশাতীত জয় নিয়ে সরকার গঠন করেছে তার অন্যতম প্রভাবক ছিল তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট । তাদের প্রত্যাশা এই সরকারই যুদ্ধাপরাধের বিচার করুক ।
সেক্ষেত্রে এই সব নাম পরিচয়হীন নিজামীর বক্তব্য কিংবা হুংকারে আর ষড়যন্ত্র জনগনকে প্রতিরোধ করতে হবে, কোন অবস্থাতেই যেন এইসব যুদ্ধাপরাধীরা পার না পায় ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৮:৪৬