সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরন (পর্ব - ০১)
আমার এই লেখাটি পড়ে কেউ আমাকে বলবে নাস্তিক, কেউ বলবে মহা পন্ডিৎ, কেউ বলবে গন্ডমূর্খ এছাড়াও নানা প্রকার মন্তব্য আসতে পারে সে জন্য মন্তব্যের ঘর উন্মক্ত আছে।
এবার শুরু করতে যাচ্ছি আলোচনা তবে প্রথমে আলোচনার বিষয়বস্তু উল্লেখ করতেছিঃ
* ধর্ম ব্যবসাসী
* মূর্খদের মুখে জ্ঞানীদের সমালোচনা
* সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিষর্যন
আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু
* ধর্ম ব্যবসাসী (০২ পর্ব)
যেহেতু আমাদের দেশে মুসলিম সংখ্যগরিষ্ট (আমিও মুসলিম) সেহেতু সংখ্যলঘুদের নিয়ে টানাটানি না করে সংখ্যগরিষ্টদের নিয়েই কিছু লিখতেছি তবে দয়া করে আমার কথাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ে আমার ভুল হলে শুধরে দিবেন। আমাদের দেশ যেহেতু মুসলিম প্রধান সেহেতু অসংখ্য মসজিদ থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু এর ভিতরে কিছু অস্বাভাবিক দিক রয়েছে আজ তাই নিয়ে কথা বলবো।
ঘ। মাজার ব্যবসা
ঙ। পীর ব্যবসা
ঘ। মাজার ব্যবসা
১। বলা হয় অলি আউলিয়াদের দেশ বাংলাদেশ। আমি তাদের যথেষ্ট শ্রদ্ধা ভক্তি করি কিন্তু তাদের মাজার বানিয়ে সেখানে টাকা উঠানের কি দরকার। যদি টাকা উঠানের প্রয়োজন পড়ে তাহলে যার মাধ্যমে ইসলাম প্রচার হল সেই মহামানব নবীকরিম (সঃ) বেশি প্রাপ্য।
২। ইসলামের মতে মৃত্যু পর কেউ কারো উপকারে আসতে পারেনা তাহলে মাজারগুলোতে মানুষ মাথা ঠুকে কি পাচ্ছে ! তারা আল্লাহর কাছে কেন মাথা ঠোকে না ?
৩। মাজারের নামে চাঁদা তোলা হচ্ছে সারাদেশে এমন কোন শহর পাওয়া যাবেনা যেখানে মাজারের দান বাক্স নেই। এই বাক্সে এবং চাঁদা তোলার অনুমতি তাদের কে দিল ? মাজারের খাদেমদের এই টাকা তোলার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তারা বলে মাজারে আসা ভক্তদের খাওয়ানের জন্য টাকা তোলা হয় কিন্তু প্রশ্ন হল খাওয়ানের দায়িত্ব তাদের কে দিল ?
৪। ইসলামে বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে গান নিষেধ করেছেন সেখানে মাজারে উচ্চশব্দে ঢাক ঢোল পিটিয়ে ওরশ মাহফিলের নামে এগুলো কি হচ্ছে ?
৫। ইসলামে নারীদের পর্দার বিধান আছে এবং লঘ্নন হলে শাস্তির কথা বলা হয়েছে কিন্তু মাজারের ওরস মাহফিলের নামে যে পালাগান হয় তাতে নারীদের হেলেদুলে গান গাইতে দেখা যায় এটা কি হচ্ছে ? এবার আপনারা যা বলার বলুন।
ঙ। পীর ব্যবসা
ইসলাম ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তির সাথে সম্পর্ক রাখতে বলেছে, বর্তমানে আমরা ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তি খোজার আগে পীর খুজি কিন্তু এই পীরেরা কতটা ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তি তা খুজিনা কেন ?
এইসব পীরেদের মুরিদদের সামনে এই ধরনের কথা বললে ঈমান থাকবেনা বলে হুমকিও দেয়। কেউ তো সরাসরি নাস্তিক বলে ফেলে।
বর্তমানে পীরের ছেলে পীর বা পীরের কাছের মুরিদ পীর হয়ে গদিতে বসেন। আসলে ঈমানদার, মুমিন, কামেলদার ব্যাক্তি পীর নাকি পীরের গদিটাই পীর?
আমাদের অঞ্চলে একটা প্রবাদ আছে সব পন্ডিত এক কাঁথার নিচে থাকতে পারেনা।
বর্তমান পীরদের অবস্থা দেখে এই প্রবাদটির ব্যাতিক্রম খুঁজে পাইনা। সবাই নিজেকে ইসলামিক জ্ঞানে পন্ডিত বলে দ্বাবী করেন কিন্তু কারো কথার সাথে কারো কথা হুবহু মিলেনা কেন ? এমনকি টুপির ক্ষেত্রেও অমিল !
পীরদের যাতাকলে আমরা সাধারন মুসলিমরা আজ পিষ্ট, হে আল্লাহ আমাদের বাঁচাও।
এই যন্ত্রনায় তিক্ত হয়েছি তাই তো এদের নিয়ে আমার লেখা কবিতা
"ঐক্যের আহব্বান"
এক বিশ্বাস, এক ধর্ম,
ভিন্ন কেন তোদের মত !
একতার অভাবে ছিন্নভিন্ন
হারিয়েছ শান্তির পথ।
হামাস মরছে ফিলিস্তিনে
রোহিঙ্গা মরে আরাকানে
মুসলিম দেশে আগুন জ্বলে
হত্যার প্রতিযোগিতা চলে।
তোদের দোষেই নিঃস্ব তোরা
ডুবছে তোদের তরী !
ঝড়ের মাঝেই দাড় টেনে যা
দিতে হবে সাগর পারি।
ওহে মুসলিম এক হও
ভুলে যাও সকল দন্দ,
হাতে হাত রেখে ঘুরে দাড়াও
হঠাও সকল মন্দ।
আর কতকাল দেখবি তোরা
নিজের ভাইয়ের রক্ত !
অত্যাচারীর দোষ দেবো কী!
তোরাই তাদের ভক্ত।
এমনি ভাবে থাকলে পরে
পুরে হবি ছারখার,
অত্যাচারের প্রতিবাদ করে
ঐক্য, শান্তির বিশ্ব গড়।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৮